বিএনপি ক্ষমতায় এলে পশুপাখি নিরাপত্তায় আইন সময়োপযোগী করা হবে: তারেক
Published: 13th, September 2025 GMT
জনগণের রায়ে বিএনপি ক্ষমতায় এলে পশুপাখি এবং অন্য প্রাণী তথা বাস্তুতন্ত্রের নিরাপত্তায় বিদ্যমান আইনগুলোকে সময়োপযোগী করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং বন্য প্রাণীর নিরাপত্তা বিধানের ক্ষেত্রে আইনের চেয়েও মানুষের সচেতনতার ওপর জোর দেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, “প্রাণী অধিকারের বিষয়টি শুধু প্রাণীর প্রতি মানবিক দায়িত্বই নয়, বরং জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ, বাস্তুতান্ত্রিক ভারসাম্য রক্ষা এবং মানবজাতির সুস্থ ও টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্যও অত্যাবশ্যক। মানুষ যখন প্রাণীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়, প্রাণীদের নিরাপদ আবাসস্থল নিশ্চিত করে, তখন এটি মানব সমাজের পরিপক্বতা ও উন্নত নৈতিকতার প্রতিফলন ঘটায়।”
আরো পড়ুন:
অসহায় ভ্যানচালকের পরিবারের পাশে তারেক রহমান
ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান তারেক রহমানের
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘প্রাণী ও প্রাণের মিলনমেলায়’ লন্ডন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এই সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তিনি।
তারেক রহমান বলেন, “নানা কারণে একদিকে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে, ঠিক একইভাবে বন্যপ্রাণী পাচারের ঘটনাও উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এসব কারণে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল অস্তিত্বসংকটে পড়ছে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যেমন গণতন্ত্রের চর্চা বা সুরক্ষা প্রয়োজন, ঠিক একইভাবে প্রাণীর অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা অপরিহার্য।”
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় মানুষের সচেতনতার ওপর জোর দিয়ে তারেক রহমান বলেন, “সবার মধ্যে এই উপলব্ধি আসতে হবে। কারণ, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং বন্য প্রাণীর নিরাপত্তার সঙ্গে মানুষের নিরাপত্তাও জড়িত।”
তিনি বলেন, “মানুষের নিজের প্রয়োজনেই প্রাণীদের বাঁচিয়ে রাখা দরকার, প্রাণীদের আবাস অক্ষত রাখা দরকার।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা যখন প্রাণীর নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলছি, আমার ধারণা এই মুহূর্তে আমাদের অনেকের মনে একটা চিন্তা আসতে পারে, সেটা হলো রাষ্ট্র যখন কখনো কখনো খোদ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তখন আমরা প্রাণীর নিরাপত্তা নিয়ে আলাপ করছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, গণতন্ত্রের সঙ্গে মানুষের অধিকারের সম্পর্ক যেমন, বাস্তুতন্ত্রের সঙ্গে পশুপাখি ও বন্য প্রাণীর অধিকারের সম্পর্কও তেমন। সুতরাং রাষ্ট্র, রাজনীতিতে গণতন্ত্র ও সুবিচার প্রতিষ্ঠিত থাকলে বাস্তবিকভাবেই বাস্তুতন্ত্র নিরাপদ থাকে।”
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবদুল লতিফ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন তুহিন, বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান খান মিল্লাত, কবি আবদুল হাই শিকদার, ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান সমন্বয়ক আতিকুর রহমান রুম্মন এবং চিত্রনায়িকা আইরিন সুলতানা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক আদনান আজাদ।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত র ক রহম ন জ বব চ ত র য র ত র ক রহম ন ন শ চ ত কর গণতন ত র য রক ষ ন বল ন ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন: আকবর খান
ঢাকা-৮ আসনে দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান। তিনি বলেন, “ভোটের অধিকার জনগণের পবিত্র আমানত, এটি সচেতনভাবে প্রয়োগ করতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা জননেতা সাইফুল হক-এর ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন।
গণসংযোগের শুরুতে ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাকের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত পথসভা হয়।
সেখানে আকবর খান বলেন, “নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে অবিলম্বে ভোটের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। গত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে—২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে—ঢাকা-৮ আসনের বহু নাগরিক ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যে তরুণের এখন বয়স ২৫ বা ২৬, তারা কখনো ভোট দিতে পারেনি, ভোট কী তা জানে না- এটি গণতন্ত্রের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।”
তিনি আরো বলেন, “গত ১৬-১৭ বছর ধরে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং আমাদের নেতা সাইফুল হক জনগণের ভোটাধিকারের আন্দোলনে রাজপথে সংগ্রাম করে আসছেন। এর জন্য জেল-জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেও তিনি থেমে থাকেননি। ভোটাধিকার গণমানুষের দীর্ঘ লড়াই ও ত্যাগের ফসল। এই অধিকার ভুল ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।”
আকবর খান বলেন, “জননেতা সাইফুল হক গণমানুষের পরীক্ষিত নেতা। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের জনগণ যেন তাকে ভোট দিয়ে নিজেদের সুখ-দুঃখ, চাওয়া-পাওয়ার কথা ও দীর্ঘ বঞ্চনার ইতিহাস সংসদে তুলে ধরার সুযোগ করে দেন- এটাই আমাদের আহ্বান।”
গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকা থেকে শুরু হয়ে মতিঝিল, কমলাপুর, ফকিরাপুল, কালভার্ট রোড হয়ে বিজয়নগরে এসে শেষ হয়। এতে শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সিকদার হারুন মাহমুদ, মীর রেজাউল আলম, কবি জামাল সিকদার, ফাইজুর রহমান মুনির, বাবর চৌধুরী, মহানগর নেতা যুবরান আলী জুয়েল, সালাউদ্দিন, রিয়েল মাতবর, আরিফুল ইসলাম, মুজিবুল হক চুন্নু, গোলাম রাজিব, মাহমুদুল হাসান খান, ফয়েজ ইবনে জাফর, নান্টু দাস, শিবু মহন্ত ও হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
ঢাকা/এএএম/এস