করপোরেট কর, আয়করের জন্য অ্যাপ তৈরি করা হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান
Published: 14th, September 2025 GMT
করপোরেট কর আগামীতে অনলাইলে দিতে পারবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, “করপোরেট কর, আয়করের জন্য অ্যাপ তৈরি করা হবে। ঘরে বসে কর সম্পর্কিত সব কাজ করা যায় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।”
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হলরুমে ট্যাক্স রিপ্রেজেনটেটিভ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (টিআরএমএস) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে করদাতাদের প্রশিক্ষণ দেবে রাজস্ব বোর্ড
বন্ডেড প্রতিষ্ঠানের মালামাল খালাসে এনবিআরের নতুন নির্দেশনা
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড.
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “নতুন অ্যাপসে অনেক সময় ছুঁটাছুটিতে সময় নষ্ট হয়ে যায়, এখানে সেটা হবে না। সব কাজ ঘরে বসে শেষ করা যাবে। এটা আপনাদের জন্য একটা বিরাট সুবিধা হবে।”
তিনি বলেন, “কীভাবে ব্যাংক থেকে রিটার্ন সরসরি নিয়ে আসা যায় সেটা করবো। আমরা বলেছি কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে আমরা সিস্টেমটা কানেক্ট করে দেব। তখন দেখবেন রিটার্নে সবকিছু সহজে ফিলাপ হয়ে যাবে। এতে করে ভুলভ্রান্তি কমে যাবে। সম্পদ লুকানোর কোনো সুযোগ থাকবে না। এতে সবাই সুফল পাবেন।”
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “যে সফটওয়্যারটি উদ্বোধন করা হলো তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে এটি একটি মাইলস্টোন।”
তিনি বলেন, “রাজস্ব খাতে সরকার ভালো কিছু করছে, এটা কেউ স্বীকার করবে না। অ্যাপসের মাধ্যমে সরকারের উপকার হবে, দ্রুত ট্যাক্স সংগ্রহ করতে পারবে।”
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড জানায়, করদাতার প্রতিনিধিত্ব প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজ করার মাধ্যমে টিআরএমএস প্ল্যাটফর্মটি কর ব্যবস্থাপনায় অধিকতর দক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে। আয়কর আইনে অনুমোদিত কর প্রতিনিধিরা যেসব করদাতাদের রিটার্ন দাখিল করার জন্য করদাতা কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত তাদের সবার আয়কর রিটার্ন টিআরএমএস সফটওয়্যারটিতে নিবন্ধনের মাধ্যমে অনলাইনে দাখিল করতে পারবেন। যেকোন করদাতা কর প্রতিনিধি নিয়োগের জন্য তার নিজ নামে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত মোবাইল ফোনে প্রাপ্ত ওটিপি কর প্রতিনিধিকে প্রদানের মাধ্যমে অনলাইনে তার রিটার্ন দাখিলের জন্য ক্ষমতা প্রদান করতে পারবেন।
একজন আয়কর প্রতিনিধি যতজন করদাতার আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল করবেন তার সবগুলো রিটার্ন সংশ্লিষ্ট কর প্রতিনিধির নামের বিপরিতে টিআরএমএস সিস্টেমে সংরক্ষিত থাকবে। কর প্রতিনিধিরা রিটার্নের তথ্যাদি যেকোন সময় সিস্টেম থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
টিআরএমএস এর মূল বৈশিষ্ট্য: আয়কর আইন অনুযায়ী অনুমোদিত সব কর প্রতিনিধিদের ডিজিটাল নিবন্ধন; করদাতা কর্তৃক তার কর প্রতিনিধিকে অনলাইন সিস্টেমে ক্ষমতা অর্পন; প্রত্যেক কর প্রতিনিধি কর্তৃক দাখিলকৃত সব আয়কর রিটার্নের তথ্য আলাদাভাবে টিআরএমএস সিস্টেমে সংরক্ষণ; কর প্রতিনিধি কর্তৃক করাদাতাদের পক্ষে ই-রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ; এটি করদাতা এবং কর প্রতিনিধি উভয়ের জন্যই ব্যবহারকারী-বান্ধব সহজ ইন্টারফেস।
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এনব আর আয়কর র ট র ন আয়কর র এনব আর র জন য কর ত ক উদ দ ন করদ ত
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি