কারণ ছাড়াই বাড়ছে আরো ৩ কোম্পানির শেয়ারদর
Published: 17th, September 2025 GMT
কোনো ধরনের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য বা কারণ ছাড়াই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আরো তিনটি কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। কোম্পানিগুলো হলো- মুন্নু ফেব্রিক্স লিমিটেড, বিবিএস কেবলস লিমিটেড ও হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস লিমিটেড।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) এমন তথ্য জানিয়েছে কোম্পানি তিনটির কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কোম্পানি তিনটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই চিঠি পাঠায়। ওই চিঠির জবাবে কোম্পানি তিনটির কর্তৃপক্ষ ডিএসইকে জানিয়েছে, কোনো প্রকার অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারের দাম বাড়ছে।
মুন্নু ফেব্রিক্সের গত ১৮ আগস্ট শেয়ার দর ছিল ১৪.
বিবিএস কেবলসের গত ২৪ আগস্ট শেয়ার দর ছিল ১৫.৮০ টাকা। আর গত ১৬ সেপ্টেম্বর লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা। কয়েক কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৫.২০ টাকা বা ৩২.৯১ শতাংশ।
হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপারের গত ২৭ আগস্ট শেয়ার দর ছিল ৭৮ টাকায়। আর গত ৭ সেপ্টেম্বর লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়ে দাঁড়িয়ে ৮৯.৪ টাকায়। তবে গত ১৬ সেপ্টেম্বর লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৮১.৮০ টাকা। অর্থাৎ কয়েক কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৩.৮০ টাকা বা ১৪.৬১ শতাংশ।
এভাবে কোম্পানিটিগুলোর শেয়ারের দাম দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা/এনটি/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ম প ন ট র শ য় র দর র দর ব ড় ড এসই
এছাড়াও পড়ুন:
টানা দুই মাস আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে
টানা দুই মাস ধরে বাংলাদেশি প্রবাসীরা আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন। সদ্য সমাপ্ত অক্টোবর মাসের প্রবাসী বাংলাদেশিরা আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় পাঠিয়েছেন। গত মাসে তাঁরা দেশে পাঠিয়েছেন ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। গত বছর একই মাসে এসেছিল ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয়। ফলে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৭ শতাংশের কিছুটা বেশি। এর আগে দেশে গত সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার এসেছে।
প্রবাসী আয় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আয় এসেছে ৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। ১৮৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ২৪ কোটি ডলার ও বিদেশি ব্যাংকগুলো এনেছে ৬৬ লাখ ডলার।
জানা যায়, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ডলার ও জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলারের আয় এসেছিল।
সর্বশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছিল, যা এর আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় সাড়ে ৬ বিলিয়ন বা ২৭ শতাংশ বেশি।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রবাসী আয়ের ঊর্ধ্বমুখী ধারা দেশের টাকার মান স্থিতিশীল রাখা ও আমদানি ব্যয় মেটানোয় সহায়তা করাসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ভালো থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ বেড়ে আবার ৩২ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ২০০ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে। এতে বেড়েছে আমদানি ঋণপত্র খোলাও।