কোনো ধরনের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য বা কারণ ছাড়াই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আরো তিনটি কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। কোম্পানিগুলো হলো- মুন্নু ফেব্রিক্স লিমিটেড, বিবিএস কেবলস লিমিটেড ও হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস লিমিটেড।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) এমন তথ্য জানিয়েছে কোম্পানি তিনটির কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কোম্পানি তিনটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই চিঠি পাঠায়। ওই চিঠির জবাবে কোম্পানি তিনটির কর্তৃপক্ষ ডিএসইকে জানিয়েছে, কোনো প্রকার অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারের দাম বাড়ছে।

মুন্নু ফেব্রিক্সের গত ১৮ আগস্ট শেয়ার দর ছিল ১৪.

৬০ টাকায়। আর গত ১৬ সেপ্টেম্বর লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১.১ টাকায়। অর্থাৎ কয়েক কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৬.৫০ টাকা বা ৪৪.৫২ শতাংশ।

বিবিএস কেবলসের গত ২৪ আগস্ট শেয়ার দর ছিল ১৫.৮০ টাকা। আর গত ১৬ সেপ্টেম্বর লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা। কয়েক কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৫.২০ টাকা বা ৩২.৯১ শতাংশ।

হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপারের গত ২৭ আগস্ট শেয়ার দর ছিল ৭৮ টাকায়। আর গত ৭ সেপ্টেম্বর লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়ে দাঁড়িয়ে ৮৯.৪ টাকায়। তবে গত ১৬ সেপ্টেম্বর লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৮১.৮০ টাকা। অর্থাৎ কয়েক কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৩.৮০ টাকা বা ১৪.৬১ শতাংশ।

এভাবে কোম্পানিটিগুলোর শেয়ারের দাম দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ম প ন ট র শ য় র দর র দর ব ড় ড এসই

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ