সাভারের আশুলিয়ায় নাট্য অভিনেতা এ আর মন্টুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিদেশি পিস্তল, গুলি, শটগানের কার্তুজ ও ইয়াবা জব্দ করেছে যৌথ বাহিনী। এ ঘটনায় অভিনেতার ছেলেসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে যৌথ বাহিনীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) গভীর রাতে আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকায় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলির আওয়াজে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় অভিনেতা এ আর মন্টুর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, আট রাউন্ড গুলি, দুটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ১৭টি শটগানের কার্তুজ, ১৬টি পিস্তলের কার্তুজ, চারটি দেশি অস্ত্র উদ্ধার হয়। পাশাপাশি প্রায় সাড়ে তিন হাজার পিস ইয়াবা, ৭০০ গ্রাম গাঁজা, চার লিটার দেশীয় মদ ও তিনটি ওয়াকিটকি জব্দ করা হয়।

আরো পড়ুন:

হাসিনাসহ রেহানা পরিবারের বিরুদ্ধে ৩ মামলায় ৫৪ জনের সাক্ষ্য সমাপ্ত

তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা, দুলাভাইসহ ৪ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

এ ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন- অভিনেতা এ আর মন্টুর ছোট ছেলে মেহেদী হাসান মিঠুন (২৪), মোজাম্মেল ভূঁইয়া (৪৪), জাহিদুল আলম (২৪) ও মাসুমা আক্তার রিয়া (২২)।
 
অপর এক অভিযানে আশুলিয়ার কান্দাইল এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তলসহ তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন- রাজশাহীর জামিরা হাটপাড়া এলাকার নায়ন আলী (২৮), আশুলিয়ার কন্দাইল এলাকার বাবর হোসেন বাবুল (৪৫) ও বগুড়ার ফুলবাড়ি এলাকার মো.

গোলাম রাব্বি (১৮)।

যৌথ বাহিনীর অপর বার্তায় জানানো হয়, অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে কান্দাইলের রাজা-বাদশা মার্কেট এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছিল কিছু দুর্বৃত্ত। অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি দেশিয় অস্ত্র, ২০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, যৌথ অভিযানে আটককৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম মল ত র কর মন ট র

এছাড়াও পড়ুন:

বেস্টিনেটের আমিনুল, রুহুলকে প্রত্যর্পণে দুই দেশের পুলিশ সমন্বয় করছে: মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

অর্থ পাচারের অভিযোগে মালয়েশিয়ায় থাকা বেস্টিনেটের প্রতিষ্ঠাতা আমিনুল ইসলাম আব্দুল নূর ও তাঁর সহযোগী রুহুল আমিনকে ফেরত আনতে চাইছে বাংলাদেশ। ঢাকার এই অনুরোধটি নিয়ে দুই দেশের পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল।

তিনি কুয়ালালামপুরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে বলেন, বিষয়টি দ্বিপক্ষীয় সরকারি (জি-টু-জি) এবং পুলিশ পর্যায়ের সমন্বয়ের (পি-টু-পি) মাধ্যমে নিষ্পত্তি হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে দুই দেশের সহযোগিতার ভিত্তিতে।

সংবাদ সংস্থা বারনামাকে উদ্ধৃত করে মালয় মেইল আজ এই খবর দিয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে চক্র গড়ে বাংলাদেশ থেকে অন্তত ৮ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মালয়েশীয় নাগরিক আমিনুল ইসলাম এবং তাঁর বাংলাদেশি এজেন্ট রুহুল আমিন এই চক্রের হোতা বলে দাবি করছেন দেশের জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে তাঁরা সরকারকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কয়েক মাস আগে মালয়েশিয়া সফরে তাঁর সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল বলে জানান নাসুতিওন ইসমাইল। তিনি বলেন, উভয় পক্ষই একমত হয়েছে যে বিষয়টি দুই দেশের পুলিশ পর্যায়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে।

এ নিয়ে আর কোনো কথা না বাড়িয়ে তিনি বলেন, ‘আপাতত আমি এতটুকুই বলতে পারি।’ ঢাকার পক্ষ থেকে এ দুই ব্যক্তির প্রত্যর্পণের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেননি তিনি।

গত নভেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো আটকের অনুরোধপত্রটি মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সাইফুদ্দিন নাসুতিওন। আমিনুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগী রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, চাঁদাবাজি ও বিদেশি শ্রমিক পাচারের অভিযোগ রয়েছে বলে সেই অনুরোধপত্রে উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুনমালয়েশিয়ায় টাকা ‘পাচারে’ আমিনুল ও রুহুল আমিন১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাইফুদ্দিন নাসুতিওন তখন বলেছিলেন, মালয়েশিয়া সরকার এ আবেদন সম্পর্কে ঢাকার কাছ থেকে আরও স্পষ্ট জবাব চেয়েছে। বিশেষ করে তাঁদের আটকের উদ্দেশ্য প্রত্যর্পণ করানো নাকি আরও তদন্ত করা, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এটি অভিযুক্তদের বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য, নাকি তদন্ত পরিচালনার জন্য, সেটাও মালয়েশিয়াকে প্রথমে পরিষ্কারভাবে জানানো উচিত।

মালয়েশিয়া সরকার বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের জন্য ফরেন ওয়ার্কার সেন্ট্রালাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এফসিএমএস) নামের একটি সিস্টেম ব্যবহার করে। সিস্টেমটি পরিচালনা করে বেস্টিনেট নামের কোম্পানিটি। আমিনুল ইসলাম বেস্টিনেটের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান। তিনি বেস্টিনেটের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে গেলেও এখনো কোম্পানিটিতে তাঁর অংশীদারত্ব রয়েছে।

আরও পড়ুনমালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে সিন্ডিকেট চান না বায়রার সদস্যরা, মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি জমা২১ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ