রাজশাহীতে এনসিপির মহানগর আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
Published: 31st, October 2025 GMT
রাজশাহী মহানগরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মোবাশ্বের আলীকে আহ্বায়ক ও আতিকুর রহমানকে সদস্যসচিব করে ৬৪ সদস্যের এই আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। কমিটি ঘোষণার বিষয়টি দলটির ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে।
গঠিত আহ্বায়ক কমিটি আগামী ছয় মাসের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে ১৭টি বিভিন্ন পদ ও সদস্যপদে রাখা হয়েছে ৪৭ জনকে।
কমিটির অন্য পদে দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোবাশ্বের হোসেন; যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ারুল হক (রবিন), হেলালুজ্জামান সরকার, সিরাজুল ইসলাম ও জেসমিন আরা পারভীন। সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব হয়েছেন মাহফুজুর রহমান (জুয়েল)। যুগ্ম সদস্যসচিবেরা হলেন মাহফুজুর রহমান (বাবু), ফাহাবীর চৌধুরী, সালাউদ্দিন বাপ্পী, মোফাসসিরুল ইসলাম ও উরসী মাহফিলা ফাতেহা।
সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার আবু বক্কর সিদ্দিক (উদয়), সানেফ সাফওয়ান ও আতিকুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই অভ্যুত্থানবিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবির হাসনাত।
এর আগে গত ১৮ জুন রাজশাহী মহানগরে এনসিপির ১৮ সদস্যের সমন্বয়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল, যা ছিল তিন মাসের জন্য।
মোবাশ্বের আলী বলেন, গত মঙ্গলবার এনসিপির আহ্বায়কসহ কেন্দ্রীয় নেতারা রাজশাহীতে এসেছিলেন। তাঁরা মহানগর কমিটির জন্যও সেদিন সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। এর ভিত্তিতেই এই কমিটি দেওয়া হয়েছে। ছয় মাস পর কমিটি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠন করা হবে। রাজশাহীতে এনসিপি সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে। সামনে মহানগরের ছয় থানা কমিটি ও ওয়ার্ড কমিটিও দেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সদস যসচ ব এনস প র র রহম ন সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
শিশুদের হাতে মোবাইল না দিতে বাসস চেয়ারম্যানের অনুরোধ
শিশুদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে না দিতে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অনুরোধ করেন।
বাসস চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তির কারণে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তারা মেধাহীন হয়ে যাচ্ছে। শিশুদের মোবাইল ফোন না দিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখলে তাদের মেধার বিকাশ ঘটবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের যদি মেধাবী করে গড়ে তোলা হয়, তাহলে আগামী দিনের বাংলাদেশে সেই সুফল ভোগ করা যাবে।’’
ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি গাযী আনোয়ার হোসেন ও সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানী।
ডিআরইউর সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. এমদাদুল হক খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারীবিষয়ক সম্পাদক রোজিনা রোজী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজান চৌধুরী, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ), কার্যনির্বাহী সদস্য মো. জুনায়েদ হোসাইন (জুনায়েদ শিশির), আকতারুজ্জামান, আমিনুল হক ভূঁইয়া, মো. সলিম উল্ল্যা (এস ইউ সেলিম)-সহ ডিআরইউ সদস্যরা।
প্রতি বছরের মতো এবারো ডিআরইউ শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে ডিআরইউর শফিকুল কবির মিলনায়তনে দিনব্যাপী এ উৎসব চলে। এতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সংগঠনের সদস্যদের শতাধিক সন্তান অংশ নেয়। চিত্রাঙ্কন, সংগীত ও আবৃত্তিতে ক, খ, গ বিভাগে ২৭ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
এবারের প্রতিযোগিতায় চিত্রাঙ্কনে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র আর্টিস্ট অভিজিৎ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সহকারী অধ্যাপক কামাল উদ্দিন ও চিত্রশিল্পী শায়লা আক্তার। সংগীতে বিচারক ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. অণিমা রায় এবং বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের কণ্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক আলম মাহমুদ। আবৃত্তি বিভাগে বিচারক ছিলেন আবৃত্তিকার রেজিনা ওয়ালী লীনা, ফয়জুল আলম পাপ্পু ও শিশু একাডেমির আবৃত্তির প্রশিক্ষক রূপশ্রী চক্রবর্তী।
প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা হলো- চিত্রাঙ্কন ক বিভাগে প্রথম হোসেন রিজভান রাউসিফ, দ্বিতীয় আরাবি আল আবিদ, তৃতীয় ফাতেমা তাছনিম, খ বিভাগে প্রথম হয়েছে হোসেন রাজভীন রাউনাফ, দ্বিতীয় মেহজুবা ইবনাত সিমলা, তৃতীয় সানদিহা জাহান দিবা, গ বিভাগে প্রথম হয়েছে জাওয়াদ খান, দ্বিতীয় মারজুকা জয়নব, তৃতীয় অদ্বিতীয়া পূণ্য।
সঙ্গীত ক বিভাগে প্রথম হয়েছে, মুয়ান্তিরা রহমান সানাইয়া, দ্বিতীয় জাওয়াদ ইনাম সানান, তৃতীয় অরুন্ধতী কর গল্প, খ বিভাগে প্রথম তাসনুভা মাহরিন তানিশা, দ্বিতীয় আরাত্রিকা দাস বৃদ্ধি, তৃতীয় ওয়াজিহা মাহবুব শাইরা, গ বিভাগে প্রথম জেরিন ফেরদৌস পঙক্তি, দ্বিতীয় রাদিতা জাহান নুভা, তৃতীয় মাকসুদা রুকাইয়া।
আবৃত্তি ক বিভাগে প্রথম অরুন্ধতী কর গল্প, দ্বিতীয় তাহসিন হক আনিকা, তৃতীয় সুহায়লা জাইমা। খ বিভাগে প্রথম সানদিয়া জাহান দিবা, হোসেন রাজভীন রাউনাফ, আইনুন নাহার আকসা। গ বিভাগে প্রথম জেরিন ফেরদৌস পঙক্তি, দ্বিতীয় আনান মুস্তাফিজ, তৃতীয় মারজুকা জয়নব।
ঢাকা/এএএম/রাজীব
 শিক্ষকদের অনশনস্থলে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে এনসিপি
শিক্ষকদের অনশনস্থলে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে এনসিপি