নাগেশ্বরীতে আগুনে পুড়ল ৮ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান
Published: 31st, October 2025 GMT
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা বাজারে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে লাগা আগুনে আটটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনে ৪২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, সার-তেল, বীজ ও কীটনাশক ব্যাবসায়ী অধির চন্দ্র সাহার ১৭ লাখ, একই পণ্যের ব্যাবসায়ী আমিনুল ইসলামের ১০ লাখ, কাকলী ট্রেডর্সের মালিক হাছেন আলীর ১০ লাখ, মুদি দোকান মালিক মমিনুল ইসলাম, সুপারি ব্যবসায়ী আতাউর ও ইব্রাহিমের ৩ লাখ, সেলুন মালিক ফনি চন্দ্র শীলের দেড় লাখ এবং মসলা ব্যবসায়ী মোজাফ্ফর আলীর ৫০ হাজার টাকার মালমাল আগুনে পুড়ে গেছে।
আরো পড়ুন:
পাঁচ কোটি টাকা সংগ্রহে ব্রেইন স্টেশনের কিউআইও’র আবেদন
ই-জেনারেশনের ২.                
      
				
স্থানীয় বাসিন্দা আশিকুর রহমান বলেন, “আজ ভোর পৌনে ৫টার দিকে ঘুম থেকে উঠে দেখি, বাজারের উত্তর পাশের একটি দোকানে আগুন জ্বলছে। মানুষজনকে ডাকাডাকি করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি।”
খাইরুল ইসলাম নামে অপর এক ব্যক্তি বলেন, “মূহূর্তেই আগুন অন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।”
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী আমিনুর রহমানের ছোট ভাই মমিনুল ইসলাম জানান, তাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে আনুমানিক ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অধির চন্দ্র সাহার ছেলে প্রাণ চন্দ্র সাহা বলেন, “রাতে বাবা দোকন বন্ধ করে বাসায় ফেরেন। ভোরে মানুষের হৈচৈ শুনে বাজারে এসে দেখি, দোকানে আগুন জ্বলছে। আগুনে আমাদের ১৭ লাখ টাকা মালামাল পুড়ে গেছে।”
কেদার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়াম্যান আ.খ.ম ওয়াজিদুল কবীর রাশেদ বলেন, “ঘটনাস্থলে এসে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই। তাদরে একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে স্থানীয়রা আগুন নেভাতে কাজ শুরু করেন।”
নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার সাইফুল ইসলাম জানান, বৈদ্যতিক শট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করা হচ্ছে।
ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন ন গ শ বর ল ইসল ম ব যবস য় আগ ন ন
এছাড়াও পড়ুন:
চিম্বুকে ভালুকের আক্রমণে একজন আহত, ৫ বছরে ১০ জন হামলার শিকার
বান্দরবান-চিম্বুক-থানচি সড়কের পোড়াবাংলা পটোসিংপাড়ায় আজ শুক্রবার সকালে ভালুকের আক্রমণে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
বন বিভাগ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২০২১ সাল থেকে ভালুকের আক্রমণ বেড়েছে। গত পাঁচ বছরে ১০ জন আক্রমণের শিকার হয়েছেন। আক্রমণের শিকার ব্যক্তিদের অধিকাংশ ম্রো জনগোষ্ঠীর। ভালুকের কারণে আহত হওয়ার ঘটনায় আবেদন না করায় এই পর্যন্ত কেউ ক্ষতিপূরণ পায়নি বলে বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পোড়াবাংলা পটোসিংপাড়ার কাইনপ্রে ম্রো (৩৫) পাড়া থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে জুমখেতে কাজ করতে যান। সেখানে জুমের পাশে কলাবাগানে কাজ করার সময় হঠাৎ কালো রঙের একটি ভালুক তাঁর ওপর আক্রমণ করে। ভালুকটি তাঁর পেটে ও মুখে আঘাত করতে থাকে। তাঁর চিৎকারে আশপাশে জুমের লোকজন এগিয়ে আসেন।
আহত কাইনপ্রে ম্রোর ভাই তনরুই ম্রো জানিয়েছেন, আশপাশের লোকজনের এগিয়ে আসা দেখে ভালুকটি কাইনপ্রে ম্রোকে ছেড়ে দিয়ে বনে পালিয়ে যায়। তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে কাইনপ্রে ম্রোকে উদ্ধার করে দুপুরে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পোড়াবাংলা পটোসিংপাড়া জেলা শহর থেকে ৩১ কিলোমিটার দূরে। পাড়াটি রুমা উপজেলার গালেংগ্যা ইউনিয়নে পড়েছে।
বান্দরবান সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আহত কাইনপ্রে ম্রোর পেটে ও মাথায় গভীর ক্ষত আছে। এ জন্য তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, থানচি তিন্দু ইউনিয়নে মেনপই ম্রো নামের একজন ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিল প্রথম ভালুকের আক্রমণের শিকার হন। ওই একজনসহ ২০২১ সাল থেকে এই পর্যন্ত ৫ বছরে ১০ জন ভালুকের আক্রমণে আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে থানচিতে দুজন, রুমাতে তিনজন, আলীকদমে একজন ও বান্দরবান সদর উপজেলা চিম্বুক পাহাড়ে চারজন রয়েছেন। কারও মৃত্যু না হলেও তাঁদের মধ্যে কেউ চোখ হারিয়েছেন, কারও হাত–পা পঙ্গু হয়েছে। আহত ব্যক্তিরা একজন মারমা ও একজন খুমি ছাড়া অন্যরা সবাই ম্রো।
বন বিভাগের বান্দরবানের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. আবদুর রহমান জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক বনাঞ্চল কেটে উদ্যান বাগান ও জুমচাষ করা এলাকাগুলোতে ভালুকের আক্রমণ বেড়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, বাগানের কারণে ভালুক ও অন্যান্য বন্য প্রাণীরা আবাসস্থল ও বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যসংস্থান হারাচ্ছে। জীবনের তাগিদে তারা মানুষের সঙ্গে মুখোমুখি হতে বাধ্য হচ্ছে। বন নির্ভর মানুষকে অন্যভাবে আয়ের সংস্থানের মাধ্যমে প্রাকৃতিক বনাঞ্চল সংরক্ষণ না হলে বন্য প্রাণীর সঙ্গে সহাবস্থান গড়ে উঠবে না। এভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করা না হলে বন্য প্রাণী ও মানুষ কারও জন্য মঙ্গলজনক হবে না।
 ‘ক্রিকেটারদের বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়’
‘ক্রিকেটারদের বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়’