‘আমরা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চাই, লাঠিপেটা না’
Published: 17th, October 2025 GMT
“আমরা দেশের স্বার্থে আন্দোলন করছি, কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে নয়। অথচ আমাদের ওপরই লাঠি উঠল, গ্রেনেড ফাটল, কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হলো।”
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় এ কথা বলছিলেন আহত জুলাই যোদ্ধা রুবেল।
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় "জুলাই সনদ স্বাক্ষর’ অনুষ্ঠানের আগে ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয়ে আসা শতাধিক ব্যক্তি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহারে উভয়পক্ষের অন্তত ২৭ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে অন্তত ১৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত রুবেল বলেন, “পুলিশ আমাদের সরিয়ে দিতে বলেছিল। আমরা বলেছিলাম, আলোচনায় বসুন। কিন্তু কথা না বলে হঠাৎ আমাদের ওপর আক্রমণ হলো। আমাদের দাবি ছিল স্পষ্ট রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, আইনি সুরক্ষা ও পুনর্বাসন। এই চাওয়াই কি অপরাধ।”
আহত আরেকজন কামরুল হাসান (২৯) বলেন, “আমরা মঞ্চের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলাম। হঠাৎ করে পুলিশ এসে লাঠিপেটা শুরু করে। আমি দৌড়াতে গিয়ে পড়ে যাই, পিঠে লাঠি লাগে। হাসপাতালে আনার পরও বুকে ব্যথা অনুভব করছি।”
তাদের দাবি, “জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া ও আহত হওয়া ব্যক্তিদের ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।”
আহত সিনথিয়া (২১) যিনি নারী যোদ্ধাদের প্রতিনিধি হিসেবে এসেছিলেন। তিনি বলেন, “আমরা নারী হয়েও সাহস করে পথে নেমেছি। কিন্তু আজ পুলিশের লাঠিতে আমি মাথায় আঘাত পেয়েছি। আমাদের এতটুকু সম্মানও কী কেউ রাখল না?”
আতিকুল গাজী (২০) নামের আরেকজন আহত বলেন, “সংসদের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিলাম। বারবার বলেছিলাম, কোনো বিশৃঙ্খলা করব না। কিন্তু আমাদের কথা কেউ শোনেনি। আমাদের গায়ে হাত তুলেছে, এটা আমরা কোনোদিন ভুলব না।”
আন্দোলনকারী মাজহারুল ইসলাম বলেন, “দুপুরে পুলিশের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম। আমি নিজে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গেছে।
ঢাকা/এএএম/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তফসিলের আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে ইসি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ১০ বা ১১ ডিসেম্বর দুপুরে সাক্ষাতের সময় চাওয়া হয়েছে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের প্রস্তুতি তুলে ধরে। এটি একটি রেওয়াজ। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর তফসিল ঘোষণা করা হয়। ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে পরদিন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক কর্মশালায় ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, তফসিল ও গণভোট নিয়ে আলোচনা করতে ১০ অথবা ১১ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ইসি সচিব আরও বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে একটি সংশোধনী ছিল প্রবাসীদের ভোট তথা পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি কী হবে, কোন কোন ব্যালট বাদ যাবে। এটি উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন করেছে।
আখতার আহমেদ বলেন, গতকাল বুধবার দুটি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের বিষয়ে বাড়তি তথ্য অনুসন্ধানে তাদের নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। দল দুটি হলো বাংলাদেশ জনতার দল ও আম জনতার দল। এই দুটি দলের বিষয়ে কোনো আপত্তি আছে কি না, তা জানতে চেয়ে আগামীকাল শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।