ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ভাঙারি ব্যবসায়ী নিহত
Published: 31st, October 2025 GMT
ঝালকাঠির নলছিটিতে দুই অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ভাঙারি ব্যবসায়ী শেখ শাহ আলম মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাত ঝালকাঠি-বরিশাল মহাসড়কের ষাটপাকিয়া এলাকায় মারা যান তিনি।
নিহত শাহ আলম গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার হিরন গ্রামের মৃত শেখ আবতুর ছেলে।
আরো পড়ুন:
পূর্বধলায় ট্রাকের পেছনে অটোরিকশার ধাক্কা, নিহত ২
মোটরসাইকেলে পিকআপের ধাক্কা, বিআরডিবি কর্মকর্তা নিহত
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ষাটপাকিয়া পেট্রোল পাম্প এলাকায় দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন ভাঙারি ব্যবসায়ী শেখ শাহ আলম। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, দুর্ঘটনাস্থল থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে। চালক পালিয়ে গেছেন। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
অন্যদিকে, রাজাপুর উপজেলার ইন্দ্রপাশা গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক শাহ আলম খলিফা (৩৮) বৃহস্পতিবার ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত ২৩ অক্টোবর ঝালকাঠি সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় মাহিন্দ্রা ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনি গুরুতর আহত হন। ওই ঘটনায় নয়জন আহত হয়েছিলেন।
এলাকাবাসী জানান, শাহ আলম খলিফার জানাজা শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৯টায় পশ্চিম ইন্দ্রপাশা খায়গোবাড়ি এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়। তিনি দুই শিশু সন্তানের জনক। তার মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
ঢাকা/অলোক/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত শ হ আলম ঝ লক ঠ এল ক য় ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশ যেতে কেন বাধা দেওয়া হল, প্রশ্ন মিলনের
ইমিগ্রেশনে বাধা পেয়ে বিদেশে যেতে না পেরে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তার ব্যাখ্যা দাবি করেছেন বিএনপি নেতা এহছানুল হক মিলন।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, “আমি সরকারের কাছে জানতে চাই, কেন আমাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হলো না?”
আরো পড়ুন:
একটি মহল নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে: ডা. জাহিদ
গণভোট নিয়ে ‘ক্রসরোডে’ সরকার
খালেদা জিয়ার ২০০১ সালের সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক বৃহস্পতিবার সকালে থাইল্যান্ডে রওনা হওয়ার আগে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন বিভাগ তাকে আটকে দেয়। ফলে তিনি আর বিদেশে যেতে পারেননি। কী কারণে তাকে আটকে দেওয়া হল, এ বিষয়ে সরকারি কোনো ভাষ্য পাওয়া যায়নি।
এর ব্যাখ্যা চেয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এহছানুল হক আওয়ামী লীগ সরকার আমলে ১৫ বছর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিরোধীদলের নেতাদের বিভিন্ন সময় বিদেশে যেতে বাধা দেওয়ার ঘটনাগুলো তুলে ধরেন।
বিদেশযাত্রায় বাধা পেয়ে ক্ষুব্ধ হলেও এজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করছেন না এহছানুল হক। তার ধারণা, কোনো ‘ভুল’ তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটকানো হয়েছে।
এহছানুল হক বলেন, “এই সরকার মহান চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের সরকার। আমার দল বিএনপি শুরু থেকেই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও তার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সরকারের কোনো সংস্থা বা বিভাগ কারও ভুল তথ্য বা ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হবে না। আমিসহ দেশের সব নাগরিকের সাংবিধানিক, নাগরিক ও মানবিক অধিকার রক্ষায় তারা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
সাবেক এই সংসদ সদস্য জানান, রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তিনি সচেষ্ট আছেন এবং থাকবেন। দেশ ও মানুষের কল্যাণে সরকারকে সহযোগিতা করতেও তিনি প্রস্তুত।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ
 মোবাইল চার্জ দেওয়াকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
মোবাইল চার্জ দেওয়াকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে হত্যা