মেসিদের নিয়ে আসতে আর্জেন্টিনাকে ১৭০ কোটি টাকা দেবে অ্যাঙ্গোলা
Published: 31st, October 2025 GMT
নভেম্বরের আন্তর্জাতিক বিরতিতে অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলতে লুয়ান্দায় যাবে আর্জেন্টিনা জাতীয় দল। আঙ্গোলার স্বাধীনতা প্রাপ্তির ৫০তম বার্ষিকী উদ্যাপনের অংশ হিসেবে আগামী ১৪ নভেম্বর আয়োজন করা হবে ম্যাচটি। স্বাধীনতা অর্জনের ঐতিহাসিক মুহূর্ত অ্যাঙ্গোলা সরকারের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ, যে কারণে তারা বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে নিয়ে আসতে চায় তাদের দেশ সফরে।
তবে লিওনেল মেসি, হুলিয়ান আলভারেজ বা লাওতারো মার্তিনেজের মতো তারকা খেলোয়াড়দের আতিথ্য দেওয়াটা মোটেই সহজ বিষয় নয়। ‘স্পোর্টস নিউজ আফ্রিকা’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাঙ্গোলা এই প্রীতি ম্যাচের জন্য আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনকে (এএফএ) প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭০ কোটি টাকা দেবে। সাম্প্রতিক সময়ে ফুটবল আঙ্গোলায় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ফুটবল ম্যাচগুলোয়ও বেড়েছে দর্শক উপস্থিতি। সেই আবেগকে কেন্দ্র করে এই ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।
নভেম্বরের আন্তর্জাতিক বিরতিতে মরক্কোর মতো দলও চেয়েছিল তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের বিরুদ্ধে খেলতে। তবে অ্যাঙ্গোলা সরকারের কাছ থেকে পাওয়া লোভনীয় প্রস্তাব আর্জেন্টিনাকে লুয়ান্দায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রভাবিত করেছে।
আরও পড়ুনভিনিসিয়ুসের প্রেমিকা কে এই ভার্জিনিয়া ফনসেকা২ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সবার ওপরে থেকে শেষ করেছে আর্জেন্টিনা। এখন তাদের চোখ বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে। প্রস্তুতির পাশাপাশি দলের আশপাশে থাকা তরুণ খেলোয়াড়দেরও ঝালিয়ে নিতে চায় আর্জেন্টিনা। পরীক্ষিত তারকাদেরও বাছাই করে ম্যাচ খেলাতে চান কোচ লিওনেল স্কালোনি।
আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন
এছাড়াও পড়ুন:
শিশুদের হাতে মোবাইল না দিতে বাসস চেয়ারম্যানের অনুরোধ
শিশুদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে না দিতে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অনুরোধ করেন।
বাসস চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তির কারণে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তারা মেধাহীন হয়ে যাচ্ছে। শিশুদের মোবাইল ফোন না দিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখলে তাদের মেধার বিকাশ ঘটবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের যদি মেধাবী করে গড়ে তোলা হয়, তাহলে আগামী দিনের বাংলাদেশে সেই সুফল ভোগ করা যাবে।’’
ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি গাযী আনোয়ার হোসেন ও সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানী।
ডিআরইউর সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. এমদাদুল হক খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারীবিষয়ক সম্পাদক রোজিনা রোজী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজান চৌধুরী, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ), কার্যনির্বাহী সদস্য মো. জুনায়েদ হোসাইন (জুনায়েদ শিশির), আকতারুজ্জামান, আমিনুল হক ভূঁইয়া, মো. সলিম উল্ল্যা (এস ইউ সেলিম)-সহ ডিআরইউ সদস্যরা।
প্রতি বছরের মতো এবারো ডিআরইউ শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে ডিআরইউর শফিকুল কবির মিলনায়তনে দিনব্যাপী এ উৎসব চলে। এতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সংগঠনের সদস্যদের শতাধিক সন্তান অংশ নেয়। চিত্রাঙ্কন, সংগীত ও আবৃত্তিতে ক, খ, গ বিভাগে ২৭ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
এবারের প্রতিযোগিতায় চিত্রাঙ্কনে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র আর্টিস্ট অভিজিৎ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সহকারী অধ্যাপক কামাল উদ্দিন ও চিত্রশিল্পী শায়লা আক্তার। সংগীতে বিচারক ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. অণিমা রায় এবং বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের কণ্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক আলম মাহমুদ। আবৃত্তি বিভাগে বিচারক ছিলেন আবৃত্তিকার রেজিনা ওয়ালী লীনা, ফয়জুল আলম পাপ্পু ও শিশু একাডেমির আবৃত্তির প্রশিক্ষক রূপশ্রী চক্রবর্তী।
প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা হলো- চিত্রাঙ্কন ক বিভাগে প্রথম হোসেন রিজভান রাউসিফ, দ্বিতীয় আরাবি আল আবিদ, তৃতীয় ফাতেমা তাছনিম, খ বিভাগে প্রথম হয়েছে হোসেন রাজভীন রাউনাফ, দ্বিতীয় মেহজুবা ইবনাত সিমলা, তৃতীয় সানদিহা জাহান দিবা, গ বিভাগে প্রথম হয়েছে জাওয়াদ খান, দ্বিতীয় মারজুকা জয়নব, তৃতীয় অদ্বিতীয়া পূণ্য।
সঙ্গীত ক বিভাগে প্রথম হয়েছে, মুয়ান্তিরা রহমান সানাইয়া, দ্বিতীয় জাওয়াদ ইনাম সানান, তৃতীয় অরুন্ধতী কর গল্প, খ বিভাগে প্রথম তাসনুভা মাহরিন তানিশা, দ্বিতীয় আরাত্রিকা দাস বৃদ্ধি, তৃতীয় ওয়াজিহা মাহবুব শাইরা, গ বিভাগে প্রথম জেরিন ফেরদৌস পঙক্তি, দ্বিতীয় রাদিতা জাহান নুভা, তৃতীয় মাকসুদা রুকাইয়া।
আবৃত্তি ক বিভাগে প্রথম অরুন্ধতী কর গল্প, দ্বিতীয় তাহসিন হক আনিকা, তৃতীয় সুহায়লা জাইমা। খ বিভাগে প্রথম সানদিয়া জাহান দিবা, হোসেন রাজভীন রাউনাফ, আইনুন নাহার আকসা। গ বিভাগে প্রথম জেরিন ফেরদৌস পঙক্তি, দ্বিতীয় আনান মুস্তাফিজ, তৃতীয় মারজুকা জয়নব।
ঢাকা/এএএম/রাজীব
 শিক্ষকদের অনশনস্থলে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে এনসিপি
শিক্ষকদের অনশনস্থলে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে এনসিপি