‘ম্যাডাম যখনই বাইর হবে, অন্তত তাঁর গাড়িটা তো দেখতে পাব’
Published: 1st, December 2025 GMT
‘খুব দেখার ইচ্ছা ম্যাডামকে। দল করি, তাই ম্যাডামের জন্য যদি মরণও হয়, আফসোস নাই। তাঁরে দেখতে না পাইলেও ম্যাডাম যখনই বাইর হবে, অন্তত তাঁর গাড়িটা তো দেখতে পাব। দোয়া করি, আল্লাহ তাঁরে সুস্থ করুক।’
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে কথাগুলো বলছিলেন নীলফামারী থেকে আসা আমজাদ হোসেন। আজ সোমবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে তাঁর সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর। এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
আমজাদ হোসেন বলেন, গতকাল রোববার তিনি ঢাকায় এসেছেন তিনি। খালেদা জিয়া যত দিন হাসপাতালে থাকবেন, তিনিও তত দিন এখানে অপেক্ষা করতে চান।
এই সময়ে পরিবারের দেখভাল কে করবে, জানতে চাওয়া হয় আমজাদ হোসেনের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, ‘পরিবার চলছে। তিন-চার দিনের খরচ যা লাগে, দিয়ে আইছি।’
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে দেখতে, তাঁর স্বাস্থ্যগত অবস্থার খোঁজখবর নিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে ভিড় করছেন নেতা-কর্মীরা।
আজ সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সরেজমিনে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের ভিড় দেখা যায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এখানে এসেছেন তাইজুল ইসলাম। তিনি যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানান। তিনি বলেন, ‘মনের আকুতি মেটাতে এসেছি। চেষ্টা করব, একনজর দেখার।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এসেছেন তাজুল ইসলাম (মাঝে)। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘ক্ষোভটা’ এতোদিন পুষে রেখেছিলেন মাহেদী!
নিয়মিত পারফর্ম করেও মাহেদী হাসানকে একাদশের বাইরে থাকতে হয়। কখনো কম্বিনেশনের কারণে। কখনো কন্ডিশনের কারণে। আবার কখনো প্রতিপক্ষ বিবেচনায়। তবে ২২ গজে যখনই তিনি ফিরুক পারফরম্যান্স দিয়ে নিজের ছাপ রাখতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখেন না।
গতকাল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয়ের পার্শ্বনায়ক ছিলেন তিনি। ৪ ওভারে ২৫ রানে তার শিকার ছিল ৩ উইকেট। শুরুর ওভারে ১৩ রান বিলিয়ে এলেও পরের ৩ বলে ১২ রানে মহাগুরুত্বপূর্ণ ৩ উইকেট নেন। রান চাপে আটকে রাখেন আইরিশ ব্যাটসম্যানদের।
শুধু গতকালই নয়, নিজের খেলা সবশেষ ৬ ম্যাচের সবকটিতে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন। কখনো পাওয়ার প্লে’তে। কখনো মিডল ওভারে। প্রয়োজনে ডেথ ওভারে। তবে এর মধ্যে একবারও ৩০ রানের বেশি দেননি। উইকেটও আছে তার। তবুও বাদ পড়তে হয় তাকে। কেন এমনটা হয়? মাহেদী নিজেও কি জানেন কারণ! জিজ্ঞেস করা হয় মেহেদীকে।
দলকে নান্দনিক শটে চার মেরে জিতিয়ে এসে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে তা ভাবেননি মাহেদী। দলে নিয়মিত সুযোগ না পাওয়ার ক্ষোভ তারও যে আছে তা বোঝা গেল কথায়,
“আপনি যেটা প্রশ্নটা করেছেন যে, আমার জন্য কঠিন… আসলে সিম্পল একটা প্রশ্ন আমি করি। আপনি যে চ্যানেলে চাকরি করেন, এক মাস এই চ্যানেলে এক মাস ওই চ্যানেলে চাকরি করলে অবশ্যই আপনার জন্য এটা কমফরটেবল না। একই ব্যাপার আমারও। কঠিন আমার জন্য, তবে চেষ্টা করছি।’’
প্রশ্নের সোজাসাপ্টা উত্তর মাহেদীর কাছে হয়তো আছে, কিন্তু দেবেন না। কিন্তু যিনি দিতে পারবেন সেই পথটাও দেখিয়ে দিলেন,“আসলে এই প্রশ্নটার উত্তর হয়তো প্রধান কোচ দিতে পারবে, আমাদের অধিনায়ক দিতে পারবে, আমাদের দল নির্বাচনে যারা আছে, তারা দিতে পারবে।’’
সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে মাহেদী একটু অভাগাই। গত এশিয়া কাপে ৪ ম্যাচে ৬ উইকেট পেয়েছিলেন। বোলিং গড় ছিল ৬.৮৭। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে ফিরে ৪ ওভারে ১৮ রানে ১ উইকেট নেন। কিন্তু আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই তাকে রাখা হয়নি।
ভালো করে, অবদান রেখে, শতভাগ নিবেদন দেখিয়েও সুযোগ না পাওয়ার আক্ষেপে ক্ষোভ জমেছিল তার মনেও। সেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ না হলেও কিছুটা জানান দিতে পারলেন সবাইকে।
সুযোগ যেভাবেই আসুক, যখনই আসুক, প্রতিটি ম্যাচ, প্রতিটি ওভার, প্রতিটি বলে শতভাগ উজার করে দেওয়ার কথাই বললেন মাহেদী, ‘‘আমার কাজ হচ্ছে খেলা। দেখেন ক্রিকেটার হিসেবে প্রথমত বাংলাদেশ দলে খেলা একটা গর্বের বিষয়, সেটা আমি ১০ ম্যাচ পরে খেলি বা নিয়মিত খেলি, খেলতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ।”
দলকে সিরিজে ফিরিয়ে মাহেদী হয়তো নিশ্চিতও নন ২ ডিসেম্বর তৃতীয় ম্যাচটি খেলতে পারবেন কিনা। যদি পারেন নিশ্চিতভাবেই শুরু থেকেই আবার শুরু করতে হবে। যদি না পারে তাহলেও অপেক্ষাতেই থাকতে হবে স্পিন অলরাউন্ডারকে।
ঢাকা/ইয়াসিন