আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন মেহজাবীন চৌধুরী
Published: 16th, November 2025 GMT
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী এবং তার ভাই আলিসান চৌধুরী। রবিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক আফরোজা তানিয়া শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন। গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মেহজাবীন চৌধুরীর আইনজীবী তুহিন হাওলাদার।
এর আগে প্রকাশ্যে আসে, ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক আফরোজা তানিয়া গত ১০ নভেম্বর মেহজাবীন চৌধুরী ও তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। রবিবার (১৬ নভেম্বর) মামলার বাদী আমিরুল ইসলাম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরো পড়ুন:
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রসঙ্গে যা বললেন মেহজাবীন
কোটির ঘরে ১০০ নাটক!
আমিরুল ইসলাম বলেন, গত ১০ নভেম্বর মামলার আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার দিন ঠিক থাকলেও তারা উপস্থিত হননি। এজন্য আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার নথিতে বলা হয়েছে, আমিরুল ইসলামের সাথে দীর্ঘদিনের পরিচয়ের সুবাদে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মেহজাবীন চৌধুরীর নতুন পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখবে বলে নগদ অর্থে এবং বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ২৭ লাখ টাকা দেন। এরপর মেহজাবীন ও তার ভাই দীর্ঘদিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ না নেওয়ায় আমিরুল ইসলাম বিভিন্ন সময় টাকা চাইতে গেলে আজকে দিব, কালকে দিব বলে কালক্ষেপন করে।
হত্যার হুমকির তথ্য উল্রেখ করে মামলার নথিতে বলা হয়, পরবর্তীতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পাওনা টাকা চাইতে যান আমিরুল। তাকে ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে আসতে বলেন। ওইদিন ঘটনাস্থলে গেলে মেহজাবীন ও তার ভাইসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা বলেন ‘এরপর তুই আমাদের বাসায় টাকা চাইতে যাবি না। তোকে বাসার সামনে পুনরায় দেখলে জানে মেরে ফেলব’।
বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ভাটারা থানায় গেলে কর্তৃপক্ষ আমিরুলকে আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেয়। গত ২৪ মার্চ বাদী হয়ে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন আমিরুল।
মেহজাবীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই অভিনেত্রী। ফেসবুক পোস্টে মেহজাবীন চৌধুরী লিখেছেন, “আমি মেহজাবীন চৌধুরী। আজ একটি ভুয়া ও মিথ্যা মামলার সংবাদ দেখে আমি বিস্মিত। আমি মনে করি, বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গুজব ছাড়া কিছু নয়। এ ধরনের কোনো ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমি সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িত নই। যে বা যারা এমন ভিত্তিহীন মামলা করেছেন, তাদের কাউকে আমি চিনি না। যারা আমাকে চেনেন, তারা জানেন আমি কেবল আমার অভিনয় ও পেশাগত দায়িত্বে সর্বদা নিবেদিত। আমি এমন কোনো ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে নেই, যেখানে আইনি জটিলতায় জড়ানোর প্রশ্ন আসে।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হজ ব ন চ ধ র ট ভ ন টক চলচ চ ত র ম হজ ব ন চ ধ র আম র ল ইসল ম কর ছ ন পর য় ন ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
রোনালদোর লাল কার্ড, পর্তুগালকে চমকে দিল আয়ারল্যান্ড
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অবিশ্বাস্য এক রাত দেখল ডাবলিন। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেন, আর ট্রয় প্যারটের জোড়া গোল আয়ারল্যান্ডকে এনে দিল পর্তুগালের বিরুদ্ধে দারুণ ২-০ গোলের জয়। যা তাদের নিয়ে গেল হাঙ্গেরির সাথে গ্রুপ রানার্স-আপ নির্ধারণের লড়াইয়ে।
৪০ বছর বয়সী পর্তুগাল অধিনায়ক দ্বিতীয়ার্ধে বল ছাড়া পরিস্থিতিতে ডারা ও’শিয়াকে কনুই মেরে বসেন। ম্যাচে তখনো আধাঘণ্টার বেশি বাকি। কিন্তু স্বাগতিকরা এরই মধ্যে নিজেদের গল্প লিখে ফেলছিলেন। বিশ্ব র্যাংকিংয়ে পঞ্চম স্থানের দলকে হারিয়ে আইরিশ ফুটবলের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় যোগ করার পথে।
আরো পড়ুন:
হামজার জোড়া গোলের পর ‘পুরোনো রোগে’ জয় বঞ্চিত বাংলাদেশ
‘যেভাবে বার্সেলোনা ছাড়ব ভেবেছিলাম, তা হয়নি’ মেসির হৃদয়ভরা আক্ষেপ
ডাবলিনে নেমেই রোনালদো বলেছিলেন তিনি “ভদ্র ছেলে” হয়ে থাকতে চান। কিন্তু মাঠে তার হাসিমুখ দ্রুতই রাগ, ক্ষোভ আর শেষ পর্যন্ত হতাশায় বদলে যায়। সুইডিশ রেফারি গ্লেন নিয়বেরগ যাকে ম্যাচের আগেই আয়ারল্যান্ড কোচ হেইমির হ্যালগ্রিমসনেরা বলেছিলেন যাতে রোনালদোর প্রভাব তাকে বিচলিত না করে। শেষ পর্যন্ত কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেই বাধ্য হন।
যদিও শেষ পর্যন্ত জয়টা এনে দেয় প্যারটের প্রথমার্ধের দুই গোল। কিন্তু গোটা ম্যাচ জুড়েই আয়ারল্যান্ড দল দেখিয়েছে দারুণ চরিত্র, অসাধারণ ঐক্য। আর এই জয় মানে রবিবার বুদাপেস্টে আরেকটি এমন পারফরম্যান্সই তাদের ‘গ্রুপ-এফ’ এ রানার্স-আপ নিশ্চিত করবে।
হাঙ্গেরির জয়ের পর আয়ারল্যান্ড জানত তাদের কী করতে হবে। আগের মাসে লিসবনেও পর্তুগালের কাছে তারা কঠিন সময় তৈরি করেছিল। আর এবারও শুরুতে নিজেদের অর্ধে আটকে গেলেও ধীরে ধীরে আক্রমণে উঠতে থাকে।
এদিকে রোনালদো ম্যাচের শুরুতে একাধিক সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি। বিরল আক্রমণে যখনই আয়ারল্যান্ড ওপরে উঠেছে, তখনই তারা বিপদ তৈরি করেছে। ১৭ মিনিটে গোলও আসে এমনই এক মুহূর্তে। প্যারট গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তাকে ভুল করতে বাধ্য করেন। এরপর জশ কালেনের সেট-পিস থেকে লিয়াম স্কেলসের হেড ফিরিয়ে দেওয়া বলটা কাছ থেকেই জালে ঠেলে দেন প্যারট।
এরপর কিছুক্ষণ পরই প্রায় ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলছিল আয়ারল্যান্ড। ও’শিয়ার লম্বা ক্লিয়ারেন্সে ছুটে গিয়ে ওগবেনে যে শট নেন, তা পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
কেলেহের দারুণ সেভে ফেলিক্সকে আটকে দেন, দালোত দুবার লক্ষ ভ্রষ্ট করেন। কিন্তু বিরতির ঠিক আগে ও’শিয়ার লম্বা পাস ধরে প্যারট ডান দিক দিয়ে ঢুকে কস্তাকে নিকট পোস্টে পরাস্ত করলে আয়ারল্যান্ডের লিড দ্বিগুণ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পর্তুগাল ফিরতে পারত। রেনাতো ভেইগার হেড থেকে বল পেয়ে ভিটিনিয়া গোল করতে ব্যর্থ হন। বল দখলে পর্তুগাল আধিপত্য বজায় রাখলেও তাদের সবচেয়ে বড় ধাক্কা আসে ৫৯ মিনিটে। প্রথমে রোনালদোকে শুধু হলুদ কার্ড দেখালেও ভিএআর পর্যালোচনায় রেফারি সিদ্ধান্ত বদলে সরাসরি লাল কার্ড দেখান।
মাঠ ছাড়ার সময় রোনালদো ও হ্যালগ্রিমসনের মধ্যে সংক্ষিপ্ত বাক্যালাপ ও করমর্দন হয়। কিন্তু দুজনেই বুঝে গিয়েছিলেন- এতেই ম্যাচের ভাগ্য ঠিক হয়ে গেছে।
শেষ দিকে পর্তুগালের চাপ বাড়লেও আয়ারল্যান্ড দৃঢ়তার সঙ্গে ম্যাচ শেষ করে। আর ডাবলিনে জন্ম নেয় আরেকটি স্মরণীয় রাত।
ঢাকা/আমিনুল