দেশের কয়েকটি স্থানে তিন দিন ধরে মাঝারি থেকে মৃদু ধরনের যে শৈত্যপ্রবাহ ছিল, তা কমে এসেছে। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ থেকে ১০–এর মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। গতকাল শনিবারও দেশের পাঁচ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামীকাল সোমবার তাপমাত্রা আরও খানিকটা বাড়তে পারে। তাপমাত্রা আবার কমতে পারে আগামী মঙ্গল বা বুধবার থেকে। তবে তখনো তাপমাত্রা খুব বেশি কমবে না বলেই আবহাওয়াবিদদের ধারণা।

আজ সকাল সোয়া ৯টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট ও যশোরে, ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সেই তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ রাজধানীতেও তাপমাত্রা বেড়েছে। আজ সকালে রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল তা ছিল ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এ মাসে এখন পর্যন্ত তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হয়নি। মাত্র এক দিন তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছিল। যাকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। পরদিনই অবশ্য তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এবার এখন পর্যন্ত তাপমাত্রা খুব কম না হওয়া বা শৈত্যপ্রবাহ দীর্ঘায়িত না হওয়ার পেছনে আরব সাগরে ক্রিয়াশীল লঘুচাপের কথা জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো.

বজলুর রশীদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, উত্তরের ঠান্ডা হাওয়া ভারতের বিভিন্ন এলাকা হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। কিন্তু আরব সাগরে এ মাসে লঘুচাপের বর্ধিতাংশ (ট্রাফ) সক্রিয়। আর এ কারণে ঠান্ডা বাতাসের প্রবাহ কমে গেছে। ঠান্ডা হাওয়া তাই সেখানে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তাই এখন পর্যন্ত শীত জাঁকিয়ে বসতে পারেনি।

আগামী মঙ্গল বা বুধবার থেকে তাপমাত্রা খানিকটা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ। তিনি বলেন, তবে তখনো তাপমাত্রা খুব বেশি কমবে না। ওই সময় তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা কম।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩৫ কিলোমিটারজুটে যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার নিমশার থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটারজুড়ে যানজট দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকেরা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি কাভার্ড ভ্যান উল্টে যাওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এ যানজট দেখা দেয়। 

হাইওয়ে পুলিশ  জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে মহাসড়কে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার নূরীতলা এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ফেনী থেকে রেকার এনে কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধারের কাজ শুরু করে পুলিশ। 

সকাল সাড়ে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে যানজট দেখা গেছে। 

ঢাকাগামী রয়েল পরিবহনের চালক রমিজ উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা করে বুড়িচংয়ের নিমশার বাজারে যানজটে এক ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে। ৫ মিনিট গাড়ি চললে ২০ মিনিট বসে থাকতে হয়। এভাবে ১০টা ৪০ মিনিটে চান্দিনায় পৌঁছেছি। এ সময়ে ঢাকার কাছাকাছি থাকার কথা ছিল। 

নিমশার বাজারে আটকে থাকা প্রাইভেট কারের যাত্রী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে যানজট অথচ সড়কে হাইওয়ে পুলিশ দেখছি না। 

ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন বলেন, মহাসড়কের নূরীতলা এলাকায় উল্টে কাভার্ড ভ্যানটি আড়াআড়িভাবে পড়ে ছিল। পরে ঢাকামুখী লেনের বেশ কিছু গাড়ি উল্টো পথে ঢোকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফেনী থেকে ক্রেন এনে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। 

হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিওনের পুলিশ সুপার অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম সমকালকে বলেন, দুর্ঘটনার কারণেই যানজট দেখা দিয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধার করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ