সরকারি সুকুক বন্ডে ব্যক্তি পর্যায়ে বিনিয়োগকারীদের বরাদ্দের হার বাড়ল
Published: 22nd, January 2025 GMT
ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ সুকুক বন্ডের ইউনিট বরাদ্দের হার বাড়ল। ফলে এখন থেকে ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীরা সুকুক বন্ডের ২০ শতাংশ বরাদ্দ পাবে। আগে এই হার ছিল ৫ শতাংশ। নতুন সার্কুলার অনুসারে, ব্যক্তিপর্যায়ের বিনিয়োগকারী, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স প্রভৃতি ইস্যুতব্য সুকুকের আগের চেয়ে ১৫ শতাংশ বরাদ্দের হার বেড়েছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়।
সার্কুলারের নির্দেশনা অনুসারে, শরিয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিমা কোম্পানি ইস্যুতব্য সুকুকের ৭০ শতাংশ, কনভেনশনাল ব্যাংকগুলোর ইসলামিক ব্রাঞ্চ ও উইন্ডোজ ইস্যুতব্য সুকুকের ১০ শতাংশ এবং ব্যক্তিপর্যায়ের বিনিয়োগকারী, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স প্রভৃতি ইস্যুতব্য সুকুকের ২০ শতাংশ হারে পাবে। এ ছাড়া আগের নির্দেশনার অন্যান্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে। নতুন নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
২০২৩ সালের জারি করা নির্দেশনায়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিমা কোম্পানি ইস্যুতব্য সুকুকের ৮৫ শতাংশ, কনভেনশনাল ব্যাংকগুলোর ইসলামিক ব্রাঞ্চ ও উইন্ডোজ ইস্যুতব্য সুকুকের ১০ শতাংশ এবং ব্যক্তিপর্যায়ের বিনিয়োগকারী, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স প্রভৃতি ইস্যুতব্য সুকুকের ৫ শতাংশ হারে বরাদ্দ ছিল। নতুন নির্দেশনায় শরিয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিমা কোম্পানির বরাদ্দের হার ১৫ শতাংশ কমিয়ে ব্যক্তিপর্যায়ের বিনিয়োগকারী, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স প্রভৃতিতে বরাদ্দের হার বাড়ানা হয়েছে।
আগের নির্দেশনা অনুযায়ী, ৩টি শ্রেণিতে প্রয়োজনীয় সাবস্ক্রিপশন না পাওয়া গেলে অকশনে অংশগ্রহণকারী কনভেনশনাল ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানির মধ্যে অবশিষ্ট সুকুক আনুপাতিক হারে বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এনএফ/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?
দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’
প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।
আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’
তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’
মুশফিকুর রহিম