আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বিদ্যাদেবী সরস্বতীর পূজা। পূজার দিন সরস্বতীর আরাধনা করবেন হিন্দুধর্মাবলম্বীরা। মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম উৎসব সরস্বতী পূজা। এ উপলক্ষে শেষ মুহূর্তে চলছে সরস্বতী প্রতিমা তৈরির কাজ। পূজার সব আয়োজন শেষের পথে। শেষ মুহূর্তে প্রতিমার গায়ে রং-তুলির আঁচড় দিচ্ছেন প্রতিমাশিল্পীরা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম এই উৎসবকে ঘিরে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রমনা কালী মন্দিরে চলছে প্রতিমা প্রস্তুতির ব্যস্ততা। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রমনা কালী মন্দির থেকে ছবিগুলো তুলেছেন লোকনাথ ঘোষ।
দেবী সরস্বতীর প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশেষ ধরনের কুমার মাটি।
প্রতিমার প্রথম ধাপ হিসেবে বাঁশ, খের ও মাটি দিয়ে আকৃতি তৈরি করা হয়
ধাপে ধাপে দেওয়া হয় রঙের প্রলেপ।
শিল্পীদের কল্পনার ছোঁয়ায় প্রতিমাগুলো পায় অনন্য রূপ।
ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির প্রতিমা তৈরি করছেন তারা, যা ভক্তদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হবে।
মন্দির কর্তৃপক্ষ আশা করছে, পূজা উপলক্ষে প্রচুর ভক্তসমাগম হবে এবং উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
ঢাকা/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘ওজোনস্তর ক্ষয়ে স্বাস্থ্য, কৃষি ও প্রাণিজগৎ ঝুঁকির মুখে’
ওজোনস্তর ক্ষয়ের ফলে মানবস্বাস্থ্য, কৃষি উৎপাদন ও প্রাণিজগৎ ঝুঁকির মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেছেন, “ওজোনস্তর রক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য।”
বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, “মন্ট্রিয়ল প্রটোকলের মতো কার্যকর আন্তর্জাতিক আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কারণে পৃথিবী আজ ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে। এটি একটি দৃষ্টান্ত যে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে আন্তর্জাতিক আইনও কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা যায়।”
উন্নত দেশগুলো অর্থ ও প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করায় ওজোনস্তর রক্ষায় বৈশ্বিক সাফল্য এসেছে মন্তব্য করে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়ও একইভাবে উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি ও সহযোগিতা অপরিহার্য। আমরা চাই, সমালোচনাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপে রূপান্তরিত করা হোক। ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক আচরণে পরিবর্তন আনলেই টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সম্ভব।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মহিউদ্দিন মানিক।
এতে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জিয়াউল হক এবং ইউএনডিপির প্রতিনিধি।
অনুষ্ঠানে বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা