রাজশাহী নগরের কাদিরগঞ্জে কোচিং সেন্টারে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় অস্ত্র, গুলি ও বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া অস্ত্রের অনুসন্ধানে পাশের পুকুরে নেমেছেন ডুবুরিরা। আজ শনিবার বেলা তিনটায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় দুই ডুবুরি অনুসন্ধান করছিলেন।

কাদিরগঞ্জ এলাকায় ‘ডক্টর ইংলিশ’ কোচিংয়ে ওই অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। কাদিরগঞ্জের সড়ক বন্ধ করে আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সেনাসদস্যরা ওই ভবন ঘিরে রাখেন। দুপুরের পর রাজশাহী সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘ এক মাসের গোয়েন্দা নজরদারির পরিপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর ৪০ ইস্ট বেঙ্গলের (মেকানাইজড) একটি দল গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টায় এ অভিযান শুরু করে।

ডক্টর ইংলিশ কোচিংয়ের মালিক মোন্তাসেবুল আলমকে (অনিন্দ্য) আটক করা হয়েছে। আটক অন্য দুজনের নাম মো.

রবিন ও মো. ফয়সাল। মোন্তাসেবুল রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শফিউল আলমের (লাট্টু) ছেলে। তাঁদের বাড়ির নিচতলায় ওই কোচিং সেন্টারের অবস্থান। তাঁরা রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের আত্মীয়। এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক রেজাউল করিম হত্যা মামলায় মোন্তাসেবুল আলমকে সন্দেহজনক আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে ওই মামলা থেকে অব্যাহতি পান তিনি।

আরও পড়ুনরাজশাহীতে কোচিং সেন্টারে যৌথ বাহিনীর অভিযান, ঘিরে রেখেছেন সেনাসদস্যরা৩ ঘণ্টা আগেরাজশাহী নগরের কাদিরগঞ্জে পুকুরে অনুসন্ধানে নেমেছেন ডুবুরিরা। আজ শনিবার দুপুরে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক দ রগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

হিরো আলমের ওপর হামলা

আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় তার ওপর হামলা হয়।

​প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রামপুরার আফতাব নগর এলাকায় মোটরসাইকেলযোগে কয়েকজন সন্ত্রাসী এসে হিরো আলমকে মারধর করেন। তারা তাকে আহত অবস্থায় ফেলে যায়। ​পরে হিরো আলমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আরো পড়ুন:

হিরো আলমের হার্ট অ্যাটাক: চিকিৎসকরা বলছেন ‘সমস্যা পাইনি’

হি‌রো আল‌মের বিরু‌দ্ধে মামলা কর‌বেন বগুড়ার আইনজীবী

​সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দেখা যায়, তিনি হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন এবং তার মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এর আগেও বিভিন্ন সময় হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- ২০২৩ সালেরব​ ১৭ জুলাই। সেদিন ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে তাকে মারধর করা হয়।

বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ঢাকা/এমআর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হিরো আলমের ওপর হামলা