সিকৃবিতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ছাত্রদলের কমিটি, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
Published: 16th, August 2025 GMT
রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা থাকার পর সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) আহ্বায়ক কমিটি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কমিটি দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির ৪৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন। এর প্রতিবাদে এদিন রাতেই হল প্রাঙ্গণ এলাকায় বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
কমিটিতে ভেটেরিনারি অনুষদের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো.
আরো পড়ুন:
পাথর লুটের ঘটনায় মামলা, আসামি ২ হাজার
৩ দফা দাবিতে শাবিপ্রবি প্রকৌশলী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও ছাত্রদলের কমিটি দেওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ইতোপূর্বে আমরা ছাত্রলীগের যে পৈশাচিক রূপ দেখেছি, সেটা আর দেখতে চাই না। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী সবসময় ভুক্তভোগী। আমাদের দেশের যে অসুস্থ ও লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি, তা শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে না। আমাদের ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ। তাই ভিসি স্যারের কাছে অনুরোধ করব, তিনি যেন সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মো. ইমাম হোসেন বলেন, “বিগত বছরগুলোতে আমরা ছাত্র রাজনীতির কুফল দেখতে পেয়েছি। এর বিরুদ্ধে সবাইকে নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এটি যেন বাতিল করা হয়। একইসঙ্গে প্রশাসন যেন এর ওপর যথাযথ নজরদারি রেখে উপযুক্ত ব্যাবস্থা নেয়।”
কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, “ক্যাম্পাসে রাজনীতি আমরা দেড় মাস ধরে আন্দোলন করে নিষিদ্ধ করিয়েছি। এই নিষিদ্ধের ধারা সবাইকে ধরে রাখতে হবে এবং ক্যাম্পাসে যাতে কোনো ধরনের রাজনীতি প্রবেশ না করে, সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে।”
এ বিষয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দিন আহাম্মদ এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদারকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তারা রিসিভ করেননি।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক সংগঠন, ছায়া সংগঠন এবং কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্ক ও সম্পৃক্ততা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা জানায় প্রশাসন।
ঢাকা/আইনুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল র র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
সিকৃবিতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ছাত্রদলের কমিটি, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা থাকার পর সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) আহ্বায়ক কমিটি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কমিটি দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির ৪৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন। এর প্রতিবাদে এদিন রাতেই হল প্রাঙ্গণ এলাকায় বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
কমিটিতে ভেটেরিনারি অনুষদের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. সানাউল হোসেন সনিকে আহ্বায়ক ও কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায়িক শিক্ষা অনুষেদ ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের সোহান তালুকদারকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
পাথর লুটের ঘটনায় মামলা, আসামি ২ হাজার
৩ দফা দাবিতে শাবিপ্রবি প্রকৌশলী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও ছাত্রদলের কমিটি দেওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ইতোপূর্বে আমরা ছাত্রলীগের যে পৈশাচিক রূপ দেখেছি, সেটা আর দেখতে চাই না। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী সবসময় ভুক্তভোগী। আমাদের দেশের যে অসুস্থ ও লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি, তা শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে না। আমাদের ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ। তাই ভিসি স্যারের কাছে অনুরোধ করব, তিনি যেন সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মো. ইমাম হোসেন বলেন, “বিগত বছরগুলোতে আমরা ছাত্র রাজনীতির কুফল দেখতে পেয়েছি। এর বিরুদ্ধে সবাইকে নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এটি যেন বাতিল করা হয়। একইসঙ্গে প্রশাসন যেন এর ওপর যথাযথ নজরদারি রেখে উপযুক্ত ব্যাবস্থা নেয়।”
কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, “ক্যাম্পাসে রাজনীতি আমরা দেড় মাস ধরে আন্দোলন করে নিষিদ্ধ করিয়েছি। এই নিষিদ্ধের ধারা সবাইকে ধরে রাখতে হবে এবং ক্যাম্পাসে যাতে কোনো ধরনের রাজনীতি প্রবেশ না করে, সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে।”
এ বিষয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দিন আহাম্মদ এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদারকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তারা রিসিভ করেননি।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক সংগঠন, ছায়া সংগঠন এবং কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্ক ও সম্পৃক্ততা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা জানায় প্রশাসন।
ঢাকা/আইনুল/মেহেদী