গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার
Published: 16th, August 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুর ও কালীগঞ্জ উপজেলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা রাতুল (২৩) ও তৌহিদুল ইসলাম সজল (২৬) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে রাতুলকে এবং কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজনগর কাচারি মাঠ এলাকা থেকে সজলকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আবদুল বারিক ও কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
আরো পড়ুন:
পাথর লুটের ঘটনায় মামলা, আসামি ২ হাজার
মানিকগঞ্জে সাবেক এমপি মমতাজের পিএসসহ গ্রেপ্তার ৬
রাতুল গাজীপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া (হাজী বাড়ি) গ্রামের আনিছুর রহমান ওরফে রশীদ মাস্টারের ছেলে। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের শ্রীপুর উপজেলা কমিটির নেতা। সজল কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের নয়াবাজার এলাকার সানাউল্লাহ সরকারের ছেলে এবং সংগঠনটির কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক।
স্থানীয়রা জানান, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাতুল তার বাড়িতে কাঙালিভোজের আয়োজন করেন। সেখানে কর্মীদের পাশাপাশি এলাকাবাসীর জন্য খিচুড়ি রান্না হচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
শ্রীপুর থানার ওসি মুহম্মদ আবদুল বারিক জানান, গত ১১ আগস্ট রাতে গাজীপুর ইউনিয়নের আজুগিরচালা এলাকায় মশাল মিছিলের প্রস্তুতিকালে ককটেল, পেট্রোল ও নাশকতার সামগ্রীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলায় রাতুল আসামি। সেদিন পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। গোপন সংবাদে তার অবস্থান জানার পর শুক্রবার দুপুরে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগ থাকায় সজল দীর্ঘ দিন ধরেই পুলিশের খোঁজে ছিলেন। গোপনে খবর পেয়ে শুক্রবার দক্ষিণ রাজনগর কাচারি মাঠ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা/রফিক/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
সন্ধ্যা হলেই জমে ওঠে সপ্তাহের এক বেলার হাট
চা-বাগানের পথে পথে তখন ঘরে ফেরা মানুষের সারি। কারও পিঠে শূন্য ঝোলা, কারও কাঁধে বা মাথায় শুকনা কাঠ কিংবা ঘাসের আঁটি। কেউ কাজ শেষে ক্লান্ত শরীর নিয়ে ফিরছেন, কেউ আবার সপ্তাহের মজুরি নিতে চা-বাগানের অফিসের দিকে পা বাড়িয়েছেন। তবে এই সারির বেশির ভাগ মানুষই এগোচ্ছেন সপ্তাহের এক বেলার হাটের দিকে।
ওই দিনই তলববার—সপ্তাহের মজুরি পাওয়ার দিন। নানা দিক থেকে চা-শ্রমিক, তাঁদের পরিবার ও বাগানসংলগ্ন গ্রামের মানুষ একসঙ্গে মিশে ভিড় করছেন হাটে।
মৌলভীবাজারের রাজনগর চা-বাগানের হাসপাতাল টিলা এলাকায় এই সাপ্তাহিক হাট বসে প্রতি বৃহস্পতিবার। সপ্তাহে এক দিন, মাত্র এক বেলা। সাধারণত বেলা তিনটার দিকে হাট শুরু হয়। সময় গড়ালে তলব পাওয়া লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে। সন্ধ্যা নামলেই লোকারণ্য হয়ে ওঠে বাজার। মাছ, সবজি-আনাজ, শুকনা খাবার থেকে শুরু করে নানা রকম গৃহস্থালির জিনিস—সবই কেনাবেচা হয় এই হাটে।
গত বৃহস্পতিবার সেই হাটে গিয়ে কথা হয় নিমাই শুক্ল বৈদ্য নামের একজনের সঙ্গে। চা–বাগানে কাজ করেন তিনি, তলবের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে হাটে সাজানো পণ্য দেখছিলেন।
নিমাই শুক্ল বৈদ্য বলেন, ‘আমি বাগানের শ্রমিক আছি। বৃহস্পতিবার এখনো তলব পাইনি। তলব পাইলে বাজার করমু। এক সপ্তাহে বারো শ (১ হাজার ২০০ টাকা) টাকা পাইমু। এই টাকায় কী হবে ভাই, কিছু হয় না। বাইচ্চা-কাইচ্চার পড়ালেখা চলে না। দুই-তিন দিন ভালোটিকে খাওয়া যায়, এই আরকি।’
সন্ধ্যার পর হাটে জনসমাগম বাড়তে থাকে। রাত নয়টার দিকে ধীরে ধীরে তা কমে যায়। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মৌলভীবাজারের রাজনগর চা-বাগানে