পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেলে আল আমিন খাঁর জালে প্রায় ২২ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ ধরা পড়েছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) বেলা ১১টায় মাছটি কুয়াকাটা মাছ বাজারে নিয়ে আসেন। মাছটি দেখতে মানুষ ভিড় জমায়।

জেলে আল-আমিন খাঁ বলেন, ‘‘সকাল ৯টার দিকে গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে ট্রলার নিয়ে কুয়াকাটা সৈকতের লেম্বুর চর এলাকায় ফিরছিলাম। তখন সাগরে বিশাল আকৃতির একটি কোরাল মাছ ভাসতে দেখি। আমি ও সঙ্গীয় জেলেরা জাল ফেলে মাছটি ধরার চেষ্টা করি। প্রথম দফায় ব্যর্থ হয়ে দ্বিতীয় দফায় চেষ্টা করি। তখন মাছটি জালে ধরা পড়ে।’’ 

কুয়াকাটা মাছ বাজারে হাসিব ফিসের স্বত্বাধিকারী মো.

খলিল ১ হাজার ৫৫০ টাকা কেজি দরে ৩৩ হাজার ৭৯০ টাকা মাছটি কিনে নেন।

আরো পড়ুন:

যশোরে অতিবর্ষণে ভেসে গেছে ১৩৪ কোটি টাকার মাছ

স্থগিত হওয়া জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শুরু ১৮ আগস্ট

হাসিব ফিসের স্বত্বাধিকারী মো. খলিল বলেন, ‘‘তবে এত বড় কোরাল মাছ কখনো দেখিনি। মাছটি সামান্য লাভে এখানেই বিক্রির চেষ্টা করব। তবে দাম না পেলে ঢাকা বা অন্য কোথাও পাঠাতে পারি।’’

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘‘কোরাল দেশের বাজারে দামি ও জনপ্রিয় সামুদ্রিক মাছ। কুয়াকাটার জেলেদের জালে মাঝে-মাঝে বড় আকৃতির কোরাল ধরা পড়ে। এ ধরনের মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রেও ভালো মূল্য পাওয়া যায়।’’

অন্যান্য জেলেদের জালেও বড় আকৃতির বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 

ঢাকা/ইমরান/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় পেট্রল ঢেলে আগুন

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গ্রামীণ ব্যাংকের গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন শাখা কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার ভোরে গ্রামীণ ব্যাংকের ওই শাখা ভবনের বারান্দায় পেট্রল আগুন দেওয়া হয়। এতে ব্যাংকের বৈদ্যুতিক তার পুড়ে গিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ছাড়া বারান্দায় একটি ব্যানার, ক্যারম বোর্ড ও আসবাব আগুনে পুড়ে যায়।

ধুনট থানা-পুলিশ ও গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, আজ ভোরে দুর্বৃত্তরা গ্রামীণ ব্যাংকের ওই শাখার কার্যালয়ের বারান্দায় পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা বালু ও পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর-ধুনট সার্কেল) সজীব শাহরীন ও ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ব্যাংকের নৈশপ্রহরী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে বারান্দায় সতর্ক অবস্থায় ছিলাম। রাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎ বারান্দায় আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাই। দুর্বৃত্তরা পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।’

শাখাটির ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা বলেন, রাতে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকা নৈশপ্রহরী সামান্য সময়ের জন্য বারান্দা থেকে একটি কক্ষের ভেতরে যান। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা বারান্দায় অগ্নিসংযোগ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে বড় রকমের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আগে থেকেই বালু ও পানি মজুত ছিল। আজ সকাল থেকে যথারীতি ব্যাংকের কার্যক্রম চলছে।

ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধুনট থানার পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ