ভালোবাসা দিবসে বড় পর্দায় আসছেন নাঈম-মিথিলা
Published: 29th, January 2025 GMT
ছোট পর্দায় জুটিবেঁধে কাজ করলেও প্রথম বড় পর্দায় দেখা যাবে এফ এস নাঈম ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা জুটিকে। সিনেমার নাম ‘জলে জ্বলে তারা’। সিনেমার সব কাজ শেষ হলে একাধিকবার মুক্তির তারিখ ঠিক করা হয়। কিন্তু প্রতিবার সিনেমাটির মুক্তি পিছিয়ে যায়। অবশেষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে অরুণ চৌধুরী পরিচালিত ‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমাটি।
২০২০-২১ অর্থবছরে অনুদান পায় ‘জলে জ্বলে তারা’। ২০২১ সালের অক্টোবরে মানিকগঞ্জে করোনাকালীন সিনেমাটির শুটিং শুরু হয়। মাত্র তিন সপ্তাহেই সিনেমাটির শুটিং শেষ হয়।
এখন ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্মাতা অরুণ চৌধুরী। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এটা রোমান্টিক গল্প। যে কারণে ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে মুক্তি দেওয়ার কথা ভেবেছি। ১৪ ফেব্রুয়ারি রিলিজ ডেটও নিয়েছি। প্রথমবার পর্দায় দর্শক নাঈম-মিথিলার রসায়ন দেখবে। রোমান্টিক, মানবিক গল্পটি দর্শক পছন্দ করবেন।’
দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় পরে বড় পর্দায় আসছেন নাঈম। নাঈম বলেন, ‘প্রথমবার দর্শক আমাকে বড় পর্দায় প্রধান চরিত্রে দেখবেন। ভালোবাসা দিবস হলে সিনেমাটি আলাদা গুরুত্ব পায়। আমাদের গল্পটি মানবিক সম্পর্কের। এখানে সবগুলো গান রোমান্টিক। এগুলো দর্শকদের ভিন্ন একটি অনুভূতি দেবে।’
‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমায় আরও অভিনয় করছেন ফজলুর রহমান বাবু, মনিরা মিঠু, আজাদ আবুল কালাম, নূর ইমরান মিঠু প্রমূখ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথমবার বিগ ব্যাশে বাবর আজম
বিশ্ব ক্রিকেটে ব্যাট হাতে বহুবার তোলপাড় করা বাবর আজম এবার অস্ট্রেলিয়ার জমজমাট বিগ ব্যাশ লিগে (বিবিএল) পা রাখতে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন গুঞ্জনের পর অবশেষে এই পাকিস্তানি তারকাকে নিজেদের স্কোয়াডে টেনে নিয়েছে সিডনি সিক্সার্স। নতুন মৌসুমে (২০২৫) তাকে দেখা যাবে গোলাপি জার্সিতে।
এটাই বাবরের প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশে খেলার অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে। সিডনি সিক্সার্সের সঙ্গে তার এই চুক্তিটি হয়েছে প্রি-সাইনিং অপশনের মাধ্যমে, যেখানে প্রতিটি দল আন্তর্জাতিক ড্রাফট শুরুর আগেই একজন বিদেশি ক্রিকেটারকে দলে নিতে পারে। ১৯ জুন শুরু হতে যাওয়া আন্তর্জাতিক ড্রাফটের আগেই সিক্সার্স বাবরের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন করে।
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাবরের মতো বিশ্বমানের অভিজ্ঞ একজন টপ অর্ডার ব্যাটারকে পাওয়ার অর্থই হলো দলে গভীরতা ও ভারসাম্য বাড়ানো। এই তারকার সঙ্গে একই দলে থাকছেন স্টিভ স্মিথ, শন অ্যাবটের মতো অভিজ্ঞ অজি খেলোয়াড়রা, যা দলের শক্তিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।
গত মৌসুমে একমাত্র সিডনি সিক্সার্সই ছিল এমন দল, যারা কোনো বিদেশি তারকাকে আগেভাগে দলে নেয়নি। এবার তারা সেই ঘাটতি পূরণ করল বাবরের মতো একজন ক্রিকেট সেনসেশনকে নিয়ে।
তবে বাবরের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেকবার। পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে তার জায়গা এখন অনিশ্চিত, ব্যাটেও অনুজ্জ্বল সময় কাটছে। তবু, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে নতুন এই চ্যালেঞ্জ বাবরের জন্য এক নতুন দরজা খুলে দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
চুক্তির পর নিজের প্রতিক্রিয়ায় বাবর জানান, “এটা আমার জন্য দারুণ এক সুযোগ। বিগ ব্যাশ বিশ্বের অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি লিগ এবং সিডনি সিক্সার্স একটি সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি। এই দলে খেলার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। আমি চাই দলের জয়ে অবদান রাখতে, ভক্তদের ভালোবাসা কুড়াতে এবং এই অভিজ্ঞতা আমার পরিবারের সঙ্গে ভাগ করে নিতে।”
অস্ট্রেলিয়ায় বাবরের প্রথম আগমনকে ঘিরে ইতোমধ্যেই পাকিস্তানি ভক্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের জোয়ার বইছে। অনেকেই বলছেন, হয়তো এটাই সেই ‘নতুন শুরু’, যেটা বাবরের ক্যারিয়ার আবার উজ্জ্বল করে তুলতে পারে।
ঢাকা/আমিনুল