বাংলা চলচ্চিত্রের রূপালী পর্দা আলোকিত হতো অনন্য এক হাসিতে। সেই হাসির নাম— শবনম। ‘রূপনগরের রাজকন্যা’খ্যাত এই কিংবদন্তি অভিনেত্রীর জন্মদিন ১৭ আগস্ট। আশিতম জন্মদিন উপলক্ষে এবারই প্রথমবার তিনি মুখোমুখি হলেন টেলিভিশন অনুষ্ঠানের। সাংবাদিক আবদুর রহমানের উপস্থাপনা ও পরিচালনায় অনুষ্ঠানটি প্রচার হবে আগামীকাল ১৭ আগস্ট রাত ৮টা ২৫ মিনিটে, চ্যানেল আইতে।

শবনম মানেই এক সোনালি অধ্যায়ের নাম। মাত্র ১৫ বছর বয়সে মুস্তাফিজ পরিচালিত ‘হারানো দিন’ সিনেমায় নায়িকা হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। তারও আগে, এহতেশামের ‘এ দেশ তোমার আমার’ সিনেমায় নৃত্যশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। অচিরেই তিনি হয়ে ওঠেন উপমহাদেশের জনপ্রিয় মুখ। ১৯৬২ সালে উর্দু চলচ্চিত্র ‘চান্দা’ তাকে তারকাখ্যাতি এনে দেয় গোটা পাকিস্তানে।

ষাটের দশক থেকে আশি— টানা তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে নায়িকা হিসেবে দর্শকের হৃদয়ে রাজত্ব করেছেন শবনম। ‘আমার সংসার’, ‘জুলি’, ‘জোয়ার ভাটা’, ‘নাচঘর’, ‘নাচের পুতুল’, ‘সহধর্মিণী’ থেকে শুরু করে ‘আম্মাজান’—বাংলা ও উর্দু মিলিয়ে প্রায় ১৮০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে তার ছায়া। তিনি ছিলেন সময়ের সবচেয়ে বড় তারকা, আবার ছিলেন ঘরের মেয়ের মতো আপন।

কিন্তু বিস্ময়ের বিষয়, এত দীর্ঘ অভিনয়যাত্রার পরও শবনম কখনও টেলিভিশনে কোনো অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে আসেননি। সেই অপেক্ষার অবসান ঘটছে এবারের জন্মদিনে।  

ঢাকা/রাহাত//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

টেলিভিশনে শবনমের স্মৃতিময় জীবনের গল্প

বাংলা চলচ্চিত্রের রূপালী পর্দা আলোকিত হতো অনন্য এক হাসিতে। সেই হাসির নাম— শবনম। ‘রূপনগরের রাজকন্যা’খ্যাত এই কিংবদন্তি অভিনেত্রীর জন্মদিন ১৭ আগস্ট। আশিতম জন্মদিন উপলক্ষে এবারই প্রথমবার তিনি মুখোমুখি হলেন টেলিভিশন অনুষ্ঠানের। সাংবাদিক আবদুর রহমানের উপস্থাপনা ও পরিচালনায় অনুষ্ঠানটি প্রচার হবে আগামীকাল ১৭ আগস্ট রাত ৮টা ২৫ মিনিটে, চ্যানেল আইতে।

শবনম মানেই এক সোনালি অধ্যায়ের নাম। মাত্র ১৫ বছর বয়সে মুস্তাফিজ পরিচালিত ‘হারানো দিন’ সিনেমায় নায়িকা হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। তারও আগে, এহতেশামের ‘এ দেশ তোমার আমার’ সিনেমায় নৃত্যশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। অচিরেই তিনি হয়ে ওঠেন উপমহাদেশের জনপ্রিয় মুখ। ১৯৬২ সালে উর্দু চলচ্চিত্র ‘চান্দা’ তাকে তারকাখ্যাতি এনে দেয় গোটা পাকিস্তানে।

ষাটের দশক থেকে আশি— টানা তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে নায়িকা হিসেবে দর্শকের হৃদয়ে রাজত্ব করেছেন শবনম। ‘আমার সংসার’, ‘জুলি’, ‘জোয়ার ভাটা’, ‘নাচঘর’, ‘নাচের পুতুল’, ‘সহধর্মিণী’ থেকে শুরু করে ‘আম্মাজান’—বাংলা ও উর্দু মিলিয়ে প্রায় ১৮০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে তার ছায়া। তিনি ছিলেন সময়ের সবচেয়ে বড় তারকা, আবার ছিলেন ঘরের মেয়ের মতো আপন।

কিন্তু বিস্ময়ের বিষয়, এত দীর্ঘ অভিনয়যাত্রার পরও শবনম কখনও টেলিভিশনে কোনো অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে আসেননি। সেই অপেক্ষার অবসান ঘটছে এবারের জন্মদিনে।  

ঢাকা/রাহাত//

সম্পর্কিত নিবন্ধ