টেলিভিশনে শবনমের স্মৃতিময় জীবনের গল্প
Published: 16th, August 2025 GMT
বাংলা চলচ্চিত্রের রূপালী পর্দা আলোকিত হতো অনন্য এক হাসিতে। সেই হাসির নাম— শবনম। ‘রূপনগরের রাজকন্যা’খ্যাত এই কিংবদন্তি অভিনেত্রীর জন্মদিন ১৭ আগস্ট। আশিতম জন্মদিন উপলক্ষে এবারই প্রথমবার তিনি মুখোমুখি হলেন টেলিভিশন অনুষ্ঠানের। সাংবাদিক আবদুর রহমানের উপস্থাপনা ও পরিচালনায় অনুষ্ঠানটি প্রচার হবে আগামীকাল ১৭ আগস্ট রাত ৮টা ২৫ মিনিটে, চ্যানেল আইতে।
শবনম মানেই এক সোনালি অধ্যায়ের নাম। মাত্র ১৫ বছর বয়সে মুস্তাফিজ পরিচালিত ‘হারানো দিন’ সিনেমায় নায়িকা হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। তারও আগে, এহতেশামের ‘এ দেশ তোমার আমার’ সিনেমায় নৃত্যশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। অচিরেই তিনি হয়ে ওঠেন উপমহাদেশের জনপ্রিয় মুখ। ১৯৬২ সালে উর্দু চলচ্চিত্র ‘চান্দা’ তাকে তারকাখ্যাতি এনে দেয় গোটা পাকিস্তানে।
ষাটের দশক থেকে আশি— টানা তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে নায়িকা হিসেবে দর্শকের হৃদয়ে রাজত্ব করেছেন শবনম। ‘আমার সংসার’, ‘জুলি’, ‘জোয়ার ভাটা’, ‘নাচঘর’, ‘নাচের পুতুল’, ‘সহধর্মিণী’ থেকে শুরু করে ‘আম্মাজান’—বাংলা ও উর্দু মিলিয়ে প্রায় ১৮০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে তার ছায়া। তিনি ছিলেন সময়ের সবচেয়ে বড় তারকা, আবার ছিলেন ঘরের মেয়ের মতো আপন।
কিন্তু বিস্ময়ের বিষয়, এত দীর্ঘ অভিনয়যাত্রার পরও শবনম কখনও টেলিভিশনে কোনো অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে আসেননি। সেই অপেক্ষার অবসান ঘটছে এবারের জন্মদিনে।
ঢাকা/রাহাত//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।
গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।”
আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”
দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”
তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”
দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”
দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”
ঢাকা/ফিরোজ