এয়ার কানাডার ফ্লাইট অ্যাটেন্ডটদের ধর্মঘটের কারণে বিমান সংস্থাটি তাদের কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করেছে। ফলে তাদের দৈনিক ১ লাখ ৩০ হাজার যাত্রীর জন্য গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। শনিবার বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

এয়ার কানাডার ১০ হাজার ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেটের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন কানাডিয়ান ইউনিয়ন অফ পাবলিক এমপ্লয়িজ এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মঘটে আছি।”

মজুরি বৃদ্ধির পাশাপাশি ইউনিয়ন জানিয়েছে, তারা বোর্ডিং প্রক্রিয়াসহ গ্রাউন্ড ওয়ার্কের সমস্যা সমাধান করতে চায়।

বিশ্বব্যাপী ১৮০টি শহরে সরাসরি বিমান চলাচলকারী এয়ার কানাডা জানিয়েছে, ধর্মঘটের কারণে তারা ‘সব কার্যক্রম স্থগিত’ করেছে।

সংস্থাটি বলেছে, “এয়ার কানাডা ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের বিমানবন্দরে না যাওয়ার জন্য দৃঢ়ভাবে পরামর্শ দিচ্ছে। ধর্মঘটের কারণে গ্রাহকদের উপর যে প্রভাব পড়ছে তার জন্য আমরা অত্যন্ত দুঃখিত।”

বুধবার ৭২ ঘন্টার ধর্মঘটের নোটিশ দেওয়ার পর কানাডিয়ান ইউনিয়ন অফ পাবলিক এমপ্লয়িজ রাত ১২টা ০১ মিনিট পর্যন্ত ধর্মঘটের আইনি অবস্থানে ছিল। উভয় পক্ষই নিশ্চিত করেছে যে, ধর্মঘটটি রাত ১২টা ৫৮ মিনিটে শুরু হয়েছিল।

শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত বিমান সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা ৬২৩টি ফ্লাইট বাতিল করেছে যার ফলে ১ লাখেরও বেশি যাত্রী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। শনিবারের জন্য তাদের ৭০০-ফ্লাইটের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি বাতিল করা হয়েছে। 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য ফ ল ইট

এছাড়াও পড়ুন:

পুতিনের জন্য কেন হাঁটু গেড়ে লালগালিচা বিছালেন মার্কিন সেনারা, কী বলছেন ইউক্রেনের মানুষ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিশাল আয়োজন করে সাড়ম্বরে স্বাগত জানালেন। অন্য কোনো বিশ্বনেতাকে এমনভাবে অভ্যর্থনা জানাননি ট্রাম্প। ২০১৮ সালের পর এই প্রথম তাঁরা মুখোমুখি বৈঠক করলেন। আর শুরু থেকেই দুজনের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্কের প্রকাশ দেখা গেছে।

নিজেকে ‘চুক্তির কারিগর’ বলতে পছন্দ করেন ট্রাম্প। আলাস্কার এক বিমানঘাঁটিতে তিনি পুতিনের জন্য লালগালিচা বিছিয়ে দিলেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার নির্দেশ দেওয়ার পর গতকাল শুক্রবারই প্রথম পশ্চিমা মাটিতে পা রাখলেন পুতিন।

ট্রাম্প বিমানঘাঁটির টারম্যাকে ধৈর্য ধরে দাঁড়িয়ে তাঁর ‘বন্ধু’ পুতিনের অপেক্ষা করলেন। পুতিন এগিয়ে আসতেই ট্রাম্প হাততালি দিতে থাকলেন। এরপর উষ্ণ করমর্দন ও হাসিমুখে একে অপরকে স্বাগত জানালেন।

তবে যে দেশের মানুষ ট্রাম্পের কাছ থেকে শান্তির আশা করছিলেন, সেই ইউক্রেন থেকে ট্রাম্প–পুতিনের বৈঠকের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, পুতিনের প্রেসিডেনশিয়াল বিমান থেকে নামার সিঁড়ির নিচে মার্কিন সেনারা হাঁটু গেড়ে বসে লালগালিচা ঠিক করছেন।

ইউক্রেনের অবকাঠামো উন্নয়ন সংস্থার সাবেক প্রধান মুস্তাফা নায়েম ছবিটি শেয়ার করে ব্যঙ্গ করে লিখলেন—‘মেক নিইলিং গ্রেট অ্যাগেইন’ (হাঁটু গেড়ে বসাকে আবার মহৎ করো)।

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক

ট্রাম্প–পুতিনের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক থেকে ইউক্রেন ইস্যুতে কোনো বড় অগ্রগতি হয়নি। তবে তাঁরা কিছু বিষয়ে একমত হয়েছেন এবং পুরোনো বন্ধুত্ব আবারও ঝালিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো ঘোষণা আসেনি।

তিন ঘণ্টা শীর্ষ উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনার পর ট্রাম্প ও পুতিন শুধু উষ্ণ মন্তব্য করলেন। কিন্তু সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন নিলেন না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি কিনা মিডিয়া পছন্দ করেন, তাঁর ক্ষেত্রে এটি বিরল ঘটনা।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল, অনেক বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘খুব অল্প কিছু বিষয় রয়ে গেছে, যার মধ্যে একটি রয়েছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে এখনই সে বিষয়ে বিস্তারিত বলব না।’

ট্রাম্প পরে ফক্স নিউজকে বলেন, এখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দায়িত্ব। তাঁকে এই আলাস্কা বৈঠককে কাজে লাগিয়ে রাশিয়ার তিন বছরের আক্রমণ শেষ করার মতো কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভাষায়, ‘এখন এটা প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির দায়িত্ব। ইউরোপীয় দেশগুলোকেও কিছুটা ভূমিকা রাখতে হবে। তবে মূলত জেলেনস্কির হাতেই বিষয়টা।’

ট্রাম্প ফক্স নিউজকে বলেন, ‘আমি এই বৈঠককে দশের মধ্যে দশ দিয়েই মূল্যায়ন করব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ