ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চলমান ঢাকার বড় সাতটি কলেজে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

’গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাত কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে এ বৈঠকে ঢাবি উপাচার্য নিয়াজ আহমেদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

সাত কলেজ-সংক্রান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আপাতত এসব কলেজে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন গ্রহণ স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিন-চার দিনের মধ্যে যদি কোনো সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একই বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, এ নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ কাজ করছেন। খুব দ্রুত ফল পাবেন।

সাত কলেজে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে (স্নাতক) চলতি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন ৬ জানুয়ারি শুরু হয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তা চলার কথা ছিল। ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল আগামী এপ্রিলে। এর আগে গত সোমবার এসব কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলের কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ত কল জ স ত কল জ

এছাড়াও পড়ুন:

মাওলানা রইসের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে হরতালের হুশিয়ারি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার সাবেক ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিন কাদেরীকে মব সৃষ্টি করে যারা হত্যা করেছে তদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে হরতালে পালনের হুশিয়ারি দিয়েছেন সুন্নিরা। একই সঙ্গে রোববার ‘মার্চ টু গাজীপুর’ সফল করার আহ্বান জানানো হয়। 

শনিবার চট্টগ্রামের লালদীঘি চত্বরে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআতের উদ্যোগে সমাবেশে অধ্যক্ষ মুফতি অছিয়র রহমান আলকাদেরী সভাপতিত্ব করেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- শায়খুল হাদিস আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আশরাফী, পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ মছিহুদ্দৌলা, অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর, পীর অধ্যক্ষ আবুল ফরাহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, মুফতি  আবুল কাশেম ফজলুল হক, মুহাদ্দিস আল্লামা আশরাফুজ্জামান আলকাদেরী,  অ্যাডভোকেট আবু নাছের তালুকদার, পীরজাদা গোলামুর রহমান আশরফ শাহ,  অধ্যক্ষ আবুল কালাম আমিরী, আল্লামা শাহ নূর মোহাম্মদ আলকাদেরী, আল্লামা আনিসুজ্জামান আলকাদেরী, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, এইচ এম মুজিবুল হক শাক্কুর, অধ্যাপক জালাল উদ্দীন আজহারী,  ফজলুল করিম তালুকদার, মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন তৈয়্যবী, অধ্যাপক সৈয়দ হাফেজ আহমদ, অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দীন, অধ্যক্ষ  ইব্রাহিম আখতারী প্রমুখ।

সভায় আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আশরাফী বলেন, ‘বৈষম্য ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি দেশে ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার অন্তরায়। এত বছরেও শহীদ আল্লামা নুরুল ফারুকী হত্যার বিচারের কোনো অগ্রগতি হয়নি। এবার গাজীপুরে মসজিদের ইমাম মাওলানা রইস উদ্দিনকে মিথ্যা অপবাদে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এভাবে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য বিচার বহির্ভূত হত্যা বন্ধ ও মব সৃষ্টিকারীদের শাস্তির বিকল্প নেই। অথচ, পুলিশ-প্রশাসন মামলা পর্যন্ত নেয়নি। পুলিশ কার ইন্ধনে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ করছে আমরা জানি না। খুনিদের গ্রেপ্তারে গড়িমসি করলে পরবর্তীতে যেকোনো পরিস্থিতিতে পুলিশ-প্রশাসন দায়ী থাকবে। খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা হরতালের মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’ 

সভায় বক্তারা বলেন, ‘আমরা রইস হত্যার বিচার দাবিতে আন্দোলন করছি। অন্যদিকে সরকার রাখাইনে মানবিক করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ মানবিক করিডোরের মাধ্যমে দেশ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। অবিলম্বে করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। একইভাবে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের ইসলাম বিরোধী সুপারিশ আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ