আমার মনে অনেক প্রশ্ন, অনেক প্রশ্ন, তাই মাঝে মাঝে ভাবি, আমি কেন কম জানি? কম জানি বলে অনেক কিছু নিয়ে মনে প্রশ্ন জাগে, উত্তর পাই না।

আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোর ২৭তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে লিখিত বক্তব্যে অভিনেতা আফজাল হোসেন এ কথা বলেন। এ বছর ‘সত্যই সাহস’ স্লোগান সামনে রেখে নানা আয়োজনে দিনটি পালন করছে প্রথম আলো।

প্রথম আলোর অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যোগ দেন আফজাল হোসেন। তিনি প্রথম আলো পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন।

আফজাল হোসেন বলেন, শিক্ষা গ্রহণের পরও অনেক মানুষ কেনো বিদ‍্যাহীন থেকে যায়। অনেক মানুষের ইচ্ছা গান গাইবে, কিন্তু গান সবাই গাইতে পারে না। অজস্রজন মন দিয়ে কবিতা লেখে, অজস্রজনই কেনো কবি হয় না?

তিনি বলেন, আমার মনে অনেক প্রশ্ন, কম জানি বলে উত্তর পাই না।

ভালোবেসে কত কত মানুষ ছবি আঁকা ভালো করেই শেখে, শেখা শেষে সব্বাই কেনো শিল্পী হয়ে উঠতে পারে না? না শেখা মানুষ কী করে লালন হয়? শিখে কেনো নজরুল, রবীন্দ্রনাথ হওয়া যায় না?

সাদা ভালো রং, কিন্তু মন্দের দিকেই কেনো ঝোঁক মানুষের? বিশ্বাস এবং অবিশ্বাস দুটোই ফ্রীতে পাওয়া যায়, তবু কেনো অবিশ্বাসের প্রতিই এত প্রীতি? সোজা কথা ভালো কিন্তু কথা কেনো ঘুরিয়ে বলতে ভালোবাসে মানুষ?

মনে অনেক প্রশ্ন, অনেক প্রশ্ন।

খাদ‍্যরসিক রাঁধতে জানে না কিন্তু বলে দিতে পারে কোন রান্নার স্বাদ বিশেষ। কি করে পারে? সকল দুধের রং সাদা কিন্তু সকল গাভির দুধের স্বাদ কেনো দারুণ নয়? ঘ্রাণ বিশেষজ্ঞ নয় এমন মানুষেরা কীভাবে ঘ্রাণে আপন পর চিনতে পারে?

মনে অনেক প্রশ্ন। অনেক অনেক প্রশ্ন-

চারিদিকে অজস্র রাগ হওয়ার মতো কাণ্ড, কেনো বেছে বেছে রাগ করি আমরা? চোখ জনপ্রতি দুটো করে, সুন্দর কেনো সকলের চোখে সুন্দর হয়ে ধরা দেয় না? কত পাখি দুনিয়া জুড়ে, কুহু ডাকতে পারে কেবল একা কোকিলই। কেনো?

আমার মনে অনেক প্রশ্ন, মনে অনেক অনেক প্রশ্ন-

ভালোই ভালো, জানা সত্ত্বেও মানুষ কেনো মন্দেরই অধীন হয়? আমি কম জানি, কিন্তু জানি, প্রথম আলো বহুল প্রচারিত দৈনিক। দেশে দৈনিক অনেক, পাঠকও বহু।

মনে প্রশ্ন, শুধু একটাই বহুল প্রচারিত হয় কেনো?

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আফজ ল হ স ন প রথম আল কম জ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বাবুল’র উদ্যোগে ৩০০ শয্যা হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চলমান

বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজ সেবক আবু জাফর আহমেদ বাবুল এর উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সুপার ডা. মো. আবুল বাশার এর নির্দেশনায় হাসপাতালের  প্রবেশ পথ থেকে শুরু করে সকল অলিগলির রাস্তা, হাসপাতালের ১ম ফ্লোর, ২য় ফ্লোর ও আবাসিক কোয়াটার তার নিজস্ব কর্মী দিয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও ফুল গাছের পরিচর্যা এবং ড্রেন পরিস্কার করান।

স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে, বায়ু দূষণ, পরিবেশ সুরক্ষা এবং পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিজস্ব কর্মী দিয়ে হাসপাতাল পরিস্কারের কাজ করান।  

এ ব্যাপারে আবু জাফর আহমেদ বাবুল বলেন, আমার বাড়ির খুব কাছেই এই হাসপাতালটি, নাগরিক দায়িত্ব থেকে এই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ও পরিবেশ উন্নয়নে আমি দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে যাচ্ছি। আমি ভবিষ্যতেও জনগণের স্বার্থে কাজ করে যাব। 
উল্লেখ্য যে গত ২৩ অক্টোবর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কিট প্রদান করেন আবু জাফর আহমেদ এবং নিজ অর্থায়নে ২জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ দেন।

এছাড়াও তার পক্ষে সেচ্ছাসেবক দিয়ে তিনি নিয়মিত এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতেও তার এ ধরনের কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ