নারীদের তুলনায় পুরুষদের মস্তিষ্ক কতটা ভিন্ন
Published: 21st, October 2025 GMT
নরওয়ের অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের মস্তিষ্ক নারীদের মস্তিষ্কের তুলনায় দ্রুত সংকুচিত হতে থাকে। গবেষণায় ১৭ থেকে ৯৫ বছর বয়সী ৪ হাজার ৭২৬ জন সুস্থ ব্যক্তির মস্তিষ্কের স্ক্যান করা তথ্য বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মস্তিষ্কের টিস্যু ক্ষয়ের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের মধ্যে ভিন্নতা আছে। মানব মস্তিষ্কের বিভিন্ন অঞ্চল লিঙ্গভেদে পরিবর্তন হয়ে থাকে।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে মানুষের মস্তিষ্ক সংকুচিত হয়। যদিও আলঝেইমার রোগীদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক দ্রুত সংকুচিত হয়ে থাকে। নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, নারীদের মস্তিষ্ক সংকুচিত হওয়ার হার পুরুষদের তুলনায় ধীর হলেও তাঁদের আলঝেইমার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় দ্বিগুণ।
আরও পড়ুনছোট হয়ে আসছে আমাদের মস্তিষ্ক, কারণ কী১৯ মে ২০২৪নরওয়ের অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসায়েন্টিস্ট অ্যান রাভন্ডাল জানান, গবেষণায় ১৭ থেকে ৯৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের ১২ হাজারের বেশি স্ক্যান করা তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। লিঙ্গভিত্তিক মস্তিষ্কের আকারের পার্থক্য বিবেচনার সময় দেখা গেছে, বয়স্ক পুরুষের মস্তিষ্ক বেশি সংকুচিত হয়। এর ফলে তাঁদের মস্তিষ্কের কর্টেক্সের একাধিক অঞ্চলকে প্রভাবিত হতে দেখা গেছে। গবেষণায় নারীদের মস্তিষ্ক কম সংকুচিত হওয়ার তথ্য জানা গেছে। নারীদের মস্তিষ্ক যদি আরও বেশি সংকুচিত হতো, তাহলে তাঁদের আলঝেইমার বেশি আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি ভালোভাবে জানা যেত।
গবেষণায় মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস জায়গায় আয়তনের কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। এই এলাকা স্মৃতিশক্তি ও শেখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত দেখা যায়, পুরুষদের মস্তিষ্ক নারীদের মস্তিষ্কের তুলনায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বড় ও ওজনে ভারী হয়। নারীদের মস্তিষ্ক তুলনামূলকভাবে ছোট আকারের হলেও কোষ ও সংযোগের ঘনত্ব বেশি থাকতে পারে। পুরুষদের মস্তিষ্কে নারীদের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম ঘনত্বের ধূসর পদার্থ থাকলেও হোয়াইট ম্যাটার বেশি থাকে।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যাঁরা জাতির ভবিষ্যৎ গড়েন, তাঁদের সুবিধা দিতে কেন পিছুটান দেখাই রাশেদা কে চৌধূরী
দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা টানা ১০ দিন ধরে ঢাকার রাস্তায় আন্দোলন করেছেন বাড়িভাড়া ও অন্যান্য সুবিধা বাড়ানোর দাবিতে। এ সময়ে সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছ থেকে নানা ধরনের বক্তব্য এসেছে; কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপের ঘাটতি ছিল স্পষ্ট। শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারকে ধন্যবাদ জানাই—তিনি নিজেও একজন শিক্ষক হিসেবে বিষয়টি অনুধাবন করে অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন এবং বিভিন্ন পর্যায়ে উদ্যোগও নিয়েছেন। কিন্তু জানা গেছে, প্রস্তাবটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে আটকে ছিল।
শিক্ষা পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমার প্রশ্ন, সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বেতন–ভাতা বাড়াতে যখন বেতন কমিশন হয়, তখন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক–কর্মচারীদের বিষয়টি কেন গুরুত্ব পায় না? তাঁদের জন্য আলাদা বেতন কমিশন গঠন করা যেতে পারে। সরকারি কর্মচারীদের সুযোগ–সুবিধা ক্রমেই বাড়ছে, অথচ যাঁরা জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণের কারিগর, তাঁদের ক্ষেত্রে কেন পিছুটান দেখা যায়—এটাই দুঃখজনক।
আরও পড়ুনএমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া বাড়ছে ১৫ শতাংশ, কার্যকর দুই ধাপে২ ঘণ্টা আগেনানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও অন্তর্বর্তী সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত (দুই ধাপে কার্যকর হবে) নিয়েছে—এর জন্য তাঁদের ধন্যবাদ। আশা করব, আগামীতে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক, তারা যেন শিক্ষক–কর্মচারী ও শিক্ষাকে রাজনৈতিক দৃষ্টিতে না দেখে, মানবসম্পদ গঠনের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে শোনা যাচ্ছে। সক্ষমতা অনুযায়ী সেটি করা যেতে পারে, তবে শুধু জাতীয়করণই সমস্যার পূর্ণ সমাধান নয়। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের দিকও ভাবতে হবে।
বাড়ি ভাড়া বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে ১২ অক্টোবর থেকে আন্দোলন করছেন এমপিওভূক্ত শিক্ষক–কর্মচারিরা