আমি এক ঈশ্বরে বিশ্বাসী: চিরঞ্জিৎ
Published: 21st, October 2025 GMT
এক ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন বলে জানিয়েছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার দাপুটে অভিনেতা ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন ‘শত্রু’খ্যাত এই তারকা।
অলৌকিকতায় যেমন বিশ্বাসী নন, ঠিক একইভাবে এক ঈশ্বরে বিশ্বাসী চিরঞ্জিৎ। তার ভাষায়—“আমার কাছে ঈশ্বর বহু নন, এক। তাই আমি প্রত্যেক দেবদেবীর কাছে মাথা নত করি না, প্রার্থনাও জানাই না।”
আরো পড়ুন:
গৌতম ঘোষের স্ত্রী নীলাঞ্জনা মারা গেছেন
‘সমস্যা কিছু না কিছু থাকবেই, দুটো আলাদা দেশ তো’
এর পক্ষে যুক্ত দিয়ে চিরঞ্জিৎ বলেন, “যদি ভুল ঈশ্বরের কাছে ভুল প্রার্থনা করে ফেলি! না চাইতেই ঈশ্বর আমাকে অনেক দিয়েছেন। আর আমার হারানোর কোনো ভয় নেই। তাই সর্বশক্তিমানের কাছে কিছু চাওয়ারও নেই।”
একমাত্র লোকনাথ বাবার কাছে নতজানু হন চিরঞ্জিত। তা জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, “কেন জানি না, লোকনাথ বাবার প্রতি অগাধ বিশ্বাস। ভিতর থেকে মনে হয়, ডাকলে সাড়া দেবেন, ফলও পেয়েছি। তেঘরিয়ার লোকনাথ বাবার মন্দির থেকে একটা সোনার হার উপহার পেয়েছি। লকেটে তার ছবি।”
এই ঈশ্বরভাবনা নিয়ে চিরঞ্জিৎ ‘পর্ণশবরীর শাপ’ সিরিজে তান্ত্রিক ‘ভাদুড়িমশাই’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এতে তার বিশ্বাসে চিড় ধরেছে কি না জানতে চাওয়া হয়। জবাবে চিরঞ্জিৎ বলেন, “বিশ্বাসে চিড় ধরেনি। আমরা অভিনেতা। যেকোনো সময় যেকোনো চরিত্রে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারি।”
তবে সিরিজটির প্রথম পর্বের শুটিং করতে গিয়ে চিরঞ্জিতের কিছু অস্বস্তি হয়েছিল। পাহাড়ে দৃশ্যধারণের কাজ হয়েছিল। তার ভাষায়, “গভীর রাত। শ্মশানের সেট তৈরি করা হয়েছে। চারপাশে ধুনো পুড়ছে। সেই ধোঁয়া আমাকে ঘিরে রেখেছে। আমি মন্ত্র পড়ছি। এই পরিবেশ আমার মনে সামান্য হলেও প্রভাব ফেলেছিল! একপর্যায়ে মনে হয়েছিল, তাহলে কী একেই বলে ঈশ্বরের সঙ্গে সংযোগ?”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যাঁরা জাতির ভবিষ্যৎ গড়েন, তাঁদের সুবিধা দিতে কেন পিছুটান দেখাই রাশেদা কে চৌধূরী
দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা টানা ১০ দিন ধরে ঢাকার রাস্তায় আন্দোলন করেছেন বাড়িভাড়া ও অন্যান্য সুবিধা বাড়ানোর দাবিতে। এ সময়ে সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছ থেকে নানা ধরনের বক্তব্য এসেছে; কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপের ঘাটতি ছিল স্পষ্ট। শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারকে ধন্যবাদ জানাই—তিনি নিজেও একজন শিক্ষক হিসেবে বিষয়টি অনুধাবন করে অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন এবং বিভিন্ন পর্যায়ে উদ্যোগও নিয়েছেন। কিন্তু জানা গেছে, প্রস্তাবটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে আটকে ছিল।
শিক্ষা পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমার প্রশ্ন, সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বেতন–ভাতা বাড়াতে যখন বেতন কমিশন হয়, তখন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক–কর্মচারীদের বিষয়টি কেন গুরুত্ব পায় না? তাঁদের জন্য আলাদা বেতন কমিশন গঠন করা যেতে পারে। সরকারি কর্মচারীদের সুযোগ–সুবিধা ক্রমেই বাড়ছে, অথচ যাঁরা জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণের কারিগর, তাঁদের ক্ষেত্রে কেন পিছুটান দেখা যায়—এটাই দুঃখজনক।
আরও পড়ুনএমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া বাড়ছে ১৫ শতাংশ, কার্যকর দুই ধাপে২ ঘণ্টা আগেনানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও অন্তর্বর্তী সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত (দুই ধাপে কার্যকর হবে) নিয়েছে—এর জন্য তাঁদের ধন্যবাদ। আশা করব, আগামীতে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক, তারা যেন শিক্ষক–কর্মচারী ও শিক্ষাকে রাজনৈতিক দৃষ্টিতে না দেখে, মানবসম্পদ গঠনের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে শোনা যাচ্ছে। সক্ষমতা অনুযায়ী সেটি করা যেতে পারে, তবে শুধু জাতীয়করণই সমস্যার পূর্ণ সমাধান নয়। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের দিকও ভাবতে হবে।
বাড়ি ভাড়া বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে ১২ অক্টোবর থেকে আন্দোলন করছেন এমপিওভূক্ত শিক্ষক–কর্মচারিরা