২০২৬ সাল থেকে ইংল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টিউশন ফি বৃদ্ধি পাবে। প্রতিবছর মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে টিউশন ফি বৃদ্ধি পাবে। দেশটির শিক্ষামন্ত্রী ব্রিজেট ফিলিপসন আগামী দুই বছরের জন্য টিউশন ফি বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আইন প্রণয়নের মাধ্যমে এটি প্রতিবছর স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রক্ষণাবেক্ষণ ঋণও প্রতিবছর বৃদ্ধি পাবে।

গতকাল সোমবার ফিলিপসন সংসদে জানান, আগামী সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষসহ পরবর্তী দুই বছর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর টিউশন ফি মুদ্রাস্ফীতির হারে বাড়বে। তবে এ বৃদ্ধির সুযোগ শুধু সেসব প্রতিষ্ঠান পাবে, যারা ‌‘কঠোর মানদণ্ড’ পূরণ করবে। যার মধ্যে থাকবে উচ্চমানের পাঠদান, শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহায়তা ও ভালো ফল নিশ্চিত করা।

আরও পড়ুনজাপানে মেক্সট স্কলারশিপে উচ্চশিক্ষা, জিপিএ ২.

৩০ হলে আবেদন ১৯ অক্টোবর ২০২৫

সরকারের প্রকাশিত নতুন ‘পোস্ট-১৬ শিক্ষা ও দক্ষতা শ্বেতপত্রে’ বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে প্রতিবছর টিউশন ফি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমন্বয় করা হবে। তবে এটি নির্ভর করবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুণগত মান ও পারফরম্যান্সের ওপর।

শিক্ষামন্ত্রী ফিলিপসন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি সর্বোচ্চ ফি নিতে চায়। তবে তাদের বিশ্বমানের শিক্ষা দিতে হবে। আমাদের সংস্কারগুলো শিক্ষার্থীদের অর্থের যথাযথ মূল্য নিশ্চিত করবে এবং শিক্ষার মান আরও উন্নত করবে।’

ছবি: এআই/প্রথম আলো

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট উশন ফ

এছাড়াও পড়ুন:

যাঁরা জাতির ভবিষ্যৎ গড়েন, তাঁদের সুবিধা দিতে কেন পিছুটান দেখাই রাশেদা কে চৌধূরী

দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা টানা ১০ দিন ধরে ঢাকার রাস্তায় আন্দোলন করেছেন বাড়িভাড়া ও অন্যান্য সুবিধা বাড়ানোর দাবিতে। এ সময়ে সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছ থেকে নানা ধরনের বক্তব্য এসেছে; কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপের ঘাটতি ছিল স্পষ্ট। শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারকে ধন্যবাদ জানাই—তিনি নিজেও একজন শিক্ষক হিসেবে বিষয়টি অনুধাবন করে অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন এবং বিভিন্ন পর্যায়ে উদ্যোগও নিয়েছেন। কিন্তু জানা গেছে, প্রস্তাবটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে আটকে ছিল।

শিক্ষা পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমার প্রশ্ন, সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বেতন–ভাতা বাড়াতে যখন বেতন কমিশন হয়, তখন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক–কর্মচারীদের বিষয়টি কেন গুরুত্ব পায় না? তাঁদের জন্য আলাদা বেতন কমিশন গঠন করা যেতে পারে। সরকারি কর্মচারীদের সুযোগ–সুবিধা ক্রমেই বাড়ছে, অথচ যাঁরা জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণের কারিগর, তাঁদের ক্ষেত্রে কেন পিছুটান দেখা যায়—এটাই দুঃখজনক।

আরও পড়ুনএমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া বাড়ছে ১৫ শতাংশ, কার্যকর দুই ধাপে২ ঘণ্টা আগে

নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও অন্তর্বর্তী সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত (দুই ধাপে কার্যকর হবে) নিয়েছে—এর জন্য তাঁদের ধন্যবাদ। আশা করব, আগামীতে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক, তারা যেন শিক্ষক–কর্মচারী ও শিক্ষাকে রাজনৈতিক দৃষ্টিতে না দেখে, মানবসম্পদ গঠনের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করে।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে শোনা যাচ্ছে। সক্ষমতা অনুযায়ী সেটি করা যেতে পারে, তবে শুধু জাতীয়করণই সমস্যার পূর্ণ সমাধান নয়। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের দিকও ভাবতে হবে।

বাড়ি ভাড়া বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে ১২ অক্টোবর থেকে আন্দোলন করছেন এমপিওভূক্ত শিক্ষক–কর্মচারিরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ