টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লুৎফর রহমান খান আজাদকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ায় সমর্থক ও উপজেলা বিএনপির একাংশ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে ঘাটাইল উপজেলার কলেজ মোড় চত্বরে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে তারা। 

আরো পড়ুন:

সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতার সমর্থকদের বিক্ষোভ

মনোনয়ন না পেয়ে হাজী ইয়াছিনের সমর্থকদের মহাসড়কে বিক্ষোভ

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের জন্য বিএনপি ২৩৭ আসনে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে টাঙ্গাইল-৩ আসনে এস এম ওবায়দুল হক নাসির রয়েছেন। বিক্ষোভ থেকে এ আসনে এস এম ওবায়দুল হক নাসিরের মনোনয়ন বাতিল করে লুৎফর রহমান খান আজাদকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি করা হয়।

সড়ক অবরোধ করায় টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কে এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। 

বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন ধলা, পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম শহিদসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে নেতাকর্মীরা। 

ঢাকা/কাওছার/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ অবর ধ ব এনপ র অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

জাহানারা ইমামের বই বিক্রি: বাংলা একাডেমির বক্তব্য এবং প্রতিবেদকের ব্যাখ্যা

সংগ্রহশালায় দেওয়া শহীদ জননী জাহানারা ইমামের বই বিক্রি করা নিয়ে প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে একটি বক্তব্য দিয়েছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ।

তাতে দাবি করা হয়েছে, প্রতিবেদনে কিছু ‘আংশিক সত্য’ উপস্থাপন করা হয়েছে; কিছু অংশ এমনভাবে হাইলাইট করা হয়েছে, যাতে পাঠক বিভ্রান্তির মধ্যে পড়বেন।

৮ নভেম্বর প্রকাশিত ‘জাহানারা ইমামের দেওয়া বই বিক্রি করেছে বাংলা একাডেমি, এখন দাম হাঁকা হচ্ছে লাখ টাকা’ শিরোনামের প্রতিবেদন নিয়ে ৯ নভেম্বর একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম ‘বাংলা একাডেমি গ্রন্থাগারের জাহানারা ইমাম সংগ্রহের বই–সম্পর্কিত বিতর্ক বিষয়ে বাংলা একাডেমির বক্তব্য’ পাঠান।

‘অনলাইনে বিভ্রান্তিকর শিরোনাম এবং হাইলাইটস ব্যাপকভাবে টেমপ্লেট আকারে প্রচারিত হয়েছে’ জানিয়ে লিখিত এই বক্তব্যে বলা হয়, এটি বহুজনের মনোযোগের বিষয় হয়ে ওঠার কারণে বাংলা একাডেমি শুধু সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্রে বক্তব্য না পাঠিয়ে সাধারণ বিবৃতি আকারে দিয়েছে।

বই বিক্রির ব্যাখ্যায় বাংলা একাডেমির বক্তব্যে বলা হয়েছে, পরিত্যক্ত হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে মজুত থাকা কয়েক হাজার বই ও অন্য কাগজপত্র গত ২৫ জুন থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিধি অনুযায়ী নিলামে বিক্রি করা হয়। কারণ, মজুত রাখার ঘরটি সম্পূর্ণ ভর্তি হয়ে গিয়েছিল।

কয়েক বছর আগে থেকে জাহানারা ইমামসহ অন্যদের দেওয়া বইগুলো যেভাবে ছিল, ঠিক সেভাবেই আছে জানিয়ে বাংলা একাডেমি বলেছে, এ বিষয়ে কোনো নতুন কমিটি গঠিত হয়নি বা সংগ্রহশালা পুনর্মূল্যায়নের কোনো ঘটনাও ঘটেনি। অন্তত এক দশক ধরে জমা হওয়া পরিত্যক্ত বইগুলোই কেবল বিক্রি করা হয়েছে। এর মধ্যে গত এক বছরে নতুন যুক্ত হয়েছে কেবল গত বছরের বইমেলায় প্রাপ্ত মানহীন ও পরিত্যক্ত ঘোষিত বইগুলো।

জাহানারা ইমামকে নিজের সংশপ্তক বইটি উপহার দিয়েছিলেন শহীদুল্লা কায়সার, তা এখন ফেসবুক পেজে বিক্রির তালিকায় উঠেছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ