নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় গরু চুরি করে পিকআপ ভ্যানে পালানোর সময় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে লোহাগড়া থানা পুলিশ। তবে, অপর তিন চোরকে ধরা যায়নি। গ্রেপ্তার দুজন হলেন— লোহাগড়া উপজেলার চর মল্লিকপুর গ্রামের মিজানুর শেখের ছেলে রুবেল শেখ (৩৮) এবং একই গ্রামের আসাদুজ্জামানের ছেলে মাসুদ রানা (৩৫)।

সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত ৮টায় লোহাগড়া থানার হল রুমে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

শরিফুল ইসলাম।

ওসি বলেন, সোমবার ভোর রাতে লোহাগড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদুর রহমান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) তজিরুলসহ সঙ্গীয় ফোর্সদের সমন্বয়ে পুলিশের একটি দল রাত্রিকালীন টহল ডিউটি করছিল। কুন্দসী মোড়ে একটি পিকআপ ভ্যানের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে থামার জন্য সংকেত দেওয়া হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গাড়িচালক দিক পরিবর্তন করে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ তাদের ধাওয়া করতে থাকে। একপর্যায়ে কালনা চর করফা মাদ্রাসার সামনে গরুসহ গাড়িটি জব্দ করা হয়। গাড়িতে থাকা তিনজন পালিয়ে গেলেও দুই চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৫৫ হাজার টাকা দামের একটি গরু ও পিকআপ ভ্যান জব্দ করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল হ গড়

এছাড়াও পড়ুন:

যাঁরা জাতির ভবিষ্যৎ গড়েন, তাঁদের সুবিধা দিতে কেন পিছুটান দেখাই রাশেদা কে চৌধূরী

দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা টানা ১০ দিন ধরে ঢাকার রাস্তায় আন্দোলন করেছেন বাড়িভাড়া ও অন্যান্য সুবিধা বাড়ানোর দাবিতে। এ সময়ে সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছ থেকে নানা ধরনের বক্তব্য এসেছে; কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপের ঘাটতি ছিল স্পষ্ট। শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারকে ধন্যবাদ জানাই—তিনি নিজেও একজন শিক্ষক হিসেবে বিষয়টি অনুধাবন করে অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন এবং বিভিন্ন পর্যায়ে উদ্যোগও নিয়েছেন। কিন্তু জানা গেছে, প্রস্তাবটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে আটকে ছিল।

শিক্ষা পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমার প্রশ্ন, সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বেতন–ভাতা বাড়াতে যখন বেতন কমিশন হয়, তখন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক–কর্মচারীদের বিষয়টি কেন গুরুত্ব পায় না? তাঁদের জন্য আলাদা বেতন কমিশন গঠন করা যেতে পারে। সরকারি কর্মচারীদের সুযোগ–সুবিধা ক্রমেই বাড়ছে, অথচ যাঁরা জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণের কারিগর, তাঁদের ক্ষেত্রে কেন পিছুটান দেখা যায়—এটাই দুঃখজনক।

আরও পড়ুনএমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া বাড়ছে ১৫ শতাংশ, কার্যকর দুই ধাপে২ ঘণ্টা আগে

নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও অন্তর্বর্তী সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত (দুই ধাপে কার্যকর হবে) নিয়েছে—এর জন্য তাঁদের ধন্যবাদ। আশা করব, আগামীতে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক, তারা যেন শিক্ষক–কর্মচারী ও শিক্ষাকে রাজনৈতিক দৃষ্টিতে না দেখে, মানবসম্পদ গঠনের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করে।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে শোনা যাচ্ছে। সক্ষমতা অনুযায়ী সেটি করা যেতে পারে, তবে শুধু জাতীয়করণই সমস্যার পূর্ণ সমাধান নয়। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের দিকও ভাবতে হবে।

বাড়ি ভাড়া বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে ১২ অক্টোবর থেকে আন্দোলন করছেন এমপিওভূক্ত শিক্ষক–কর্মচারিরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ