নড়াইলে গরু চুরি করে পালানোর সময় দুজন গ্রেপ্তার
Published: 21st, October 2025 GMT
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় গরু চুরি করে পিকআপ ভ্যানে পালানোর সময় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে লোহাগড়া থানা পুলিশ। তবে, অপর তিন চোরকে ধরা যায়নি। গ্রেপ্তার দুজন হলেন— লোহাগড়া উপজেলার চর মল্লিকপুর গ্রামের মিজানুর শেখের ছেলে রুবেল শেখ (৩৮) এবং একই গ্রামের আসাদুজ্জামানের ছেলে মাসুদ রানা (৩৫)।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত ৮টায় লোহাগড়া থানার হল রুমে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
ওসি বলেন, সোমবার ভোর রাতে লোহাগড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদুর রহমান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) তজিরুলসহ সঙ্গীয় ফোর্সদের সমন্বয়ে পুলিশের একটি দল রাত্রিকালীন টহল ডিউটি করছিল। কুন্দসী মোড়ে একটি পিকআপ ভ্যানের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে থামার জন্য সংকেত দেওয়া হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গাড়িচালক দিক পরিবর্তন করে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ তাদের ধাওয়া করতে থাকে। একপর্যায়ে কালনা চর করফা মাদ্রাসার সামনে গরুসহ গাড়িটি জব্দ করা হয়। গাড়িতে থাকা তিনজন পালিয়ে গেলেও দুই চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৫৫ হাজার টাকা দামের একটি গরু ও পিকআপ ভ্যান জব্দ করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ঢাকা/শরিফুল/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদের জন্য নগদ অর্থের পাহাড়!
পশ্চিমবঙ্গে প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদ মসজিদ নির্মাণকে ঘিরে বিপুল অনুদানের ফলে তৈরি হয়েছে কার্যত নগদ অর্থের পাহাড়। ট্রাঙ্ক ভর্তি টাকা (রুপি) এনে ঘরের মাঝে ঢালা হচ্ছে, আর চারিদিকে বসা মানুষ সেই টাকা গুনছেন।একটানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলছে টাকা গোনা।
টাকা গোনার জন্য আনা হয়েছে টাকা গোনার মেশিন। টাকা ভর্তি ১১টি ট্রাঙ্ক রয়েছে। আর সেই ট্রাঙ্কে থাকা টাকা গুনতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৩০ জনকে। টাকা গোনার এই বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে হুমায়ুন কবিরের বাড়িতে।
আরো পড়ুন:
বিজয় দিবসে কলকাতায় যাচ্ছেন সেনা-মুক্তিযোদ্ধাসহ ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল
ভারতে নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২৩
অনুদানের এই টাকা জমা পড়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ইসলামিক ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ার’ অধীনে। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যত নগদ অর্থ দান হিসাবে জমা পড়েছে, তা আলেম-ওলামাদের উপস্থিতিতে গোনা শুরু হয়। রাত ১২টার পরও চলে টাকা গোনা। তখনও পর্যন্ত ৭টি ট্রাঙ্ক খোলা হয়, যা থেকে মেলে ৩৭ লাখ টাকা। পুরো টাকা গোনার কাজ চলছে সিসিটিভির কড়া নজরদারিতে।
হুমায়ুন কবিরের দাবি, বাবরি মসজিদ নির্মাণের আগেই কতটা জনপ্রিয় তা শুধু এই অনুদানের টাকা দেখেই বোঝা যায়। তিনি আরো দাবি করেন, কেবল ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দিনই কিআর কোড স্ক্যান করেই জমা পড়েছে ৯৩ লাখ টাকা। মসজিদ নির্মাণের জন্য ২ দিনেই দান হিসাবে পাওয়া গেছে অন্তত ১৫ লাখ ইট।
গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন মুর্শিদাবাদে আবারো বাবরি মসজিদের নির্মাণের জন্য শিলান্যাস করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাসপেন্ডেড বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। রবিবার নিজে হাতে ইট নিয়ে সেখানে হাজির হয়েছিলেন। সেইদিনই তিনি জানিয়েছিলেন যে, বাবরি মসজিদ তৈরি করতে খরচ হবে আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকা। তবে টাকা নিয়ে চিন্তা করছেন না হুমায়ুন, কারণ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তিই নাকি ৮০ কোটি টাকা অনুদান দেবেন বাবরি মসজিদ তৈরির জন্য। আরো বহু মানুষ অনুদান দিচ্ছেন।
হুমায়ুন দাবি করেছেন, মুর্শিদাবাদের সঙ্গে বীরভূম, মালদাতেও ‘বাবরি’ মসজিদ তৈরির প্রস্তাব এসেছে। রামপুরহাট, সিউড়ি থেকে কিছু লোক এসে অনুরোধ করেছেন। মালদা থেকেও অনেকে যোগাযোগ করেছেন, দাবি হুমায়ুনের। বীরভূম, মালদায় ‘বাবরি’ মসজিদের প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস হুমায়ুন কবীরের।
বাবরি মসজিদ নির্মাণের জন্য যে আপাতত নগদ অর্থের অভাব হবে না, তা এই বিপুল জমা অর্থ দেখেই আন্দাজ করা যাচ্ছে। তবে টাকা গোনার এমন ঘটনা সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন। সাধারণ মানুষের একাংশ হুমায়ুনের স্বচ্ছতা প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানালেও, বিরোধীরা নতুন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে দানের উৎস, হিসাব ও আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ