দেশের আরও কয়েকটি জায়গায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘরবাড়ি ও দলীয় অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। মধ্যরাতে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এসব ঘটনা গতকাল শনিবার তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে। ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা পৌর শহরের চৌরাস্তায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভেঙে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। গতকাল সকালে এক্সক্যাভেটর দিয়ে ম্যুরালটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

সিলেটের ওসমানীনগরের বুরুঙ্গা গ্রামে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল মতিন চৌধুরী লুকুর বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার মধ্যরাতে দুষ্কৃতকারীরা বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন স্বজন। ওই সময় বাড়ির কেয়ারটেকার ও  পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে ছিলেন। খবর পেয়ে ওসমানীনগর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে ঘরের টিনের ক্ষতি ছাড়াও বিভিন্ন আসবাব ও কাপড় পুড়ে যায়। ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ওসমানীনগর ফায়ার সার্ভিসের দলনেতা সুব্রত সরকার পঙ্কজ।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে গভীর রাতে এক্সক্যাভেটর দিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ভেঙে দেওয়া হয়েছে মনিরামপুর এলাকায় অবস্থিত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও প্রতিকৃতি। এ ছাড়া শক্তিপুর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার সড়কের নামফলকসহ উপজেলা সদরের কয়েকটি সড়কের নামফলক ভেঙে ফেলা হয়েছে। গত শুক্রবার রাত ১২টার পর এসব ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা হাতুড়ি ও রড দিয়ে শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর শুরু করে। এক পর্যায়ে এক্সক্যাভেটর নিয়ে একটি একতলা এবং আরেকটি টিনশেড ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

এদিকে, পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় জাতীয় পার্টির অফিসে লুটপাট চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। গত শুক্রবার রাতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ভবনে থাকা কার্যালয়টিতে লুটের ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা অফিসের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে আসবাব, কম্পিউটার ও এসি খুলে নিয়ে যায়। এ ছাড়া কালো রং দিয়ে অফিসের সাইনবোর্ড মুছে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ভাণ্ডারিয়া গেলে নিয়মিত ওই অফিসে বসতেন এবং দলীয় সভা-সমাবেশ করতেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?

দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’

প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।

আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’

তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’

মুশফিকুর রহিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ