সর্বাধুনিক ওএলইডি প্রযুক্তির টিভি সিরিজ নিয়ে এসেছে স্যামসাং। রাজধানীর গুলশানে ট্রান্সকম ডিজিটাল স্টোরে ১০ ফেব্রুয়ারি এক আয়োজনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সিরিজটি বাজারে আনার ঘোষণা দেয় স্যামসাং। খবর বিজ্ঞপ্তি

ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনায় রেখে ৫৫, ৬৫ ও ৭৭ ইঞ্চি—এ তিনটি আকারের এস ৯৫ডি সিরিজটি নিয়ে এসেছে স্যামসাং। এটি রীতিমতো প্রিমিয়াম ওএলইডি অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে। এতে আছে শতভাগ কালার ভলিউম–সমৃদ্ধ ওএলইডি গ্লেয়ার ফ্রি ডিসপ্লে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিচ্ছবি দূর করে এটি দেবে একদম স্বচ্ছ ছবি। স্যামসাং এস ৯৫ডিতে আরও আছে এনকিউ ৪ এআই জেন ২ প্রসেসর পাওয়ার্ড বাই ২০ নিউরাল নেটওয়ার্কস; কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে যেকোনো ছবিকে ফোরকের মতো ঝকঝকে ও প্রাণবন্ত করে তুলবে এটি।

আইওটি হাব সুবিধাযুক্ত স্যামসাংয়ের নিজস্ব স্মার্টথিংস ফিচারের মাধ্যমে এস ৯৫ডি সিরিজের টিভিতে স্যামসাংয়ের সব স্মার্ট ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য এতে রয়েছে নক্স সিকিউরিটির সুবিধা। গেমিং ও অন্যান্য অ্যাকশন–সমৃদ্ধ ছবি জীবন্ত করে তোলার জন্য এস ৯৫ডি ওএলইডি সিরিজে মোশন অ্যাকসেলেরেটর ১৪৪ হার্টজ টেকনোলজিও যোগ করেছে স্যামসাং।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাং মিন জাং। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো পরিবর্তনশীল বাজারে গ্রাহকদের মধ্যে সব সময়ই সবচেয়ে আধুনিক আর সেরা প্রযুক্তির পণ্যগুলো নিজেদের জীবনযাত্রার অংশ হিসেবে যুক্ত করার চাহিদা থাকে। বিনোদনের সেরা সব ফিচার থাকার কারণে বিশ্বব্যাপী ওএলইডি টেলিভিশনের কদর বর্তমানে শীর্ষে।’

ট্রান্সকম ডিজিটালের হেড অব বিজনেস রিতেশ রঞ্জন বলেন, ‘এস ৯৫ডি সিরিজটির মাধ্যমে আমাদের বিশ্বস্ত অংশীদার স্যামসাং বাংলাদেশে ওএলইডি টিভির যাত্রা আরম্ভ করেছে। এ বিষয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। নির্ভরযোগ্য বিক্রয় ও গ্রাহকসেবা দেওয়ার মাধ্যমে আমরা সব সময় স্যামসাং ও ট্রান্সকমের সম্মানিত গ্রাহকদের পাশে আছি।’

দেশজুড়ে স্যামসাং ও অংশীদার আউটলেট—ট্রান্সকম ডিজিটাল, র‍্যাংগস ইমার্ট ও ইলেকট্রা ইন্টারন্যাশনালের সব আউটলেটে বর্তমানে টিভি সিরিজটি পাওয়া যাচ্ছে। এর মূল্য শুরু হচ্ছে ৩ লাখ ৯ হাজার ৯০০ টাকা থেকে। তবে গ্রাহকেরা ইবিএল ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে প্রি-বুক করলে ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিশেষ মূল্যছাড়ের সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। এ ছাড়া বিনা সুদে ২৪ মাসের ইএমআইয়ের সুবিধাও আছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।

এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

‎জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।

‎তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।

‎পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”

‎অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, ‎যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ