সিলেটে বেড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার লক্ষীপুরের স্কুলছাত্রের মৃত্যু
Published: 12th, February 2025 GMT
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। পাথরবাহী ট্রাকের ধাক্কায় তার ডান হাত থেতলে যায়। আহত অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তির পর আজ বুধবার রাত ৮টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
এর আগে বুধবার বিকেল ৩টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের টুকের বাজার এলাকায় সড়ক পাড় হওয়ার সময় দুর্ঘটনায় আহত হয় সে। ওই স্কুলছাত্রের নাম মাহদি। তার বয়স সাড়ে ৫ বছর। লক্ষীপুর সদর উপজেলার জয়রামপুরের মামুনের ছেলে ও স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষার্থী মাহদী।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, স্কুল শিক্ষার্থীসহ বাবা-মার সঙ্গে বুধবার সাদা পাথর বেড়াতে আসে মাহদি। ফেরার পথে টুকের বাজারে একটি রেস্টুরেন্টে তারা খাওয়া-দাওয়া করে। এ সময় মাহদি রাস্তার পাশের দোকান থেকে কোমল পানীয় কিনে পারাপারের সময় সিলেটগামী একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কার পর ট্রাকের চাকার নিচে মাহদির একটি হাত পড়ে যায়। আহত অবস্থায় স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ মাহদির বাবা-মা তাকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ইয়াহইয়া জাকারিয়া বুধবার সন্ধার দিকে জানিয়েছেন, মাহদির হাতের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। তার রক্তের প্রয়োজন। রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু আজ বুধবার রাত ৮টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
মাহদির বাবা মামুন জানান, স্কুল ভ্রমনে তারা সাদা পাথর বেড়াতে এসেছিলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অবস থ য়
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।