নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, ‘একজন বলছে সংস্কার, একজন বলছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, একদল বলছে নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের আগে অন্য কোনো নির্বাচন বিএনপি হতে দেবে না।’

সোমবার সন্ধ্যায় মাদারীপুরে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিমা রহমান এ কথা বলেন। নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো ও দ্রুত নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহরের লেকেরপাড় স্বাধীনতা অঙ্গনে এই জনসভার আয়োজন করা হয়।

জনসভায় সেলিমা রহমান আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচন হলে বর্তমানে দেশের যে এলোমেলো ভাব, সেটা পরিবর্তন হয়ে সুশাসন আসবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা হবে, জবাবদিহি হবে। দেশের জনগণ আস্থা ফিরে পাবে।

গত ১৬ বছরে বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতন–নিপীড়নের প্রসঙ্গ টেনে সেলিমা রহমান আরও বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে তারেক রহমানকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। গত ১৬ বছর একটানা নির্মম অত্যাচার ও নির্যাতন করেছেন শেখ হাসিনা এবং তাঁর দলবল। বহু মানুষকে হত্যা করেছে। এই খুনিদের বিচার হতে হবে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে, আওয়ামী লীগের কোনো দোসর যেন বিএনপির দলে জায়গা না পায়। কেউ আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।

মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক মো.

জাফর আলী মিয়ার সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক খোন্দকার মাশুকুর রহমান ও সেলিমুজ্জামান সেলিম, সহশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, সহগণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার, সদস্য কাজী হুমায়ুন কবির প্রমুখ। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাহান্দার আলীর সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন হাওলাদার, সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী, জামিনুর রহমান, মিজানুর রহমান মুরাদ প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র রহম ন ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে ৩৫ পুলিশ সদস্যের পোশাকে থাকবে ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’

কক্সবাজারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৩৫ জন পুলিশ সদস্যের পোশাকের সঙ্গে ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’ সংযুক্ত করা হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই ক্যামেরার মাধ্যমে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের অডিও ও ভিডিও কার্যক্রম রেকর্ড করা যাবে।

আজ বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বিভিন্ন থানা ও ইউনিটের ৩৫ জন পুলিশ সদস্যের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ক্যামেরা হস্তান্তর করা হয়। বডি ওর্ন ক্যামেরা বিতরণ করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফউদ্দিন শাহীন।

এ সময় পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমরা জনগণের পুলিশ হতে চাই। বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা, জনগণের আস্থা অর্জন এবং পুলিশের পেশাগত আচরণ পর্যবেক্ষণ সহজ হবে। পর্যটননির্ভর শহর কক্সবাজারে প্রযুক্তিনির্ভর নিরাপত্তাব্যবস্থার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।’

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে থানা ও ফাঁড়ির টহল দল, ট্রাফিক ইউনিট, ডিবি এবং বিশেষ অভিযানে অংশ নেওয়া সদস্যদের মধ্যে এই ক্যামেরা বিতরণ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ইউনিটেও এই প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা হবে।

জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বডি ওর্ন ক্যামেরার রেকর্ড সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় সার্ভার ও সফটওয়্যার সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ক্যামেরা ব্যবহারে পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, এই উদ্যোগ পুলিশের পেশাদারত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি মিথ্যা অভিযোগ থেকে সুরক্ষা, তদন্তে স্বচ্ছতা এবং জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে: আইএসপিআর
  • রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদাল
  • সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮
  • জুলাইয়ে মব তৈরি করে ১৬ জনকে হত্যা, অজ্ঞাতনামা ৫১ লাশ উদ্ধার
  • শৈলকুপায় ইউপি কার্যালয়ে তালা, বিএনপি নেতাসহ আটক ৬
  • ইউনিয়ন পরিষদে তালা দেয়ায় বিএনপি নেতা আটক
  • গোপালগঞ্জে এনসিপির অনেকের জীবননাশের হুমকি ছিল, আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগ করা হয়েছে
  • ‘ভূমিকম্পে ছিন্নভিন্ন হওয়া দেশকে স্থিতিশীলতায় ফিরিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার’
  • কক্সবাজারে ৩৫ পুলিশ সদস্যের পোশাকে থাকবে ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’
  • আশুলিয়ায় বিএনপির জনসভা ও এনসিপির পদযাত্রা আজ, নিরাপত্তা জোরদার