কারাগা‌রে আটক জামায়া‌তের সা‌বেক সে‌ক্রেটা‌রি জেনা‌রেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি না দি‌লে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত প্রাঙ্গণে হাজির হ‌য়ে স্বেচ্ছায় কারাবরণ কর‌বেন ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন দল‌টির আমির ডা. শ‌ফিকুর রহমান।

আজহা‌রের মুক্তির জন‌্য সরকার‌কে যথেষ্ট সময় দেওয়া হ‌য়ে‌ছে উল্লেখ ক‌রে তাকে কারাগারে রেখে বাইরে অবস্থান করা তার প‌ক্ষে একেবারেই সম্ভব নয় জা‌নি‌য়ে তা‌কেও যে‌নো কারাগা‌রে পাঠা‌নো হয় সেজন‌্য সরকারকে ব‌্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তি‌নি।

বৃহস্প‌তিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দেশবাসীসহ দলীয় নেতাকর্মী‌দের উদ্দেশ্যে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জামায়াত আমির এসব কথা ব‌লেন।

আরো পড়ুন:

জামায়াত নেতা রেজাউল
কুয়েটে হামলা দুঃখজনক, ব্লেইম গেইম রাজনীতি বন্ধ করুন 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আজহারুল ইসলামের মুক্তি দাবি জামায়াতের

দেশবাসী ও নেতাকর্মী‌দের শ‌ফিকুর রহমান ব‌লেন, “প্রিয় দলীয় সহকর্মী ও সম্মানিত দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, ফ্যাসিবাদের নিষ্ঠুর জুলুমের শিকার মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম এখনো বন্দি রয়েছেন। একে একে সব জাতীয় নেতারা মুক্তি পেলেও তিনি বৈষম্য ও জুলুমের শিকার হয়ে বন্দি জীবনের কঠিন বোঝা বহন করে চলেছেন।”

তিনি বলেন, “তাকে কারাগারে রেখে বাইরে অবস্থান করা আমার পক্ষে আর একেবারেই সম্ভব নয়। আমরা সরকারকে যথেষ্ট সময় দিয়েছি।”

“এই জুলুমের প্রতিবাদে এবং এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে আমি নিজে গ্রেপ্তার হওয়ার জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ আদালত প্রাঙ্গণে হাজির থাকবে।”

“আইন মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সময় মতো আমাকে যথাস্থানে পাবেন, ইনশাআল্লাহ।”

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আজহ র ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ