প্রেম করা আর বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের খেলা দেখা বন্ধ করে দিয়েছি: শবনম ফারিয়া
Published: 23rd, February 2025 GMT
অভিনয় কমিয়েছেন আগেই। তবে সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে কৌতুকধর্মী অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে দেখা যাচ্ছে তাখে। তবে শবনম ফারিয়া চর্চায় থাকেন নানা প্রসঙ্গ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বলে। এবারও তার একটি স্ট্যাটাস নিয়ে চলছে আলোচনা। যে স্ট্যাটাসে ফারিয়া জানিয়েছেন, প্রেম করা বন্ধ দিয়েছেন যেমনটা তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলা দেখাও বন্ধ করে দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার ভারতের সঙ্গে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ দল। এদিন ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল ৪৯.
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এমন খেলায় হতাশ এই অভিনেত্রী। শবনম ফারিয়া জানান, বারবার দেখব না ভেবেও বাংলাদেশের খেলা দেখতে বসেন। কষ্টও পান।
ফারিয়া ফেসবুকে লিখেছেন, ‘প্রেম করা আর বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের খেলা দেখা বন্ধ করে দিয়েছি। এই দুইটা কাজ করে জীবনে কষ্ট ছাড়া আর কিছু পাইনি।’ স্ট্যাটাসের শেষে ফারিয়া লিখেছেন, ‘এইটা কোন ফানি স্ট্যাটাস না। এটা অনেক দুঃখের স্ট্যাটাস।’
এমন স্টাটাসের সূত্র ধরে ফারিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে গণমাধ্যমকে অভিনেত্রী বলেন, ‘মজা করে স্ট্যাটাস দিয়েছি। সিরিয়াস কিছু না। খেলা দেখছিলাম, দেখতে দেখতে একটা সময় মনে হলো—এই খেলা আর দেখব না। প্রতিবারই বাংলাদেশ দলের খেলার সময় এমন সিদ্ধান্ত নিই, আর খেলা দেখব না। এরপরও দেখি। বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা থাকলে আবার মন চায় দেখতে। ভাবি, দেখি না কী অবস্থা। ওই আরকি।’
শবনম ফারিয়া সর্বশেষ সাজিন আহমেদ বাবু পরিচালিত ‘ভারপ্রাপ্ত বউ’ নামের একটি নাটকে অভিনয় করেন। এই নাটকে মোশাররফ করিমের বিপরীতে ছিলেন তিনি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শবনম ফ র য় শবনম ফ র য়
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনার পরিবারের ৭ সদস্যের বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগের পৃথক ছয়টি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের ৭ সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন ও ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম ও সুলতান মাহমুদ।
আগামী ১১ ও ১৩ আগস্ট মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের ঠিক করা হয়েছে।
মামলায় অভিযুক্ত শেখ হাসিনা পরিবারের সদস্যরা হলেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক (ববি)।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগের পৃথক ছয়টি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের ৭ সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুদকের পক্ষ থেকে অভিযোগ গঠনের পক্ষে আদালতে যুক্তি তুলে ধরা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন আদালত।
এর আগে গত ২০ জুলাই পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের ৭ সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি এই আদালতে বদলি হয়।
দুদকের পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগের ছয়টি মামলায় শেখ হাসিনাসহ অন্যদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে মামলাগুলো বিচারের জন্য অন্য আদালতে বদলির আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত।
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে পৃথক তিন মামলায় গত এপ্রিলে শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। তিনটি মামলায় তাঁদের ছাড়াও সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদসহ ১৬ জন অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।
২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের নামে বরাদ্দ নেওয়া প্লটের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করে দুদক।
পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ছয়টি মামলায় শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে গত ১০ মার্চ অভিযোগপত্রের অনুমোদন দেয় দুদক।