ভ্রমণেই হোক বা কাজে, নতুন কোথাও যাওয়ার আগে আমরা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারি। ভালো হোটেলের খোঁজ নিই, রিভিউ পড়ি। একটু নামীদামি হোটেলে রুম বুকিং দিয়ে কেউ কেউ তৃপ্তির ঢেকুরও তুলি। তবে এতেই কি সব নিরাপদ হয়ে যায়?

সাধারণত বেশির ভাগ হোটেল কর্তৃপক্ষ দাবি করে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সব নিয়ম মেনে চলার ব্যাপারে তারা কঠোর। কিন্তু প্রতিনিয়ত এসব নিয়মের বাস্তবায়ন হয় কি না, সেটা একটা বড় প্রশ্ন। ন্যাচারোপ্যাথিক চিকিৎসক ডা.

জেনিফার স্ট্যাগ বলেন, ‘আপনি ভাবতে পারেন, বেশি খরচ করে দামি হোটেলে গেলেই সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন রুম পাবেন। তবে অনুসন্ধানী প্রতিবেদকদের তথ্য কিন্তু সব সময় তা বলছে না।’

সে ক্ষেত্রে ভ্রমণকারীদের আদতে কতটা সচেতন হওয়া উচিত? যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের হিউস্টন মেথডিস্ট হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের মেডিকেল পরিচালক ডা. এস ওয়েসলি লং বলেন, ‘যাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা তুলনামূলক দুর্বল, তাঁদের সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন বেশি।’ তবে বাকিদেরও সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। কেউই তো ঘুরতে গিয়ে অসুস্থ হতে চান না।

রুম সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত কি না, তা নিশ্চিত করা কঠিন। তাই ঘন ঘন হাত ধোয়া গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে খাবার খাওয়ার আগে। এ ছাড়া আরও কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে অনেক রোগজীবাণু থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব।

কাচের পাত্রগ্লাসের জীবাণু পরিষ্কারে অনেক সময় কম নজর দেন কর্মীরা।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণে চারজন দগ্ধ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডে চার নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রূপসী কাজীপাড়া এলাকার জৈনপুরী আশরাফিয়া টেক্সটাইল কারখানায় (মঞ্জু টেক্সটাইল) এ ঘটনা ঘটে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মে দিবসের কারণে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ। এ জন্য লাইনে গ্যাসের উচ্চ চাপ সৃষ্টি হয়ে মিটারে বিস্ফোরণ হয়। সেখান থেকে আগুন ধরে চারজন নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস পৌঁছানোর আগেই কারখানার লোকজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

এ ঘটনায় দগ্ধ আবদুল হান্নান (৫০), কবির হোসেন (৪৫) ও সাইফুল ইসলামকে (২৫) রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ অন্যজনের নাম জানা যায়নি। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

হাসপাতালের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজনের শরীরের ৩৪ থেকে ৫৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, রাতের ডিউটি (দায়িত্ব) শেষে সকাল আটটার দিকে শ্রমিকেরা কারখানা ছেড়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর তিতাস গ্যাস সংযোগের আরএমএস কক্ষে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। তখনই চারজন দগ্ধ হন। পরে কারখানার লোকজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ঘটনাটি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ দাবি করে কারখানার মালিক মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার পর আপাতত কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। শ্রমিকদের সব চিকিৎসার ব্যয় কারখানা থেকে বহন করা হবে। তাঁদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ