দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ৩৭ লাখ, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
Published: 2nd, March 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
গত বছরের তালিকায় যুক্ত হওয়া ভোটারসহ দেশের মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বর্তমানে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন।
রোববার (২ মার্চ) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে জাতীয় ভোটার দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।
এবারের প্রতিপাদ্য ‘তোমার আমার বাংলাদেশে, ভোট দেব মিলেমিশে’। ভোটার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ইসি। এ ছাড়া মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
এ বিষয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর গতকাল বলেন, বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস পালন করা হয়। ওই নিয়ম অনুযায়ী আজ ভোটার দিবসে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর আগে ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়।
শনিবার ইসি জানায়, রোববার সকাল সোয়া ৯টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে জাতীয় ভোটার দিবসের কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিইসি ছাড়াও অন্য চার নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিবসহ সব কর্মকর্তা, কর্মচারী উপস্থিত থাকবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সকাল সাড়ে ৯টায় শোভাযাত্রা বের হবে। এরপর বেলা ১১টায় নির্বাচন ভবনের বেইজমেন্টে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত কয়েক ভোটারের হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দেওয়া হবে হবে বলে জানিয়েছে ইসির জনসংযোগ শাখা।
২ জানুয়ারি খসড়া হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ইসি। ওই তালিকায় ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জন অন্তর্ভুক্ত হন। সেই অনুযায়ী, দেশের ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২। এর মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৩০ হাজার ১০৩, নারী ৬ কোটি ৩ লাখ ৫২ হাজার ৪১৫ এবং হিজড়া ভোটার ৯৯৪ জন।
তবে প্রত্যাশিত সংখ্যায় নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় এবং মৃত ভোটার বাদ না যাওয়ায় এই তালিকা অসঙ্গতিপূর্ণ বলে ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদের কাজ শুরু করে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি। মৃত ভোটার কর্তনের পাশাপাশি বাদ পড়া এবং ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ হবে তারা হালনাগাদ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, খসড়া তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি শেষে নতুন ভোটার সংখ্যা ২০ লাখের বেশি বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন, এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।
আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বারের হলরুমে ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার সংকট ও আইনি প্রতিকার পাওয়ার পথ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেড আই খান পান্না। সেমিনারটির আয়োজন করে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।
বক্তব্যে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘এখানে সংখ্যালঘুর কথা বলা হচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখন আমি সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু। আজ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা দেখি, জুতা দিয়ে বাড়ি দিতে দেখি, কিন্তু কিছু করতে পারি না। তাই আমি সবচেয়ে বড় অসহায়।’
এসব কথা বলতে বলতে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না কেঁদে ফেলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, জীবনে কখনো জেনে-বুঝে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করেন, তাঁদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
জেড আই খান পান্না আরও বলেন, ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, কারও সঙ্গে এর তুলনা চলে না। এটা সাম্প্রদায়িকতার দেশ না। সংবিধানে যেন কেউ হাত না দেয়। সরকারের অনেকেই বিদেশি হয়েও স্বদেশি ভাব দেখাচ্ছেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার যেন নিঃশেষ হয়ে গেছে। সমাজে ন্যায়বিচার বা সুবিচার পাওয়ার কথা থাকলেও তা মিলছে না। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচার হয় না। কেউ কেউ ধরা পড়লেও পরে বেরিয়ে যায়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুমন কুমার রায় বলেন, সব সরকারের আমলেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত। বর্তমান নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। সংস্কার কমিশনে সংখ্যালঘুদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা হলেও সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া আসে না, এমনকি দুঃখও প্রকাশ করে না।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ শুরু হলে তা দমন করতেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে সুমন কুমার দাবি করেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সনাতনী সম্প্রদায়ের বাক্স্বাধীনতা বন্ধ করতে, নেতৃত্ব দমন করতে এসব করা হচ্ছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে কে পাল। সঞ্চালনায় ছিলেন এইচআরসিবিএমের বাংলাদেশ চ্যাপটারের আহ্বায়ক লাকি বাছাড়। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরশেদ ও মো. গোলাম মোস্তফা।