সাভারে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে পোশাক শ্রমিকরা। এতে  মহাসড়কের উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে প্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন ওই সড়কের চলাচলরত যাত্রীরা।

রোববার রাতে উলাইলের কর্নপাড়া এলাকায় অবস্থিত প্রতীক এ্যাপারেলস পোশাক কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। রাত ১০টা পর্যন্ত এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে শিল্পপুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবস্থান করছেন। 

বিক্ষুব্ধ পোশাক শ্রমিকরা জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষ জানুয়ারি মাসের বেতন এখনও পরিশোধ করেননি। কয়েক দফায় বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলেও কর্তৃপক্ষ বেতন দেয়নি। ফলে শ্রমিকরা বাসা ভাড়াসহ মুদি দোকানের বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে পারছেন না। রোজা শুরু হলেও শ্রমিকরা বাজার করতে না পারায় সংসার চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। তাই বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতে মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছেন। 

সাভার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ সওগাতুল আলম বলেন, বকেয়া বেতনের দাবিতে প্রতীক নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছে। আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ