বাংলাদেশের নারীরা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের নাম উজ্জ্বল করছেন বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আজ শনিবার বিকেলে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে ‘কিউট আন্তর্জাতিক নারী দিবস আর্চারি টুর্নামেন্ট-২০২৫’–এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

আসিফ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের নারীরা শুধু ক্রীড়া নয়, অন্যান্য সব ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করে চলেছেন। দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাত, পোশাক খাতে নারীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে। জাতীয়, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, সামাজিক, রাজনৈতিক সব অর্জনে নারীদের যে অংশগ্রহণ, তার জন্য তাঁদের শুভেচ্ছা জানান উপদেষ্টা।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ১১ জন নারী শহীদ হয়েছেন জানিয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল প্রশংসনীয়। এই অভ্যুত্থানে আমাদের মোট ১১ জন নারী শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন সহস্র নারী। আমাদের অসংখ্য মা তাঁদের সন্তান হারিয়েছেন। এই সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে দেশের জন্য যে নারীরা পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে যাচ্ছেন, তাঁদের সবার জন্য অন্তরের অন্তস্তল থেকে শুভেচ্ছা।’

বাংলাদেশ আর্চারি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দিনভর অনুষ্ঠিত হয় টুর্নামেন্ট। এতে অংশ নেন ১২টি দলের মোট ৮১ জন নারী আর্চার। এতে ৫টি মেডেল পেয়ে প্রথম হয় বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)। আর দুটি মেডেল পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী এবং বাকি দলগুলো ১টি করে মেডেল পায়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মকসুদ জাহেদী, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ।

বক্তব্যে আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘আর্চারি ফেডারেশনের নারী আর্চাররা বাংলাদেশের জন্য যে সম্মান বয়ে আনছেন, ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টগুলোতে বাংলাদেশের জন্য আরও সম্মান বয়ে আনবেন বলে আশা করছি। আমাদের যেসব খেলাধুলায় সম্মান অর্জনের সুযোগ আছে, তার পৃষ্ঠপোষকতার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য আর চ র গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণ: বাসচালকের সহযোগী গ্রেপ্তার

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি লিটন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। লিটন মামলার প্রধান আসামি বাসচালক সাব্বির মিয়ার সহযোগী (হেলপার)। 

সোমবার গভীর রাতে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুর এলাকা থেকে লিটনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৯। আসামি লিটন (২৬) সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রশিদপুর গ্রামের বাসিন্দা। 

র‍্যাব-৯-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) কে.এম শহিদুল ইসলাম জানান, সিলেট সদর কোম্পানি ও শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প যৌথ অভিযান চালিয়ে লিটনকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে মামলার প্রধান আসামি সাব্বির মিয়াকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সাব্বির নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের ইনাতাবাদ বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দা।

গত রোববার রাতে নবীগঞ্জ-শেরপুর আঞ্চলিক সড়কে একটি চলন্ত বাসে চালক ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরদিন নবীগঞ্জ থানায় মামলা করে। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, ঢাকার একটি কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই ছাত্রী রোববার দুপুরে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে বাসে করে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও বাসে ঘুমিয়ে পড়ায় সে মৌলভীবাজারের শেরপুর স্টপেজে নামে। সেখান থেকে রাত ১০টার দিকে ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি লোকাল বাসে উঠে বাড়ি ফেরার সময় আউশকান্দি এলাকায় অন্য যাত্রীরা নেমে যান। এ সময় একা পেয়ে বাসচালক সাব্বির ও হেলপার লিটন চলন্ত বাসে তাকে ধর্ষণ করে। তার চিৎকারে তিনতালাব এলাকায় স্থানীয়রা বাসটি আটক করে। এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় স্থানীয়রা চালককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। তবে লিটন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়। 

মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। তিনি জানান, ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য তাকে হবিগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ