নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও এলাকায় বোরো ক্ষেতে হানা দিয়েছে বন্যহাতির পাল। গত শুক্রবার রাতে ৩০-৪০টি হাতি নাকুগাঁও এলাকার ফিলামিনা চিসিমের জমিতে তাণ্ডব চালায়। তাঁর সোয়া দুই একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এলাকাবাসীর প্রতিরোধে পাহাড়ে ফিরে গেছে হাতির পাল।
হাতির পালটি নাকুগাঁওয়ের বানেরটিলায় সীমান্তবর্তী ১১১৫ নম্বর পিলারের কাছে অবস্থান করায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন স্থানীয় কৃষক। গ্রামবাসী হাতি তাড়াতে বন বিভাগ ও সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
কিষানি ফিলামিনা চিসিম বলেন, ‘ঋণ কইরা ৪৫ কাডা (কাঠা) জমিতে বোরো ধান লাগাইছি। রাইতে (রাতে) হঠাৎ কইরা হাতির পাল ক্ষেতে নাইম্মা আমার জমির ধান খাইয়া আর পাও (পা) দিয়া ফসল মাডির (মাটির) লগে মিশাইয়া ফালাইছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের ডাক-চিৎকারে গ্রামবাসী হই-হুল্লোড় কইরা ক্ষেত থাইকা হাতি সরাইছে। বাকি ফসল রক্ষায় রাইত জাইগা পাহারা দিতাছি।’
স্থানীয় কয়েকজন কৃষক জানান, ৩০-৪০টির মতো বন্যহাতি খাবারের সন্ধানে নাকুগাঁও এলাকায় চলতি বোরো ধান ক্ষেতে হানা দিচ্ছে। মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জার দেওয়ান আলী বলেন, হাতি ও মানুষের সহবস্থানে থাকার ব্যাপারে বন বিভাগ সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’
জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত ১১ দলের ১১টি নতুন প্রযোজনা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’। জাতীয় নাট্যশালায় গত ৩১ জুলাই শুরু হওয়া এই নাট্যোৎসব চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসবে নাট্যরূপে উঠে আসছে ইতিহাস, আন্দোলন ও সময়ের গল্প।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন গতকাল শুক্রবার জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় ‘শুভঙ্কর হাত ধরতে চেয়েছিল’। তীরন্দাজ রেপার্টরি প্রযোজিত নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় দীপক সুমন। গতকালই ছিল এ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মঞ্চস্থ নতুন এ নাটক নিয়ে আলোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে উল্লেখযোগ্য দর্শকের উপস্থিতি ছিল। দর্শকদের অনেকেই বলছেন, এই নাটকে যেন এক নাগরিকের নির্জনতা, এক প্রেমিকের না-পাওয়া, এক বিপ্লবীর বিষণ্নতা আর এক সাধারণ মানুষের অসহায়তা একসূত্রে বাঁধা পড়েছে।