সিরিয়ায় বর্তমানে যে সংঘাত চলছে, সেটা দেশটির প্রায় ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ ঘটনা। দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদের অনুগত যোদ্ধারা এই সংঘাত শুরু করেছেন। সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক শক্তি নিয়ে পাল্টা হামলা শুরু করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এই সংঘাত বন্ধ করতে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা হিমশিম খাচ্ছেন। তবে তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের তিনি আইনের আওতায় আনবেন।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের (এসওএইচআর) তথ্যমতে, চলমান সংঘাতে এরই মধ্যে সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে এক হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় শহর লাতাকিয়া ও তারতুসে ক্ষমতাচ্যুত বাশার আল-আসাদের অনুগত যোদ্ধারা সমন্বিতভাবে হামলা শুরু করেন। লাতাকিয়া ও তারতুস বাশার সরকারের শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এখনো বিচ্ছিন্নভাবে সংঘাত-সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

সিরিয়ার একটি কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠীর এক শীর্ষ নেতা চলমান ভয়ংকর সহিংসতার জন্য তুরস্কের সহায়তাপুষ্ট কিছু উগ্র ইসলামি গোষ্ঠীকে দায়ী করেছেন। তাঁর দাবি, এসব গোষ্ঠীর সদস্যরা আলাউইত সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষকে হত্যা করছেন। বাশার আল–আসাদও এই সম্প্রদায়ের মানুষ। কিন্তু এই অভিযোগ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মুখ খোলেনি তুরস্ক।

আরও পড়ুনসিরিয়ায় অভিযানে আলাউইত সম্প্রদায়ের ১৬২ জন নিহত, অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান শারার০৮ মার্চ ২০২৫

অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট শারার কার্যালয় জানিয়েছে, সংঘাত ও উভয় পক্ষের হত্যাকাণ্ড তদন্ত করে দেখার জন্য একটি স্বাধীন কমিটি গঠন করা হচ্ছে। যোদ্ধাদের হাতে সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব ভিডিও তাৎক্ষণিক যাচাই করে দেখতে পারেনি।

সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র বলেছে, লাতাকিয়া, জাবলা ও বানিয়াস শহরে লড়াই কমে এসেছে। তবে দুর্গম এলাকায় তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। এসব এলাকায় বাশারপন্থী প্রায় পাঁচ হাজার বিদ্রোহী লুকিয়ে রয়েছেন।

সিরিয়ার বর্তমান নেতা আল-শারাকে বহুভাগে বিভক্ত দেশটিতে নানা ধরনের চাপ সামলাতে হচ্ছে। গত রোববার রাজধানী দামেস্কের মাজ্জাহ পাড়ায় একটি মসজিদে তিনি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতীয় ঐক্য ও দেশের শান্তি রক্ষা করতে হবে। আমরা মিলেমিশে বাস করতে পারি। সিরিয়ায় বর্তমানে চলমান এসব চ্যালেঞ্জ ঘটতে পারে বলে আগেই ধারণা করা গিয়েছিল।’

যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা

সিরিয়ার সেনাবাহিনীর সদস্যরা। আলেপ্পোতে, ৭ মার্চ ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?

দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’

প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।

আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’

তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’

মুশফিকুর রহিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ