রুচির বদলে কুমিল্লায় ইফতারে যোগ হয়েছে নতুন নতুন পদ
Published: 15th, March 2025 GMT
ইরানি জিলাপি, গরুর মাংসের পাকিস্তানি বিরিয়ানি, আফগানি খাসির কাবলি পোলাও, খাসির পা রোস্ট, গরু, মুরগি ও খাসির মাংস দিয়ে তৈরি বিভিন্ন মুখরোচক খাবার থেকে শুরু করে কী নেই! কুমিল্লার হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোর ইফতার আয়োজনে এবার বেশ চমক ও বৈচিত্র্য দেখা গেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, আধুনিকতার সঙ্গে প্রতিনিয়তই জেলার মানুষের রুচির পরিবর্তন ঘটছে।
সম্প্রতি এক বিকেলে দেখা যায়, নগরের কান্দিরপাড় জিলা স্কুল সড়ক লাগোয়া বধূয়া ফুড ভিলেজে শতাধিক ধরনের ইফতারির পসরা সাজানো হয়েছে। রেস্তোরাঁটিতে এবারও ইরানি জিলাপির চাহিদা বেশি। প্রতি কেজি ইরানি জিলাপি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তারাই কুমিল্লায় সবার আগে পাকিস্তানি বিফ বিরিয়ানি ও আফগানি খাসির কাবলি পোলাও নিয়ে এসেছে। মাত্র ২০০-২২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে এই মুখরোচক খাবার। আর ৭০০ টাকায় মিলছে খাসির আস্ত পায়ের রোস্ট। মাটির হাঁড়িতে রান্না করা প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩৫০ টাকায়। এ ছাড়া আস্ত সোনালি ডিম ভেতরে দিয়ে তৈরি করা খাঁচি কাবাবের দাম পড়ছে ৩৭০ টাকা।
পরিবারের সদস্যদের জন্য ইফতারি কিনতে সেখানে এসেছিলেন বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা রেজাউনুর রহমান। তিনি বলেন, আধুনিকতার সঙ্গে প্রতিনিয়ত মানুষের রুচির পরিবর্তন ঘটছে। এ কারণে ইফতারেও এসেছে নানা বৈচিত্র্য। তাঁর পরিবারের সদস্যরা প্রতিষ্ঠানটির ইফতারি পছন্দ করেন। তাই এসেছেন তিনি।
প্রতিবছরই ইফতারে নতুন নতুন আইটেম যুক্ত করা হয় জানিয়ে বধূয়া ফুড ভিলেজের স্বত্বাধিকারী ফুয়াদ আহমেদ বলেন, ‘এবারও শতাধিক আইটেম নিয়ে হাজির হয়েছি আমরা। এই সংখ্যা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি। পাকিস্তানি বিফ বিরিয়ানি, আফগানি খাসির কাবলি পোলাওসহ কয়েকটি আইটেম আমরাই প্রথম কুমিল্লায় নিয়ে এসেছি। আমাদের ইরানি জিলাপি কয়েক বছর ধরেই চাহিদার শীর্ষে। আমাদের এখানে নেহারি, তাওয়া ঝাল ফ্রাই, জাফরানি দুধ নান রুটি, নাগরিস কোপতা, বিফ টিক্কা কাবাব, শাহি হালিম, বাদামের শবরত, ফিরনি, গাজরের হালুয়া, চিকেন সাসলিক চিকেন টিক্কা, চিকেন ললিপ, বিফ শিক, বিফ সাসলিক, চিকেন তন্দুরি, চিকেন কেরাম লেগ, সামি কাবাব, জালি কাবার, চিকেন টোস্টসহ শতাধিক আইটেম রয়েছে।’
সম্প্রতি কুমিল্লা নগরের বাসিন্দাদের কাছে ইরানি জিলাপির চাহিদা বেশ বেড়েছে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?
দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’
প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।
আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’
তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’
মুশফিকুর রহিম