ক্রিকেটারদের মধ্যে আর কারোরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এত বেশি অনুসারী নেই। শুধু ইনস্টাগ্রামেই বিরাট কোহলির অনুসারী ২৭ কোটি। এর বাইরে ফেসবুকে তাঁকে অনুসরণ করেন ৫ কোটি ১০ লাখ আর এক্সে ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ।

অথচ ভারতীয় এই ক্রিকেটারের নাকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন পোস্ট করতে আর ভালো লাগে না। ল্যাব ইন্ডিয়ান স্পোর্টস সামিটের এক অনুষ্ঠানে এমন কথা জানিয়েছেন কোহলি নিজেই। এসব থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

কেন? কারণ জানাতে গিয়ে কোহলি বলেছেন, ‘এখন আমি আর এত বেশি পোস্ট করি না। অনেকেই এতে খুশি নয়, কিন্তু এটা আমি সচেতনভাবেই করছি। কারণ, ওই প্রবাহ ধরে রাখা একটু বেশিই হয়ে যায়। শারীরিকভাবে এটা আমার অনেক শক্তি কেড়ে নেয় বলে মনে হয়—যেটা আমি খেলায়, নিজের জীবন বা আশপাশের মানুষকে দিতে পারি। আমি তা অপচয় করতে চাই না।’

আরও পড়ুন‘ডান্ডিয়া’ নাচের পর ভাইরাল রোহিত–কোহলি ১০ মার্চ ২০২৫

এখনো অবশ্য মাঝেমধ্যে পারিবারিক বা ব্যক্তিগত ছবি দিতে দেখা যায় কোহলিকে। কিন্তু সেটিও নাকি অতীতে করা তাঁর বিভিন্ন বাণিজ্যিক চুক্তিরই অংশ। নিজের ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনকে সম্পূর্ণ আলাদা করে ফেলার ইচ্ছা ভারতীয় এই তারকার, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখনো এমন অনেক কিছুই করতে হয়, যেটা করার বিষয়ে আমি অতীতে সম্মতি দিয়েছি। কিন্তু যদি এখন জিজ্ঞেস করেন, ব্যক্তিগত জিনিসগুলো আমি আর না দেওয়ার ব্যাপারে সচেতন। পরবর্তী জীবনে আমি যা–ই করি না কেন, অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাব এসব থেকে।’

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চ্যাম্পিয়নের ট্রফি হাতে বিরাট কোহলি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ