ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য সাধারণ মানুষের কাছে সরকারিভাবে নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি না করে তা অন্যত্র বিক্রির অভিযোগ উঠেছে মো. মিরাজ নামের এক টিসিবির ডিলার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি ঘটেছে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১নং ওয়ার্ডের মিজমিজি বাতানপাড়া ক্যানালপাড় এলাকায়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চলছে বিভিন্ন আলোচনা সমালোচনা। অভিযুক্তরা হলো উক্ত এলাকার টিসিবির ডিলার মো.

মিরাজ, তার সহযোগী মো.ইমরান ও ওসমান গণী।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১নং ওয়ার্ডের মিজমিজি বাতানপাড়া ক্যানালপাড় এলাকার টিসিবির ডিলার মো. মিরাজের মাধ্যমে নিন্ম আয়ের প্রায় ১ হাজার নয়শত সাধারণ মানুষের মাঝে এ পণ্য বিক্রি করার কথা থাকলেও তা বিক্রি না করে চড়া মূল্যে অন্যত্র বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওয়ার্ড সচিব মো. হযরত আলী জড়িত বলেও জানা গেছে। 

জানা যায় ওয়ার্ড সচিব মো. হযরত আলীকে ম্যানেজ করে এই অনিয়ম করে যাচ্ছে টিসিবির ডিলার মো. মিরাজ ও তার সহযোগীরা। জানা যায় টিসিবির পণ্যের মধ্যে খেঁজুর বিক্রি না করে তা অন্যত্র সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় হোটেলে চড়া মূল্যে বিক্রি করছেন মিরাজের সহযোগী ইমরান ও ওসমান গণী। 

ইমরান টিসিবির খেঁজুর সাধারণ মানুষকে ভারতের খেঁজুর বলে বিক্রি করছেন চড়া মূল্যে। এসব অনিয়ম দূর্নীতি করে এ চক্র হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। তাদের এসব অনিয়মের ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই এলাকার টিসিবির ডিলার মিরাজের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

বিষয়টি জানতে ওয়ার্ড সচিবের দায়িত্বে থাকা মো. হযরত আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আগে জনপ্রতিনিধির লোকজন ছিলো তারা বিষয়টি দেখাশোনা করতো। এখন তারা নেই তাই হয়তো এমন হচ্ছে। 
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র সহয গ এল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইবিতে ছুটি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত সেই মোজাম্মেল

হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিকারী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাব-রেজিস্ট্রার মোজাম্মেল হক পলাতক রয়েছেন। তিনি কোনো ধরনের ছুটি না নিয়ে কর্সস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।

এর আগে, হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির বিষয়টি সামনে এলে ওই কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ঝিনাইদহ জেলা ইমাম পরিষদ।

শিক্ষার্থীরা বলেন, মোজাম্মেল হক দীর্ঘদিন থেকে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নারীলোভী বলে কটুক্তি করে আসছিলেন। অথচ মহান আল্লাহ স্বয়ং মহানবী (স.) এর চরিত্রের সনদ দিয়েছেন। সমস্ত পৃথিবীর রহমত স্বরূপ তাকে প্রেরণ করা হয়েছে। তার এ হীন কাজের জন্য আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

আরো পড়ুন:

রাসূল (সা.)-কে নিয়ে কটুক্তিকারী ইবি কর্মকর্তার বহিষ্কার দাবি

নারী কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাহার দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের 

শিক্ষার্থীরা মনে করেন, সারা দেশের মানুষকে আলোর পথ দেখাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জায়গায় এবং আল হাদিস বিভাগের কর্মকর্তার রাসূলের শানে এ ধরনের বেয়াদবি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই প্রশাসনের কাছে এই কর্মকর্তার বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।

ঝিনাইদহ ইমাম পরিষদের স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, মোজাম্মেল হক নামের এক ব্যক্তি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে নারীলোভী ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার পাশাপাশি ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চরম কটূক্তি ও অশালীন মন্তব্য করেছে যা দেশের কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত হেনেছে। এমন ঘৃণ্য ও উসকানিমূলক বক্তব্য শুধু ধর্মীয় সহনশীলতা নষ্ট করে না, বরং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করে সমাজে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করতে পারে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। 

বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, “এ ঘটনায় আগেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটি এখন জাতীয় ইস্যু হয়ে গেছে। তবে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক বিভাগে আসছে না। এ বিষয়ে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে মিটিং আছে। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হকের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

মহানবী (সা.)-কে কটুক্তিকারী মোজাম্মেল হক ঝিনাইদের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ভুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মহানবী (সা.)-কে নারীলোভী বলে কটুক্তি করার অভিযোগে গ্রামবাসী তাকে গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখেন এবং পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে মৌখিক মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।  

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইবিতে ছুটি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত সেই মোজাম্মেল