রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার হরিণবাড়িয়া কামিয়া দারুল উলুম কওমী মাদ্রাসার তিন ছাত্রকে বলাৎকারচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক ছাত্রের মা বাদী হয়ে আজ বুধবার কালুখালী থানায় মামলা করেছেন। পরে পুলিশ শিক্ষক মামুনকে গ্রেপ্তার করে। 

শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন খুলনা পাইকগাছার সোনাতন কাঠি এলাকার বেলজার হোসেনের ছেলে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ১২টার দিকে শিক্ষক মামুন তার ছেলেকে (১৪) ডেকে নিয়ে বলাৎকারচেষ্টা করেন। তার ছেলে কৌশলে শিক্ষক মামুনকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। একইভাবে মাদ্রাসার আরও দুই ছাত্রকে বলাৎকারের চেষ্টা করে মামুন। বেশ কিছুদিন ধরে মামুন এভাবেই ছাত্রদের বলাৎকারের চেষ্টা করে আসছিলেন। ছাত্ররা যাতে বিষয়টি কাউকে না বলে সেজন্য নানাভাবে ভয় দেখানো হতো। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় লোকজন মামুনকে আটক করে কালুখালী থানা পুলিশকে দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

কালুখালী থানার ওসি মুহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানাজানি হলে মঙ্গলবার রাতে স্থানীয়রা মাদ্রাসাশিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আটক করে পুলিশকে খবর দেন। আজ দুপুরে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মা এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার মামুনকে আদালতে পাঠানো হয়।  

ওসি আরও জানান, শিক্ষক মামুন দীর্ঘদিন ধরেই বেশ কয়েকজন ছাত্রকে বলাৎকারের চেষ্টা করে আসছিলেন। বিষয়টি যেন কাউকে না বলে এজন্য ছাত্রদের নানাভাবে ভয় দেখাতেন তিনি। এমন অভিযোগ তিন অভিভাবক করেছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০

বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ