পটুয়াখালীতে ভুক্তভোগী সেই কলেজছাত্রী ও তাঁর পরিবারের খোঁজখবর নিতে এসেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে তিনি পটুয়াখালীতে পৌঁছান।

ওই ছাত্রী পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর শারীরিক অবস্থা জানতে নাহিদ ইসলাম দুপুরে ওই হাসপাতালে যান। তিনি পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক দিলরুবা ইয়াসমিনের কক্ষে গিয়ে ছাত্রীর সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন জাতীয় নাগরিক পাটির মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসুদ, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ সদস্যসচিব জাহিদ আহসান, জ্যেষ্ঠ সদস্যসচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্যসচিব মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন প্রমুখ।

আরও পড়ুনপটুয়াখালীতে কলেজছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১১৫ ঘণ্টা আগে

ভুক্তভোগী তরুণী (১৮) দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়েন। তাঁর পরিবার বলছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুমকি উপজেলার একটি ইউনিয়নে তিনি ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় সাকিব মুন্সি (১৯) নামের এক তরুণকে আটক করেছে দুমকি থানার পুলিশ। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গতকাল সন্ধ্যায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ছাত্রীটির মা সাংবাদিকদের জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই ঢাকার মোহাম্মদপুরে তাঁর স্বামী গুলিবিদ্ধ হন। ১০ দিন পর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তাঁর শহীদ স্বামীকে দুমকি উপজেলার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁর কলেজপড়ুয়া মেয়ে বাবার কবর জিয়ারত করে কাছেই নানাবাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় একই ইউনিয়নের আলগী গ্রামের মুন্সিবাড়ির কাছে পৌঁছালে স্থানীয় মামুন মুন্সির ছেলে সাকিব মুন্সিসহ দুজন তাঁর মেয়ের জোর করে সড়কের পাশের একটি নির্জন বাগানে নিয়ে যান। এরপর ওই দুই বখাটে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের দৃশ্য তাঁদের মুঠোফোনে ধারণ করেন এবং ধর্ষণের কথা কাউকে না বলতে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁর মেয়েকে ছেড়ে দেন তাঁরা। তাঁর মেয়ে ঘটনাটি এক সহপাঠীকে জানালে তাঁর মাধ্যমে তাঁরা দুমকি থানার পুলিশের সহায়তা নেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের মানবিক শিক্ষায় উৎসাহিত করতে বন্দরের দুটি স্কুলে ‍ডিসি

নারায়ণগঞ্জের শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের মানবিক শিক্ষায় উৎসাহিত করতে দুটি স্কুল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বন্দর উপজেলার ২১নং কুড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কুড়িপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ঘুরে দেখেন তিনি।

এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন, তাদের পড়াশোনার খোঁজখবর নেন এবং পড়াশোনায় আরও আগ্রহী হওয়ার জন্য বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

জেলা প্রশাসক তার পরিদর্শনে শিক্ষকদের সঙ্গেও কথা বলেন। তিনি শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থীদের মানবিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়কেই জোর তাগিদ দেন। তিনি বলেন, শুধু ফলাফলমুখী শিক্ষা নয়, শিক্ষার্থীদের মাঝে মানবিকতার বিকাশ ঘটানোও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সুস্থ বিনোদন এবং মাদকমুক্ত রাখতে জেলা প্রশাসক খেলাধুলার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রিকেট ব্যাট, বল, ব্যাডমিন্টন ও দাবাসহ বিভিন্ন ক্রীড়াসামগ্রী বিতরণ করেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে জেলা প্রশাসক তাদের শারীরিক সুস্থতার খোঁজখবর নেন। তিনি শিশুদের মাঝে জুস ও কেক বিতরণ করেন।

জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি এবং ফলাফলমুখী শিক্ষার বাইরে মানবিকতার বিকাশে তিনি বদ্ধপরিকর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিক্ষার্থীদের মানবিক শিক্ষায় উৎসাহিত করতে বন্দরের দুটি স্কুলে ‍ডিসি