জিহ্বায় ঘা বা ক্ষত দেখা দিলে নানা রকম শারীরিক সমস্যা অনুভূত হয়। অনেক সময় জিহ্বার ক্ষত জটিল রোগের বার্তা বহন করে।যেকোনো মানুষেরই জিহ্বায় ক্ষত হতে পারে। তবে বেশ কিছু রোগ রয়েছে যেগুলোতে আক্রান্ত হলে জিহ্বায় ক্ষত দেখা দেয়। 

ডা. শতাব্দী ভৌমিক, ওরাল অ্যান্ড ডেন্টাল সার্জন একটি পডকাস্টে বলেন, ‘‘জিহ্বায় ঘা হলে জিহ্বার ওপর ছোট ছোট বা ছোপ ছোপ ফোসকা তৈরি হতে পারে। এটি আকারে বড়ও হতে পারে। আবার ছোটোও হতে পারে। সাধারণত এই ক্ষত বা ছোপ জিহ্বার ওপরে, তলে এবং জিহ্বার পেছনে দেখা দিতে পারে। জিহ্বার ক্ষত খুবই যন্ত্রনাদায়ক হতে পারে। সাধারণত ক্ষতটি লাল রঙের হয়ে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ক্ষত সাদা রঙের বা হলদে রঙেরও হয়। খাবার খাওয়ার সময় এই ক্ষত থেকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এ ছাড়াও মশলাদার বা ঝাল খাবার খাওয়ার সময় প্রচণ্ড জ্বালাপোড়া অনুভূত হতে পারে। ’’ 

জিহ্বায় ঘা বা ক্ষত হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি
ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, রিউমাটিক ডিজিজ ও পরিপাকতন্ত্রের রোগে আক্রান্তদের জিহ্বায় ক্ষত দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যারা স্টেরয়েড গ্রহণ করছেন তাদের এই সমস্যা বেশি হয়। এ ছাড়া কৃত্রিম দাঁত ব্যবহার করেন, তাদেরও মুখে ঘায়ের ঝুঁকি রয়েছে। 

আরো পড়ুন:

সকালে ঘুম ভাঙতে চায় না? তিনটি নিয়ম মেনে চলুন

বৃষ্টিদিনে চুলের যত্নে করণীয়

উল্লেখ্য, জিহ্বায় ঘা দেখা দিলে তা ছত্রাকজনিত, ওষুধজনিত কিংবা ভিটামিনের অভাব যে কারণেই হোক না কেন চিকিৎসা গ্রহণ করুন। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ যকর জ বন

এছাড়াও পড়ুন:

এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর

বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!

কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।

এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)

সম্পর্কিত নিবন্ধ