জিহ্বায় ক্ষত হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি
Published: 16th, August 2025 GMT
জিহ্বায় ঘা বা ক্ষত দেখা দিলে নানা রকম শারীরিক সমস্যা অনুভূত হয়। অনেক সময় জিহ্বার ক্ষত জটিল রোগের বার্তা বহন করে।যেকোনো মানুষেরই জিহ্বায় ক্ষত হতে পারে। তবে বেশ কিছু রোগ রয়েছে যেগুলোতে আক্রান্ত হলে জিহ্বায় ক্ষত দেখা দেয়।
ডা. শতাব্দী ভৌমিক, ওরাল অ্যান্ড ডেন্টাল সার্জন একটি পডকাস্টে বলেন, ‘‘জিহ্বায় ঘা হলে জিহ্বার ওপর ছোট ছোট বা ছোপ ছোপ ফোসকা তৈরি হতে পারে। এটি আকারে বড়ও হতে পারে। আবার ছোটোও হতে পারে। সাধারণত এই ক্ষত বা ছোপ জিহ্বার ওপরে, তলে এবং জিহ্বার পেছনে দেখা দিতে পারে। জিহ্বার ক্ষত খুবই যন্ত্রনাদায়ক হতে পারে। সাধারণত ক্ষতটি লাল রঙের হয়ে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ক্ষত সাদা রঙের বা হলদে রঙেরও হয়। খাবার খাওয়ার সময় এই ক্ষত থেকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এ ছাড়াও মশলাদার বা ঝাল খাবার খাওয়ার সময় প্রচণ্ড জ্বালাপোড়া অনুভূত হতে পারে। ’’
জিহ্বায় ঘা বা ক্ষত হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি
ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, রিউমাটিক ডিজিজ ও পরিপাকতন্ত্রের রোগে আক্রান্তদের জিহ্বায় ক্ষত দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যারা স্টেরয়েড গ্রহণ করছেন তাদের এই সমস্যা বেশি হয়। এ ছাড়া কৃত্রিম দাঁত ব্যবহার করেন, তাদেরও মুখে ঘায়ের ঝুঁকি রয়েছে।
আরো পড়ুন:
সকালে ঘুম ভাঙতে চায় না? তিনটি নিয়ম মেনে চলুন
বৃষ্টিদিনে চুলের যত্নে করণীয়
উল্লেখ্য, জিহ্বায় ঘা দেখা দিলে তা ছত্রাকজনিত, ওষুধজনিত কিংবা ভিটামিনের অভাব যে কারণেই হোক না কেন চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ যকর জ বন
এছাড়াও পড়ুন:
কষ্ট পুষে রাখা মানুষটির আজ জন্মদিন
১৮ অক্টোবর ২০১৮। সকাল থেকেই ছড়িয়ে পড়ল খবরটা—আইয়ুব বাচ্চু নেই! বেলা বাড়তেই হাসপাতাল লোকারণ্য। চট্টগ্রামের শেষযাত্রার আয়োজনে জনসমুদ্র। এত বিষণ্নতা নিকট অতীতে দেখেনি ব্যান্ড সংগীতের সাম্রাজ্য। শুধু কি সাম্রাজ্য? ফিকে হয়ে গেল এ প্রজন্মের ব্যান্ড সংগীত অনুরাগীদের ছেলেবেলা! চলে গেলেন ‘গিটারের জাদুকর’! এই শোক কতটা কাটিয়ে উঠতে পারবে দেশের ব্যান্ড সংগীতাঙ্গন? আপামর সংগীতপ্রেমীর দল? মাত্র ছাপ্পান্নতেই সব শেষ! ক্যালেন্ডারের পাতায় যদি সেই দিনটি না থাকত, ১৮ অক্টোবর ২০১৮? তাহলে আজ তিনি পূর্ণ করতেন ৬৩, পড়তেন ৬৪তম বছরে। ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রাম শহরে মাত্র ছাপ্পান্ন বছরের সময় হাতে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। বাবা চেয়েছিলেন ছেলের এমন একটা নাম হবে, যা অন্য কারও নেই। যেমন আইয়ুব আলী, আইয়ুব হোসেন—এমন তো হয়-ই। দুটি নাম থেকে আলাদা অংশ নিয়ে রাখা হলো, আইয়ুব বাচ্চু। সেই থেকে তিনি হলেন ‘ওয়ান অ্যান্ড অনলি’।
মা-বাবার আদরের ছেলে। তাই বলে যে সংগীতচর্চার জন্য খুব একটা অনুকূল পরিবেশ তিনি পেয়েছিলেন, তা কিন্তু নয়। সেই ছোটবেলা থেকেই সংসারে থেকেও বোহেমিয়ান আইয়ুব বাচ্চু। বাউন্ডুলে স্বভাবের জন্য সংসারের কিছুই যেন স্পর্শ করতে পারছিল না তাঁকে। বাবার ব্যবসায় মন বসে না, লেখাপড়ায় মন বসে না। অনিশ্চিত এক ভবিষ্যৎ ছিল তাঁর।
সব ছাপিয়ে আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন গিটারের জাদুকর