মুক্তিপণ দিয়েও রক্ষা পেলেন না, নিখোঁজের দুই দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
Published: 16th, August 2025 GMT
নিখোঁজের দুই দিন পর নেত্রকোনা সদর উপজেলা থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার মেদনী ইউনিয়নের রংয়ের বাজার এলাকায় সড়কের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি, জহিরুল অপহৃত হয়েছিলেন। অপহরণকারীদের ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়েও তাঁকে প্রাণে বাঁচানো যায়নি।
নিহত জহিরুল ইসলাম কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের মৃত আরজ আলী খানের ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জে একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। মাসখানেক আগে গ্রামের বাড়িতে যান জহিরুল।
জহিরুলের ভাই খাইরুল আমিন খান বলেন, ‘গত বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জহিরুল বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। পরদিন বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে জহিরুলের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বর থেকে তাঁর স্ত্রী ও ভাইয়ের নম্বরে কল করেন অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, “জহিরুলকে অপহরণ করা হয়েছে। বিকাশের (মোবাইল ব্যাংকিং) মাধ্যমে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ পাঠালে জহিরুলকে ছেড়ে দেওয়া হবে।” গতকাল শুক্রবার সকালে অপহরণকারীদের দেওয়া তিনটি বিকাশ নম্বরে ৬০ হাজার টাকা পাঠানো হয়।’
খাইরুল আজ শনিবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অপহরণকারীদের চাহিদামতো বিকাশে ৬০ হাজার টাকা দিলেও আমার ভাইকে রক্ষা করতে পারিনি। তাঁরা আমার ভাইয়ের ফোন নম্বরসহ বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করেন। গতকাল রাতে অপহরণকারীদের মধ্যে একজন নিজেকে আরশাদ পরিচয় দিয়ে জানান, জহিরুল অসুস্থ। তাঁকে হাসপাতালে নিতে হবে। এর কিছুক্ষণ পর আবার ফোন করে জানান জহিরুল মারা গেছেন। তাঁর মুখে ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
ঘটনাটি নিয়ে কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও নেত্রকোনা মডেল থানা-পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে বলে জানান কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কী ঘটনা, তা তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অপহরণক র দ র ৬০ হ জ র ট ক
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ দিয়েও রক্ষা পেলেন না, নিখোঁজের দুই দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের দুই দিন পর নেত্রকোনা সদর উপজেলা থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার মেদনী ইউনিয়নের রংয়ের বাজার এলাকায় সড়কের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি, জহিরুল অপহৃত হয়েছিলেন। অপহরণকারীদের ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়েও তাঁকে প্রাণে বাঁচানো যায়নি।
নিহত জহিরুল ইসলাম কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের মৃত আরজ আলী খানের ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জে একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। মাসখানেক আগে গ্রামের বাড়িতে যান জহিরুল।
জহিরুলের ভাই খাইরুল আমিন খান বলেন, ‘গত বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জহিরুল বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। পরদিন বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে জহিরুলের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বর থেকে তাঁর স্ত্রী ও ভাইয়ের নম্বরে কল করেন অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, “জহিরুলকে অপহরণ করা হয়েছে। বিকাশের (মোবাইল ব্যাংকিং) মাধ্যমে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ পাঠালে জহিরুলকে ছেড়ে দেওয়া হবে।” গতকাল শুক্রবার সকালে অপহরণকারীদের দেওয়া তিনটি বিকাশ নম্বরে ৬০ হাজার টাকা পাঠানো হয়।’
খাইরুল আজ শনিবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অপহরণকারীদের চাহিদামতো বিকাশে ৬০ হাজার টাকা দিলেও আমার ভাইকে রক্ষা করতে পারিনি। তাঁরা আমার ভাইয়ের ফোন নম্বরসহ বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করেন। গতকাল রাতে অপহরণকারীদের মধ্যে একজন নিজেকে আরশাদ পরিচয় দিয়ে জানান, জহিরুল অসুস্থ। তাঁকে হাসপাতালে নিতে হবে। এর কিছুক্ষণ পর আবার ফোন করে জানান জহিরুল মারা গেছেন। তাঁর মুখে ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
ঘটনাটি নিয়ে কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও নেত্রকোনা মডেল থানা-পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে বলে জানান কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কী ঘটনা, তা তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।