চুয়াডাঙ্গায় নিজ বাড়িতে নামাজ পড়া অবস্থায় এক ব্যক্তি (৫২) খুন হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে শহরের পলাশপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির কিশোর ছেলেকে (১৭) আটক করেছে পুলিশ।

নিহত ব্যক্তি দীর্ঘদিন ইতালিতে ছিলেন। সম্প্রতি ছুটিতে দেশে এসেছিলেন।

পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল মুঠোফোন ব্যবহার নিয়ে কিশোর ছেলের সঙ্গে বাবার কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাবা মুঠোফোন সেট কেড়ে নেন। তিনি রাত ৮টার দিকে বাড়িতে তারাবিহর নামাজ পড়তে শুরু করেন। তখন ছেলেটি ফল কাটার ছুরি দিয়ে পেছন দিক দিয়ে বাবাকে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করে। পরে তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা (ইএমও) তারেক জুনায়েদ জানান, রাত সোয়া ৮টার সময় রক্তাক্ত অবস্থায় স্বজনেরা ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাঁর পিঠে ছুরির আঘাতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছিল। কিডনি ক্ষতবিক্ষত হয়ে রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মারা গেছেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) কনক কুমার দাস বলেন, অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।

উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।

এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ