চট্টগ্রামে লোহাগাড়ায় নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে শ্রমিক নিহত
Published: 21st, October 2025 GMT
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবনের ছাদের সেন্টারিং খুলতে ছাদের কার্নিশ ধসে হেলাল উদ্দীন নামক (৩৫) এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড রশিদার পাড়া নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত হেলাল উদ্দীন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার পানখালী গ্রামের বাসিন্দা কামাল উদ্দীনের ছেলে।
লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজাদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “নির্মাণাধীন বহুতল ভবনে ছাদের কার্নিশ ধসে আটকে পড়া ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করি। ছাদের সেন্টারিং খুলতে গিয়ে কার্নিশ ধসে ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। লাশ লোহাগাড়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।”
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হবে।
ঢাকা/রেজাউল/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যাঁরা জাতির ভবিষ্যৎ গড়েন, তাঁদের সুবিধা দিতে কেন পিছুটান দেখাই রাশেদা কে চৌধূরী
দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা টানা ১০ দিন ধরে ঢাকার রাস্তায় আন্দোলন করেছেন বাড়িভাড়া ও অন্যান্য সুবিধা বাড়ানোর দাবিতে। এ সময়ে সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছ থেকে নানা ধরনের বক্তব্য এসেছে; কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপের ঘাটতি ছিল স্পষ্ট। শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারকে ধন্যবাদ জানাই—তিনি নিজেও একজন শিক্ষক হিসেবে বিষয়টি অনুধাবন করে অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন এবং বিভিন্ন পর্যায়ে উদ্যোগও নিয়েছেন। কিন্তু জানা গেছে, প্রস্তাবটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে আটকে ছিল।
শিক্ষা পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমার প্রশ্ন, সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বেতন–ভাতা বাড়াতে যখন বেতন কমিশন হয়, তখন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক–কর্মচারীদের বিষয়টি কেন গুরুত্ব পায় না? তাঁদের জন্য আলাদা বেতন কমিশন গঠন করা যেতে পারে। সরকারি কর্মচারীদের সুযোগ–সুবিধা ক্রমেই বাড়ছে, অথচ যাঁরা জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণের কারিগর, তাঁদের ক্ষেত্রে কেন পিছুটান দেখা যায়—এটাই দুঃখজনক।
আরও পড়ুনএমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া বাড়ছে ১৫ শতাংশ, কার্যকর দুই ধাপে২ ঘণ্টা আগেনানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও অন্তর্বর্তী সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত (দুই ধাপে কার্যকর হবে) নিয়েছে—এর জন্য তাঁদের ধন্যবাদ। আশা করব, আগামীতে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক, তারা যেন শিক্ষক–কর্মচারী ও শিক্ষাকে রাজনৈতিক দৃষ্টিতে না দেখে, মানবসম্পদ গঠনের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে শোনা যাচ্ছে। সক্ষমতা অনুযায়ী সেটি করা যেতে পারে, তবে শুধু জাতীয়করণই সমস্যার পূর্ণ সমাধান নয়। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের দিকও ভাবতে হবে।
বাড়ি ভাড়া বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে ১২ অক্টোবর থেকে আন্দোলন করছেন এমপিওভূক্ত শিক্ষক–কর্মচারিরা