সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও দপ্তরে নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়ার কাজে যেসব কর্মকর্তা নিয়োজিত, তাঁদের সম্মানী বা পারিতোষিকের হার বাড়িয়েছে সরকার।

দুই বছর আট মাসের মাথায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ গতকাল সোমবার এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করেছে। আগের পরিপত্রটি জারি করা হয়েছিল ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি। তার আগের পরিপত্র জারি করা হয়েছিল ২০১৯ সালের ৭ মার্চ।

নতুন পরিপত্রে বলা হয়েছে, প্রশ্নপত্র প্রস্তুতকারী সরকারি কর্মকর্তা, পদোন্নতি কমিটির সদস্য ও মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) নেওয়া সদস্যদের সম্মানী হবে এখন জনপ্রতি ছয় হাজার টাকা; এত দিন যা পাঁচ হাজার টাকা করে ছিল। তার আগের পরিপত্রে এটি ছিল তিন হাজার টাকা।

২০১৯-২০২৫ সময়ের তিন পরিপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ছয় বছরে প্রশ্নপত্র প্রস্তুতকারী সরকারি কর্মকর্তা, পদোন্নতি কমিটির সদস্য ও মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) নেওয়া সদস্যদের সম্মানীর হার দ্বিগুণ হয়েছে।

উত্তরপত্র মূল্যায়নের হারও বাড়ানো হয়েছে নতুন পরিপত্রে। প্রতিটি পূর্ণাঙ্গ উত্তরপত্র দেখার জন্য এত দিন সম্মানী ছিল ১২০ টাকা; এখন তা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা করা হয়েছে। অবজেকটিভ টাইপ উত্তরপত্র দেখার জন্য এত দিন সম্মানী ছিল ২০ টাকা; এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩৫ টাকা।

উত্তরপত্র মূল্যায়নের আপ্যায়ন ব্যয় ৪৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দুপুরের খাবার বা নাশতার বিল আগের মতোই ২০০ টাকা রাখা হয়েছে।

লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষার জন্য জড়িত গ্রেডভেদে কর্মচারীরা পাবেন প্রতিদিনের জন্য ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা করে। এত দিন এটি ছিল ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা।

এ ছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রধানের মনোনীত সমন্বয়ক আগের ৩ হাজার টাকার বদলে এখন ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে পাবেন। লিখিত পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শক পাবেন প্রতিদিন ১ হাজার ৮০০ টাকা; এটি এত দিন ছিল ১ হাজার ৫০০ টাকা করে।

এ ছাড়া নিয়োগ ও পদোন্নতিবিষয়ক কাগজ-কলম ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচের জন্য সর্বোচ্চ আট হাজার টাকার নতুন সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি আগে পাঁচ হাজার টাকা ছিল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ এত দ ন র জন য সরক র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হত্যা: শোক ঘোষণা, পরীক্ষা স্থগিত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেন হত্যায় ঘটনায় এক দিনের শোক ঘোষণা ও ২০তম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ২১ ও ২২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, আজকে জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল মঙ্গলবার শোকদিবস ঘোষণা করা হয়েছে। এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং আমরা কালো ব্যাজ ধারণ করব। আর ২২ তারিখ যে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা ছিল, সেটা স্থগিত করা হয়েছে। ওই দিন শোকর‍্যালির আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আয়োজনের বিষয়ে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাব। তিনি আরও বলেন, ২১ ও ২২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ক্লাস চললেও পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।

আরও পড়ুন১৮ ঘণ্টা পরও মামলা হয়নি, প্রেমের কারণে খুন সন্দেহ পুলিশের৩ ঘণ্টা আগে

প্রতিবছর ২০ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হলেও এবার কালীপূজা বা শ্যামাপূজার ছুটি উপলক্ষে তা দুই দিন পিছিয়ে ২২ অক্টোবরে উদ্‌যাপন করার জন্য নির্ধারিত হয়। ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য হলো—‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান, স্বপ্নে জয়ে অটল প্রাণ’। দিনটিকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরের মতো এবারও ক্যাম্পাসকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছিল।

গতকাল রোববার রাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জোবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

সহপাঠী ও পুলিশের তথ্যমতে, ভবনটির একটি বাসায় উচ্চমাধ্যমিকের এক ছাত্রীকে পড়াতেন জোবায়েদ। তাঁর লাশ উদ্ধারের পর ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বংশাল থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাদারীপুরে আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী দীপ্তি হত্যা মামলার রায় আজ
  • ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানের জামিন
  • জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হত্যা: শোক ঘোষণা, পরীক্ষা স্থগিত